আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রস্তুত কুড়িল ফ্লাইওভার

যানবাহন চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাজধানীর অভিজাত এলাকার কুড়িল ফ্লাইওভার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল উদ্বোধন করবেন এই ফ্লাইওভারটি। রাজউকের নতুন স্যাটেলাইট শহর পূর্বাচলে যাওয়ার নতুন ৩০০ ফুট রাস্তাকে এয়ারপোর্ট রোড এবং প্রগতি সরণিতে সংযুক্ত করে কুড়িল-বিশ্বরোড এলাকায় ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ২ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেছিলেন। ৩ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ফ্লাইওভার নির্মাণে প্রথমে ২৫৪ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত তা বেড়ে ৩০৬ কোটি টাকা হয়।

আজ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান কুড়িল ফ্লাইওভার চত্বরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে রাজউকের কুড়িল ফ্লাইওভার ও বালু নদীর ওপর নির্মিত বালু ব্রিজের বিষয়ে তথ্য জানাবেন। রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী এমদাদুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রকল্পের পুরো অর্থ রাজউকের নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হয়। ফ্লাইওভারের উচ্চতা ৪৭ দশমিক ৫৭ ফুট। প্রস্থে ৩০ দশমিক ১৮ ফুট। ফ্লাইওভারের পাইল ২৯২টি, পাইল ক্যাপ ৬৮টি এবং পিলার ৬৭টির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।

বহুল প্রত্যাশিত এ ফ্লাইওভার নির্মাণের কারণে উত্তরা, টঙ্গী, গাজীপুর, মিরপুর, বনানী, গুলশান, বারিধারা, রামপুরা ও বনশ্রীর যানজট সমস্যার সমাধান হবে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে মিরপুরের বাসিন্দারা উত্তরায় যেতে পারবেন। পাশাপাশি গাজীপুর ও উত্তরার বাসিন্দারা ২০ মিনিটের মধ্যে মতিঝিল যেতে পারবেন। ফ্লাইওভারটি রাজউকের তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করেছে প্রজেক্ট বিল্ডার্স লিমিটেড। প্রকল্পের জন্য প্রায় ৪৭ কোটি টাকায় রেল ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

ফ্লাইওভারের লুপ ৪টি। বনানী, কুড়িল, খিলক্ষেত ও পূর্বাচল প্রান্তে ওঠানামার জন্য এ চারদিকে লুপ রাখা আছে। এসব লুপ দিয়ে যানবাহন ফ্লাইওভারে ওঠানামা করতে পারবে। রাজধানীর এ ফ্লাইওভারটি টোলফ্রি। এ ছাড়া ফ্লাইওভারের নিচ দিয়েও নির্মাণ করা হয়েছে তিন প্রান্তে চলাচল করার তিনটি সংযোগ সড়ক।

তবে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলেও প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জনবহুল বিশ্বরোডে রাস্তা পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়নি। এটি নির্মাণ ছাড়াই উদ্বোধন হচ্ছে ফ্লাইওভার। রাজউক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল হুদা বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে নকশা প্রণয়ন করে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়েছে। ফ্লাইওভারটি এলাকার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেন তিনি। রাজউক সূত্র জানায়, প্রগতি সরণি অংশের জমি অধিগ্রহণে জটিলতা এবং রেলক্রসিং-সংলগ্ন এলাকায় ইউটিলিটি স্থানান্তর নিয়ে জটিলতার কারণেই নির্মাণ কাজ শেষ হতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।

বালু ব্রিজ : কুড়িল ফ্লাইওভার উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশের বালু নদীর ওপর নবনির্মিত বালু ব্রিজের উদ্বোধন করবেন। প্রায় ১ হাজার ৩০০ ফুট দীর্ঘ ব্রিজটি নির্মাণের ফলে ঢাকার সঙ্গে পাশের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এ ছাড়া ঢাকার সঙ্গে সিলেটের দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার কমে যাবে। রাজউকের তত্ত্বাবধানে এটি নির্মাণ করছে রূপায়ণ লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ব্রিজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.