আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজধানীর সরকারি কলেজগুলোতে মারাত্নক শিক্ষক সংকট প্রয়োজন সাড়ে ৩ হাজার শিক্ষক আছেন ১৮শ’

মুক্তমত প্রকাশের প্লাটফর্ম ব্লগ। তাই ব্লগে বসতে ভা্ল লাগে....।

রাজধানীর সরকারি কলেজগুলোতে মারাত্নক শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। নেই রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। ঢাকার ১১টি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা এক হাজার ৮০০ জন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে প্রতি ৪৫ শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এতে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষে সিলেবাস শেষ করতে হিমশম খাচ্ছে শিক্ষকরা। ফলে একদিকে মানসম্মত শিক্ষাদানে ব্যর্থ হচ্ছেন শিক্ষকরা আর শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন বঞ্চিত। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর সবকটি সরকারি কলেজে তীব্র শিক্ষক সংকটে রয়েছে।

শিক্ষার্থীর হার অনুপাতে এসব কলেজে শিক্ষক সংখ্যা কম। কিছু কলেজ খ-কালীন শিক্ষক দিয়েও শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা শহরে মোট ১০টি সরকারি কলেজ ও একটি আলিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি সরকারি কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ এবং সরকারি সঙ্গীত কলেজ। এছাড়া রয়েছে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা-ঢাকা।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) দেওয়া তথ্য মতে, এ ১১টি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছেন প্রায় দেড় লাখ ছাত্রছাত্রী। অথচ এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য নিয়োজিত আছেন মাত্র ১ হাজার ৮০০ জন শিক্ষক। জানা গেছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ২৪২ জন। আর মাউশিতে ওএসডি হয়ে এ কলেজে সংযুক্ত আছেন আরো ৩৬ জন। সরকারি তিতুমীর কলেজে প্রায় ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র ১৬৫ জন।

ওএসডি হয়ে সংযুক্ত রয়েছেন ৩৯ জন শিক্ষক। এখানে কয়েকটি বিভাগে রয়েছে খন্ডকালীন শিক্ষক। ইডেন মহিলা কলেজে ৩২ হাজার ছাত্রীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ১৬৫ জন। সংযুক্ত আছেন ২৬ জন। মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে ২৩ হাজার ৫১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৩২ জন।

সংযুক্ত আছেন ১৬ জন। পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজে ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ৮৫ জন। শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ১১ হাজার ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ৮৬ জন। সংযুক্ত আছেন ১৪ জন। সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে আড়াই হাজার ছাত্রীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৫৯ জন।

সংযুক্ত আছেন দু'জন। সরকারি বিজ্ঞান কলেজে দেড় হাজার ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে মাত্র ৩৪ জন শিক্ষক। এ কলেজে ওএসডি সংযুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ছয়জন। সরকারি সঙ্গীত কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। শিক্ষক আছেন ২৭ জন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য সরকারি কলেজগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর কলেজগুলোর অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। এদিকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম) সূত্রে জানা গেছে, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকতার মানোন্নয়নের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদ শূণ্য রেখেই অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া ১২৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে ১০৫ জন শিক্ষক। জানা গেছে, এতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শূণ্য পদ রেখেই দু’মাসবাপী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা।

রাজধানীর সরকারি কলেজগুলোতে মারাত্নক শিক্ষক সংকট বিরাজ করছে। নেই রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। ঢাকার ১১টি প্রতিষ্ঠানে সাড়ে তিন হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন হলেও বর্তমানে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকের সংখ্যা এক হাজার ৮০০ জন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোতে প্রতি ৪৫ শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। এতে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষে সিলেবাস শেষ করতে হিমশম খাচ্ছে শিক্ষকরা। ফলে একদিকে মানসম্মত শিক্ষাদানে ব্যর্থ হচ্ছেন শিক্ষকরা আর শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন বঞ্চিত। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজধানীর সবকটি সরকারি কলেজে তীব্র শিক্ষক সংকটে রয়েছে। শিক্ষার্থীর হার অনুপাতে এসব কলেজে শিক্ষক সংখ্যা কম। কিছু কলেজ খ-কালীন শিক্ষক দিয়েও শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা শহরে মোট ১০টি সরকারি কলেজ ও একটি আলিয়া মাদ্রাসা রয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, গার্হস্থ্য অর্থনীতি সরকারি কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ এবং সরকারি সঙ্গীত কলেজ। এছাড়া রয়েছে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা-ঢাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) দেওয়া তথ্য মতে, এ ১১টি প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছেন প্রায় দেড় লাখ ছাত্রছাত্রী। অথচ এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য নিয়োজিত আছেন মাত্র ১ হাজার ৮০০ জন শিক্ষক।

জানা গেছে, দেশের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঢাকা কলেজে ১৫ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ২৪২ জন। আর মাউশিতে ওএসডি হয়ে এ কলেজে সংযুক্ত আছেন আরো ৩৬ জন। সরকারি তিতুমীর কলেজে প্রায় ৪৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র ১৬৫ জন। ওএসডি হয়ে সংযুক্ত রয়েছেন ৩৯ জন শিক্ষক। এখানে কয়েকটি বিভাগে রয়েছে খন্ডকালীন শিক্ষক।

ইডেন মহিলা কলেজে ৩২ হাজার ছাত্রীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ১৬৫ জন। সংযুক্ত আছেন ২৬ জন। মিরপুরের সরকারি বাঙলা কলেজে ২৩ হাজার ৫১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৩২ জন। সংযুক্ত আছেন ১৬ জন। পুরান ঢাকার সরকারি কবি নজরুল কলেজে ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ৮৫ জন।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে ১১ হাজার ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে শিক্ষক আছেন ৮৬ জন। সংযুক্ত আছেন ১৪ জন। সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে আড়াই হাজার ছাত্রীর জন্য শিক্ষক রয়েছেন ৫৯ জন। সংযুক্ত আছেন দু'জন। সরকারি বিজ্ঞান কলেজে দেড় হাজার ছাত্রছাত্রীর বিপরীতে মাত্র ৩৪ জন শিক্ষক।

এ কলেজে ওএসডি সংযুক্ত শিক্ষকের সংখ্যা ছয়জন। সরকারি সঙ্গীত কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। শিক্ষক আছেন ২৭ জন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য সরকারি কলেজগুলোতেও একই অবস্থা বিরাজ করছে। এর মধ্যে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোর কলেজগুলোর অবস্থা সবচেয়ে নাজুক।

এদিকে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েম) সূত্রে জানা গেছে, পর্যাপ্ত শিক্ষকের অভাবে শিক্ষকতার মানোন্নয়নের বিভিন্ন প্রশিক্ষণে শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদ শূণ্য রেখেই অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে। গত ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া ১২৭তম বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করছে ১০৫ জন শিক্ষক। জানা গেছে, এতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শূণ্য পদ রেখেই দু’মাসবাপী এই প্রশিক্ষণে অংশ নিচ্ছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলার শিক্ষকরা।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।