আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজধানীর যৌনকর্মীদের ঈদ

বসন্তে মাতাল আমি এক অপূর্ণতা ...

রাজধানীর যৌন কর্মীদের মাঝেও লেগেছে ঈদের আনন্দ। ঈদের আনন্দ ঈদযাপনে তারা নতুন কাপড় কিনেছেন। কিনেছেন নতুন চুড়ি, আলতা, প্রসাধন। রাজধানীর আসাদ গেট এলাকার যৌন কর্মী শিউলী ( ছদ্মনাম) জানালেন ঘর ছেড়েছিলেন কবে মনে নেই। তবে এই ফুটপাথই এখন তার ঘর।

যদিও থাকেন বসিলার একটা বস্তিতে। ঈদ কেমন কাটবে এই প্রশ্নের জবাবে শিউলি জানান আমাদের ঈদ বলতে কিছু নেই তারপরে ঈদে কিছু কিনেছি। এভাবেই ঈদ কেটে যাবে। গতরাতে ফার্ম গেট এলাকার এক যৌন কর্মীর সাথে কথা হয়। নাম প্রকাশ করেন নি।

সবসময় বোরখা পরেই থাকেন। ঈদ প্রস্তুতি কেমন? এমন প্রশ্নের জবাবে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন। তারপর বললেন ঈদে নিজে কিছু কিনেনি তবে বাসায় ছোট ভাইদের জন্য ঈদের কাপড়, মায়ের জন্য শাড়ি পাঠিয়েছি। আপনার পরিবার কি জানে এই পেশায় আপনি নিয়োজিত? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান বাড়িতে জানে তাদের মেয়ে ঢাকায় গার্মেন্টে চাকুরি করে। ঈদে ছুটি না দেয়ায় যাওয়া হয় নি।

সংসদ এলাকার ভ্রাম্যমান একজন যৌন কর্মী রত্না (ছদ্মনাম) জানান তার পরিবার নেই। তবে ঈদে চুড়ি আর লিপ্সটিক নিয়েছেন। তার বাসা এই সংসদেরই ফুটপাথে ঈদে তার সময় কেটে যাবে রাস্তায়। শুক্রাবদ এলাকার ১৪ বছরের এক কিশোরি যৌন কর্মী চম্পা (ছদ্মনাম) জানালেন ঈদে বাসার জন্য সেমাই চিনি কিনেছেন। নিজের জন্য কিছুই কেনা হয় নি।

বাসায় কে আছে এমন প্রশ্নের জবাবে সে জানায় মোহাম্মদপুর এলাকার এক বস্তিতে মা ও ছোট বোন সহ থাকেন। মা জানে না? এই প্রশ্নের জবাবে সে জানায় মা অসুস্থ, মা জানে তারপরেও কিছু বলার নাই। কারন এভাবেই ওষুধ কিনতে হয়। রাজধানীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা যৌনকর্মীরা ঈদ পালন করছেন। মনের এতর গভীর ব্যাথা অন্তত একদিনের জন্য লুকিয়ে ঈদের আনন্দে মুখে হেসে হেলা করুক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।