আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাবা-মায়ের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এ লেভেল পড়ুয়া বখতিয়ার নামের এক শিক্ষার্থীকে। রাত আনুমানিক আড়াইটায় ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে বখতিয়ারকে গুলি করে। তার পর অস্ত্রের মুখে তার বাবা, মা এবং কাজের মেয়েকে বেঁধে ফেলে স্বর্ণালঙ্কার ও টাকা-পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। দৃশ্যত ডাকাতির ঘটনা মনে হলেও পুলিশ বলছে, এটি সম্ভবত পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ এ বাড়ির একটি কুকুর ১৫ দিন আগে বিষক্রিয়ায় মারা যায়।

দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত বখতিয়ারের বাবা পরিবহন ও ফিলিং স্টেশন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। নিছক ডাকাতি কিংবা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা-  যে উদ্দেশ্যেই এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হোক না কেন, তা রাজধানীর আইনশৃঙ্খলার হতশ্রী অবস্থাকেই জানান দিয়েছে। জননিরাপত্তা কোথায় গিয়ে ঠেকছে একজন এ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে তার বাবা-মায়ের সামনে হত্যা করার ঘটনা তারই প্রমাণ। যাত্রাবাড়ীর এই কথিত ডাকাতির ঘটনায় অংশগ্রহণকারীরা সবাই ছিল অস্ত্রধারী। সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ অস্ত্রের দৌরাত্দ্য বেড়েছে মারাত্দকভাবে।

টাকা দিলেই মিলছে আগ্নেয়াস্ত্র। দুর্বৃত্তরা তা দিয়ে জননিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। ক্ষুদ্র অস্ত্র চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধে ব্যবহৃত হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য তা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বলাবাহুল্য, ক্ষুদ্র অস্ত্র অর্থাৎ রিভলবার, পিস্তল ইত্যাদি মারণাস্ত্রের সিংহভাগই আসছে চোরাচালানের মাধ্যমে- সীমান্ত ডিঙিয়ে।

সীমান্ত এলাকায় মোতায়েন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো কোনো সদস্যের সততা সংকট থাকায় বিপুলসংখ্যক আগ্নেয়াস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে প্রায় প্রতিদিনই অবৈধ অস্ত্র ধরা পড়ছে। কিন্তু অবৈধ অস্ত্রের প্রবাহ কিংবা সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তদের দৌরাত্দ্য কোনোটাই কমছে না। আমরা মনে করি, যাত্রাবাড়ীর কথিত ডাকাতির ঘটনার গ্রন্থিমোচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের সাধ্যমতো প্রয়াস চালাবে। অপরাধীদের ধরার ব্যাপারে তারা তাদের সাধ্যের সব চেষ্টাই করবেন।

পাশাপাশি জননিরাপত্তার স্বার্থে অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রয়োজনে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চালানো হবে অভিযান।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।