আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ক্যাচ ফেলার খেসারত দিল বাংলাদেশ



কোনো প্রতিদ্বন্দ্বীতাই গড়ে তুলতে পারেনি বাংলাদেশ বরং ক্যাচ ফেলার খেসারত দিয়ে সহজেই আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তানের কাছে। হার মেনেছে তারা ৮৯ রানে। রাজধানীর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল মঙ্গলবার বিশ্বকাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে দিন-রাতের প্রস্তুতি খেলায় টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ ছাড়াও মিসবাহ উল হকের শতকের সুবাদে পাকিস্তান ৯ উইকেটে করে ২৮৫। জয়ের লক্ষ্য ২৮৬ রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের পালা গুটিয়ে যায় ১৯৬ রানে। খেলেছে ৪১ ওভার ৪ বল।

ইনিংসের প্রথম বলেই বাংলাদেশের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল আব্দুল রাজ্জাকের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরলেও অন্য উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ঝড়ের গতিতে রান তুলতে থাকেন জুনায়েদ সিদ্দিক। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৯ ওভারে ১ বলে ৭১ রান করেন তারা। অত্যন্ত আক্রমণাত্মক জুনায়েদ ২৮ বলে করেন ৩৮। ওয়াহাব রিয়াজের বলে আসাদ শফিকের হাতে ধরা পড়ার আগে ৬টি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। এরপর দলের সঙ্গে ৭৪ রান যোগ হতেই একে একে ফিরে যান উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম (৯), অধিনায়ক সাকিব আল হাসান (১১), মোহাম্মদ আশরাফুল (৪), ইমরুল (৩৯) ও মাহমুদুল্লাহ (১২)।

দলীয় ১৪৫ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের হার আক্ষরিক অর্থেই সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। শেষের দিকে রকিবুল হাসান ৩০ ও নাঈম ইসলাম ২৩ রান করলে বাংলাদেশের রান ২০০-এর কাছাকাছি পৌঁছে। পাকিস্তানের বোলারদের মধ্যে আব্দুল রাজ্জাক ৩ উইকেট নেন ৩১ রানে। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন আব্দুর রেহমান ও মোহাম্মদ হাফিজ। এ জন্য রেহমানের খরচ হয় ২৯ রান।

হাফিজ দেন ৪৩। খবর বিডিনিউজের। এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা একেবারে খারাপ করেননি পাকিস্তানের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজ ও শেহজাদ। কিন্তু ৪২ থেকে ৫৮, এই ১৬ রানের মধ্যে হাফিজ (২১), কামরান আকমল (১) ও ইউনুস খান (৫) বিদায় নিলে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। এ অবস্থায় হাল ধরেন শেহজাদ ও মিসবাহ উল হক।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা দলের সঙ্গে ১৫২ রান যোগ করে বিপদই শুধু সামাল দেননি, লড়াই করার মতো পুঁজি গড়ে তোলার পথে দলকে এগিয়ে নেন অনেকখানি। দলীয় ২১০ রানের মাথায় রুবেল হোসেনের বলে সোহরাওয়ার্দী শুভর হাতে ধরা পড়ার আগে শেহজাদ করেন ১০৩। তিনি তার ১২২ বলের ইনিংসটি সাজান ৯টি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে। শতক হাঁকালেও জীবন পান শেহজাদ। প্রথমে রুবেল হোসেনের চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে তার ক্যাচ ফেলে দেন জুনায়েদ সিদ্দিক।

আর ১৮তম ওভারে তার ক্যাচ ছেড়ে দেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। মিসবাহও একবার জীবন পান ব্যক্তিগত ৩৭ রানের মাথায়। সোহরাওয়ার্দীর বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি তিনি। বল উঠে যায় আকাশে। ক্যাচ ধরার জন্য দৌঁড়ে যান আব্দুর রাজ্জাক ও রুবেল হোসেন।

ফলে দু’জনের ভুল বুঝাবুঝির সুযোগে বল পড়ে যায় মাটিতে। শেষ পর্যন্ত শতক হাঁকান মিসবাহ। ঠিক ১০০ রান করে সাকিবের বলে নাঈম ইসলামের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। তখন দলের রান ছিল ২৫০। মিসবাহর ১০০ বলের ইনিংসে চার রয়েছে ৮টি ও ছক্কা ৪টি।

এছাড়া একটি রান-আউটের সুযোগও কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এরপর পাকিস্তানের আর কোনো ব্যাটসম্যান খুব একটা সুবিধা করতে পারেন নি। দলের সঙ্গে ৩৫ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরে যান চার ব্যাটসম্যান। শেষ পর্যন্ত উমর আকমল অপরাজিত থাকেন ১৯ রানে। সাকিব মোট ৯ বোলার ব্যবহার করেন।

তাদের মধ্যে ৩টি করে উইকেট নেন সাকিব ও রুবেল। এজন্য সাকিবের খরচ হয় ৪৯ রান। রুবেল দেন ৭৩।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.