আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক রহমানের গরম খবর।



ঢাকা, ফেব্রুয়ারি ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা অর্থ পাচার মামলা ২০০৯ সালের আইনের পরিবর্তে ২০০২ সালের আইনে চলতে পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্ট তারেকের রিট আবেদন খারিজ করলে তিনি আপিল বিভাগে যান। ওই আবেদন বুধবার নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চ। দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী আনিসুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পর্যবেক্ষণসহ আদালত তারেকের আপিলের আবেদন (লিভ টু আপিল) নিষ্পত্তি করে দিয়েছে। "আদালত পর্যবেক্ষণে বলেছে, নথিপত্রে দেখা যায় ২০০২ সালের আইন অনুযায়ী তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের প্রাথমিক অভিযোগ রয়েছে।

তাই ওই আইনে এ মামলা চলতে পারে", বলেন তিনি। এদিকে তারেকের আইনজীবী মওদুদ আহমদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "আদালত বলেছে, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি ২০০৯ সালের আইনের চলবে না। " "২০০২-এর আইনে এটি কীভাবে চলতে পারে? ওই আইন তো বাতিল হয়ে গেছে", বলেন তিনি। গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তারেক রহমানের করা রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্ট। এরপর তারেকের করা এক আবেদনে চেম্বার বিচারপতি গত ৩ জানুয়ারি 'নো অর্ডার' দিয়ে মামলাটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ পাঠিয়ে দেন।

২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মো. ইব্রাহিম বাদি হয়ে তারেক রহমান ও তার বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ৬ জুলাই এ মামলায় তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারেক ও মামুন ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন। টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্র"তি দিয়ে ১০/বি, বনানীর নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন এই অর্থ নেন বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়। মামলায় আরো বলা হয়, সিঙ্গাপুরে বসে লেনদেন হওয়ার পর ওই অর্থ সিঙ্গাপুরের ক্যাপিটাল স্ট্রিটের সিটি ব্যাংক এনএতে মামুনের নামে একটি ব্যাংক হিসাবে জমা রাখা হয়।

এর পরিমাণ ছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকা)। জরুরি অবস্থা জারির পর ২০০৭ সালের ৭ মার্চ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন নিয়ে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য সপরিবারে লন্ডনে যান। সেই থেকে লন্ডনে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.