আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি বললে কি বুঝবেন

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

এক. উক্তিঃ “১৯৪৭ এর পরে এমন সার্থক প্রধান বিচারপতি আসেন নাইঃ এটর্নি জেনারেল” অর্থঃ আমরা এতদিন পরে আমাদের মনের মত প্রধান বিচারপতি পেয়েছি, যিনি নির্বিবাদে আমাদের সব কথা শুনেন আর আগামীতেও শুনবেন। দুই. উক্তিঃ “সুবিচার পেয়েছিঃ ড. ইউনুস” অর্থঃ যতটা খারাপ হবে আশংকা করেছিলাম, তার থেকে কমই হয়েছে, জামিন পর্যন্ত পেয়েছি। তিন. উক্তিঃ “এত পরিচ্ছন্ন নির্বাচন অতীতে আর দেখিনি : সাখাওয়াত” অর্থঃ আগামীতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকছে না, নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনা করবে। এর জন্য দরকার হলে ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে সংবিধান সংশোধনী আনা যেতে পারে।

চার. উক্তিঃ “এ ফলের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে”। হবিগঞ্জের উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর জেতা প্রসঙ্গে অর্থঃ নির্বাচনে আমাদের দল হবিগঞ্জের আসনটি হারিয়েছে। এর মাধ্যমে ক্ষমাতসীন দল হিসাবে আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি যে আমরা নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচন করাতে সক্ষম। তাই আগামীতে তত্তাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে না। হতে পারে অনেক রক্তের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে যুক্ত করা হয়েছিল, কিন্তু তা ছিল শুধু মাত্র বিএনপিকে ক্ষমতাচ্যূত করার একটি পদ্ধতি মাত্র।

আওয়ামী লীগ কখনোই বিএনপি নয়, তাই আওয়ামী লীগ নিজেই নির্বাচন চলা কালে মধ্যবর্তী সরকার হিসাবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করতে চায়। পাচ. উক্তিঃ “নির্বাচনে সরকারী দলের সন্ত্রাসীরা ব্যালট ছিনতাই করে জাল ভোট দিয়েছে” অর্থঃ আমাদের দুইটি আসনে প্রার্থী ছিল। এর মধ্যে হবিগঞ্জের আসনে আমরা জিতেছি। সেখানে ক্ষমতাসীনরা কারচুপি করলেও আমাদের সাথে পেরে ওঠে নি। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে আমরা ক্ষমতাসীনদের সাথে পেরে উঠিনি।

তাই এই আসনে আমাদের পরাজয় হয়েছে। তাই আমরা যে আসনে জিতেছি, সেই আসনে নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে নির্বাচন মোটেও গ্রহনযোগ্য হয় নি। ছ্য়. উক্তিঃ “শহর এলাকায় এবার লোডশেডিং হবে গতবারের চেয়ে বেশি : ঘাটতি হবে ২ হাজার মেগাওয়াট” জ্বালানী উপদেষ্টা ও প্রতিমন্ত্রী অর্থঃ আসছে গরম কালে ভয়াবহ ধরনের লোডশিডিং হবে। সরকার আগে থেকে জানিয়ে রাখছে। এর পরে কোন অসুবিধা হলে সরকার দায়ী থাকবে না।

আর এইটাও জনগণের জেনে রাখা উত্তম যে সরকার বিদ্যুৎখাতে তেমন কোন অগ্রগতি করতে পারেন নাই। আর আগামীতে করতে পারবেন, সে ব্যাপারেও ভরসা দিতে পারছেন না। তাই সরকারের এই না পারার দিকটা আপনারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সাত. উক্তিঃ “পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে : মন্ত্রিদের ভুলের খেসারত দিচ্ছে মানুষ : মোহাম্মদ নাসিম” অর্থঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চমক দিতে গিয়ে যে মন্ত্রীসভা বানিয়েছিলেন, সেই মন্ত্রীসভা এখন তাঁর নিজেরই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উনি আমাদের মত পরীক্ষিত ও ঝানু নেতাদের বাদ দিয়ে যা করেছিলেন, তার যে এমন একটা ফল প্রসবিত হবে, তা আমরা অনেক আগে থেকেই জানতাম।

উনাকে কিছু বলি নাই, তা হলে উনি মনে করতে পারতেন যে আমরা সংস্কারপন্থী। এখন হাতি কাদায় পড়েছে, আর মশা-মাছি সবাই তাকে লাত্থি মারার মওকা পেয়েছে। আট. উক্তিঃ “মানবাধিকার সংগঠন কি সন্ত্রাসীদের রক্ষায় মাঠে নেমেছে? : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী” অর্থঃ বিএনপির সময়ে যখন সন্ত্রাসীদের খরচ-ফায়ার করে মেরে ফেলা হত, তখন আওয়ামীপন্থী মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাবর সাহেবকে ধুয়ে দিত। আর আমি সে সময় হাতে তালি বাজাতাম। ভাবতাম, আমাদের পক্ষে কথা বললে বাহবা দিতে হবে উনাদের।

কিন্তু এখন ‘দিন বদল’ হয়েছে। দেশে কোন খরচ-ফায়ার (!?!) হয় না। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ‘অপমৃত্যু’ হলেই সেই একই মুখগুলা এখনও 'হায় হায়' করে ওঠে। আপনাদের মনে রাখতে হবে, এখন আওয়ামী লীগের আমল, আর এই আমলে কোনই অনিয়ম বা দূর্নীতি হয় না, খরচ-ফায়ার হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না। [ উক্তিগুলো ২৮ জানুয়ারির 'আমাদের সময়' এবং 'আমার দেশ' পত্রিকা থেকে সংগৃহীত ]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.