আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

'টিআইবি প্রতিবেদন বিবেচনায় নেওয়া উচিত'

জনগণ মনে করে রাজনৈতিক দলগুলোর সব দুর্নীতির সঙ্গে যোগসাজশ আছে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে দুর্নীতির প্রবণতা বেশি। রাষ্ট্রীয় বড় দুর্নীতির সঙ্গেও রাজনৈতিক দলের যোগসাজশ রয়েছে। টিআইবি মানুষের মতামত নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এ প্রতিবেদন বিবেচনায় নেওয়া।

গত মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন বাংলায় লিড নিউজ শীর্ষক টকশোতে অংশ নিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। জ ই মামুনের সঞ্চালনায় টকশোতে ওইদিন প্রকাশিত টিআইবির প্রতিবেদন নিয়ে তিনি বিভিন্ন মন্তব্য করেন। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ৯৩ শতাংশ মানুষ বলেছে সারা বিশ্বে রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতিগ্রস্ত। ১০৭টি দেশের মধ্যেই রাজনৈতিক দল সম্পর্কে একই ধারণা পোষণ করে। মানুষ মনে করে ক্ষমতা যাদের হাতে তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

কিন্তু দলগুলো উল্টো কাজ করে। আমাদের দেশে রাজনৈতিক দলের মধ্যে সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা আছে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন পদে বসে বা ক্ষমতার সুবাদে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নেওয়ার প্রবণতা কাজ করে। তারা পদে বসে বা ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজেদের সুবিধাই বেশি নেন। পদে বসে পরিচালনার মধ্যে অনিয়ম, দলের সংগঠনগুলো সবকিছুতে অনিয়ম করে।

প্রভাব বিস্তার করে। এমনকি টেন্ডার, ভিজিএফ ইত্যাদিতে প্রভাব বিস্তার করে সুবিধা নেয়। যাদের হাতে এটা সমাধানের উপায় তারাই মূলত দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। দলের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চার অভাব রাজনৈতিক উন্নয়নে একটি বড় বাধা।

রাজনৈতিক দল বলতে বাংলাদেশের সব দলগুলোকে নির্দেশ করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের প্রতিক্রিয়ায় ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সাধারণ মানুষ জানে, কোন দলগুলোকে নির্দেশ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ১০৭টি দেশে একই বিষয়ে একই সময়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে টিআই। জরিপে দুর্নীতির অভিজ্ঞতা থেকে বলেছে। আবার দুর্নীতির ধারণা থেকেও বলেছে। দুটি বিষকে সমন্বয় করেই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে উত্তরদাতারা বলেছে ২০১০ তুলনায় ২০১২ সালে দুর্নীতির প্রবণতা কমেছে।

সেবা খাতে যারা সরাসরি সেবা গ্রহণ করেছে ২০১২ সালের অভিজ্ঞতা ২০১০ সালের তুলনায় দুর্নীতি কিছুটা কমেছে। আবার ধারণা ভিত্তিতেও উত্তর দিয়েছে। সে ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু, হলমার্ক ইত্যাদি বিষয়ে ধারণার ভিত্তিতে উত্তর সংগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ ও বিচার বিভাগের দুর্নীতি উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিচার বিভাগ নিয়ে আইনমন্ত্রীও দুর্নীতির অভিযোগ স্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন কয়েকবার।

এ ছাড়া পুলিশে দুর্নীতির সুযোগ অনেক বেশি। পুলিশ বিভাগে রাজনীতিকরণ অনেক বেশি হয়েছে। তাই কোনোভাবেই দুর্নীতি থেকে বের হতে পারছে না। সরকারও পুলিশ বিভাগে গুরুত্ব নিয়ে কাজ করে না। বেতন ভাতা, সুযোগ-সুবিধা নিয়ে সরকার চিন্তা করে না।

ফলে পুলিশ বিভাগ খুবই উদ্বেগজনভাবে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান। সাধারণ মানুষের দুদকের প্রতি যে আস্থা ছিল সেটা তারা রক্ষা করতে পারেনি। দুদকের অনেক বাহ্যিক সিদ্ধান্ত বাইরে থেকে আসে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের মাধ্যমে তারা অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে এ প্রতিষ্ঠানটিকে কার্যকর করা যাচ্ছে না।

 

 

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.