আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্রজন্ম চত্বর -১

স্বাধীনতার পর একচল্লিশ বছর ধরে নীরন্ধ্র গুহার পচা অন্ধকারে ফসিল হয়ে পড়ে থাকা শকুনেরা একটু একুট করে জ্যান্ত হয়ে ঊঠে শোরগোল করে দেয়ালে ছোট ছোট গর্ত করে নিলো। ওদের বাঁকা নাক বের করে গন্ধ শুঁকলো। কিছু পুরোনো জাদুকর ঝোলা থেকে কেরদানি কার্পেট বের করে আকাশে উড়িয়ে দিলো। তা দেখে শকুনেরা হুল্লোড় করে বের হয়ে এলো। পচা দুর্গন্ধে ভরে উঠলো চারপাশ।

কালো কালো ছায়াগুলো জাপটে ধরতে চায় সবুজ। কালো কালো ভয়গুলো চোখ পাকিয়ে চেয়ে দেখে জ্বলন্ত লাল। কালো কালো কীটগুলো শস্যখেতের দুধশীষ আর বনানীর পত্রপতাকার সবুজে কামড় মেরে বসে পড়ে। এরই মাঝে বঙ্গোপসাগরের নুন খেয়ে মাটিমাখা দ্বীপ জেগে ওঠে। তার নোনা গা থেকে ঝরতে থাকে সতেজ জল।

সূর্যের আলো পিছলে পড়ে সেখানে। লক লক করে বেড়ে ওঠে চারাগাছ। চারাদের হাতগুলো দীর্ঘ হয়ে ওঠে। চারাদের পাতাগুলো আকাশে হাত বাড়িয়ে আঁজলা ভরে তুলে নেয় আলো। তারুণ্যে জ্বলজ্বল করে পত্রপতাকা।

তারুণ্যে উত্তাল হয়ে ওঠে দ্বীপ। তারুণ্য মাথা তোলে আকাশে। তারুণ্য হাতে হাত রেখে সৃষ্টি করে এক দুর্ভেদ্য বিজয় চত্বর। চত্বরের আকাশে উড়তে থাকে বাংলার আকাশের সমান বড় পতাকা। আকাশে এখন পতাকা ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না।

পুরোনো শকুনদের ডানা গুটিয়ে নীরন্ধ্র গুহায় ফিরে যাওয়া ছাড়া কোনো পথ নেই। এ আকাশ শুধু পতাকার জন্য। ২৭.২.১৩ ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.