আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্মৃতির নদী

ঝর্ণার পাশে বাড়ি/ জলের তেষ্টায় মরি/ জীবনের খেলাঘর/ বেঁধে যাই নিরন্তর।

বাড়ির পাশের যেই নদীটা চলতো ছুটে ছুটে লোভীর কোদাল ভরল তারে তীরটা কেটে কেটে- ভাটির মানুষ নৌকা নিয়ে আসতো নদী পথে মাঝির মনের গানের সুরও উঠতো নদী হতে। বাজার তখন গরম হতো ভাটির তাজা মাছে নদীর দু’কূল দখল হল মাছের মজা গেছে- ‘রয়েল বাড়ির’ বাজার হতো ‘বিষ্যুধ’ রবিবারে নদীর দু’তীর থাকতো ঢেকে নৌকা সারি করে। সাঁতার কাটার সে দিনগুলো আজকে শুধু ভাবি কিশোর বেলার স্মৃতিগুলো ধূসর কিছু ছবি- পাল তোলা সে নৌকাগুলো আহ্ বৈঠা চপাচপ বন্ধুরা সব কাপড় খোলো যাহ্ লম্ফ ঝপাঝপ। কুমড়ো-কদুর কদর ছিল বিক্রি হতো কচু নৌকা বোঝাই করতো মাঝি দেখছি কত কিছু- বর্ষা এলেই ভরতো নদী ভাসতো নদী জলে নৌকা নিয়েই থাকতো খুশি কুমার বেঁদে মিলে। স্মৃতির নদী আজকে দেখি ভরাট হয়ে গেছে মনের ভেতর নদী আজও আপন হয়ে আছে- কিশোর কালের নদীটা আজ ফিরিয়ে যদি দাও ‘রয়েল বাজার’ জমবে আরো তোমরা যত চাও। আমরা আবার ব্যাকুল হব মাঝির ভাটি সুরে আসবো আবার সবুজ গাঁয়ে যাইনা যত দূরে- চলবে আবার বাঁশের চালি ভরবে বাজার বাঁশে শাপলা-শালুক ফুটবে আরো ডাকবে বুনো হাঁসে। নদীর পাড়ে ‘রাজনগরে’বসবে হাসি-মেলা ‘নওপাড়া’ আর ‘চিঠুয়া’মিলে আনবে লাঠি খেলা- আসবে আবার সোনালি দিন জমবে ভালবাসা ঝগড়া ফ্যাসাদ লুকিয়ে যাবে থাকবে আলো আশা। ‘বাইল্যা’ বিলেও ঢেউ দিবে জল থাকবে মাছে ভরা ‘চাইড়্যা’ বিলেও ধরবে জেলে মাছের পোনা ছাড়া- নদীর স্রোতে গাঁও-গেরামে আনুক পলি বেশি জীবন মানের বাড়ুক গতি আসুক হাসি-খুশি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।