আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে কোন ক্যামেরা কোথায় পাবেন এবং ক্যামেরা নিয়ে সকল ধরনের পরামর্শ

২.০ মেগাপিক্সেল মোবাইল ক্যামেরায় চলছে। যোগাযোগ <<< photopagol@gmail.com >>>

যাদের ছবি তোলার শখ আছে তাদের জন্য ক্যামেরা এর খোজ খবর নেওয়াটা জরুরী। ব্লগে ইদানিং অনেককেই ফটো নিয়ে কথা বলতে দেখা যায়। আসুন তাহলে দেশের বাজারে কোথায় কি পাবেন, তা জেনে নেই ক্যামেরা কেনার আগে ইন্টারনেটে সেই ক্যামেরার ভালমন্দ জেনে নেবেন এটাই স্বাভাবিক। ক্যামেরার বর্ননা ছাড়াও এক্সপার্ট রিভিউ বলে দেয় সেই ক্যামেরার দোষত্রুটি আছে কিনা।

আর ইউজার রিভিউ বলে দেয় তাদের অভিজ্ঞতার কথা। ক্যামেরা বাছাই করার পরই প্রশ্ন আসে সেটা বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাবে কি-না, দাম কত, ইত্যাদি। হতাশ করে দিয়ে বলতে হচ্ছে এখনও ইন্টারনেটে এই ব্যবস্থা চালু হয়নি। তারপরও আপনি ক্যামেরা কেনার জন্য কি করতে পারেন ধারনা পেতে পারেন এখানে। বাংলাদেশে নাইকন এবং অলিম্পাস ক্যামেরার ডিলার ফ্লোরা লিমিটেড।

তাদের ওয়েবসাইটে কিছু মডেল দেখা যাবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দাম লেখা নেই। ফোন করে জেনে নিতে হবে। ক্যানন ক্যামেরার ডিলার জেএএন। তাদের ওয়েবসাইট নেই।

আইডিবি ভবনে শোরুম রয়েছে সেখানে গিয়ে খোজ নিতে হবে। প্যানাসনিকের ডিলার এসিআই। তাদেরও ওয়েবসাইট নেই। তবে বিভিন্ন বিক্রেতার মাধ্যমে প্যানাসনিক ক্যামেরা বিক্রি হয়। বসুন্ধরা সিটিতে একটি শোরুম রয়েছে।

সনির ডিলার র‌্যাংস। তাদেরও ক্যামেরার ওয়েবসাইট নেই। বিভিন্ন শোরুমে গিয়ে খোজ নিতে হবে। কোডাকের ডিলার কম্পিউটার সোর্স। তাদের ওয়েবসাইটে দামসহ ক্যামেরার উল্লেখ রয়েছে।

এর বাইরে অন্য ক্যামেরা কিনতে হলে সরাসরি দোকানে গিয়ে খোজ নিতে হবে। আইডিবি ভবনে অনেকগুলি দোকানে ক্যামেরা বিক্রি হয়। বসুন্ধরা সিটি ক্যামেরা বিক্রির জন্য তেমন পরিচিত না হলেও সেখানে নতুন মডেলের সুপারজুম ক্যামেরাগুলি পাওয়া যায়। আর সবশেষ যায়গা বায়তুল মোকাররম এবং ষ্টেডিয়াম মার্কেট। আরেকটি বিষয় লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন, ডিলার ক্যামেরা বিক্রি করে ওয়ারেন্টি সহ, তাদের ট্যাক্স দিয়ে ক্যামেরা আনতে হয়।

যদি দামের সুবিধে পেতে চান তাহলে বায়তুল মোকাররম সবচেয়ে ভাল যায়গা। ক্যামেরা বর্তমানে ৩ ধরনের। ১.ডিএসএলআর ( দাম শুরু ৩০,০০০ +) প্রফেশনাল ২. সুপার জুম ( দাম শুরু ১৫,০০০ +) মোটামুটি ভাল কাজের ৩.কম্প‌্যাক্ট বা পয়েন্ট অ্যান্ড শুট (৬,০০০+) শখ মেটানো #পয়সা বেশি হলে ৩০,০০০+ টাকায় সরাসরি ডিএসএলআর কেনা উচিত। # ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ এর ভিতর ক্যামেরা না কেনাই উচিত। #এন্ট্রি লেভেলের ক্যামেরাতে ব্যাটারী লিথিয়াম-আয়ন রিচার্জেবল হতে হবে।

# এখন পারলে এইচডি মুভি রেকর্ড করা যায় এমন ক্যামেরা কিনুন। # এক্সট্রা ১টা বা ২টা ব্যাটারী সাথে রাখুন। নিশ্চিন্ত থাকুন # মেমরি কার্ড কিনুন ৪ গিগাবাইট # অকেশনে যাবার আগে চার্জ নিশ্চিত করে রাতে ঘুমাতে যান। # পিকনিকে গেলে ট্রাইপড নিলে ভালভাবে ছবি শুট করতে পারবেন। # লেন্স ব্যাবহার করলে তার মধ্যে যেন বালু না যায় তা লক্ষ্য রাখুন।

# বর্ষাকালে লেন্স কাচের পাত্রে রাখতে পারেন। # মেমরি কার্ড রাখুন ২টি। স্টোরেজ সমস্যা হতে পারে যেকোন সময়। # আইএসও এবং রুল অব থার্ডস ব্যাপারটা ভালভাবে জব্দ করুন। # মজাদার ছবি তোলার জন্য ক্যামেরা অন রাখুন সবসময়(পিকনিকে) # এসএলআর নিয়ে কিছু বলতে পারবোনা ( আমার নাই, তাই) #নতুন ক্যামেরা কেনার সময় কি কি দিবে সাথে এবং ওয়ারেন্টি জেনে নিন।

(ফটোওয়াকে যারা গেছিলেন তাদের কথা ব্লগে যা জানলাম তা হল ১৫,০০০ হতে ৩০,০০০ এ ক্যামেরা না কেনা-ই উচিত। ) হ্যাপি ফটোগ্রাফি ............ সুত্রঃইন্টারনেট এবং বাস্তব কিছু অভিজ্ঞতা


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.