আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুর্নীতির চিত্র টিআইবির রিপোর্টের চেয়েও ভয়াবহ

তোমাকে ভাবাবোই

ঢাকা, ২৩ ডিসেম্বর (শীর্ষ নিউজ ডটকম): দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের প্রকাশিত রিপোর্টে যে তথ্য উঠে এসেছে তা আংশিক দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, দেশের সার্বিক দুর্নীতির মাত্রা আরও ব্যাপক। রিপোর্টে শুধু নিম্নস্তরের দুর্নীতির চিত্র প্রতিফলিত অভিযোগ করে তিনি বলেন, সার্বিক চিত্র তুলে ধরতে হলে উঁচুস্তরের বিষয় এতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিআইআইএসএস মিলনায়তনে টিআইবির উদ্যোগে সেবা খাতে দুনীতি : জাতীয় খানা জরিপ ২০১০ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় তিনি একথা বলেন। টিআইবি ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম হাফিজ উদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জরিপ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন টিআইবির নির্বাহি পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক কাজী সালেহ উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক ড. এম কবির, অধ্যাপক সালাহ উদ্দিন এম আমিনুজ্জামান, অধ্যাপক বি কে মতিউর রহমান তানবির সিদ্দিকী, কামরান আহমেদ, ড. নুরুদ্দিন প্রমুখ।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার পরও সার্বিকভাবে বিচার বিভাগে দুর্নীতি বেড়েছে বলে টিআইবি যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে তা সত্য এবং এথেকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ সংশোধন ও সচেতন হওয়ায় সহায়তা নিতে পারে। তিনি বলেন, কমিশনে যোগদানের পর এই প্রথম বেশ কয়েকজন সাবেক বিচারপতির সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত প্রমাণ হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি ঘুষ-দুনীতি প্রসঙ্গে বলেন, জাতীয় অর্থনীতির ৫০ শতাংশ ব্ল্যাক মানি। তাই আগামীতে ঘুষ, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত যেই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি সরকার যে সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে তার একটিও প্রত্যাহার করা হয়নি। এ তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর মামলাও রয়েছে। বিগত ১/১১ তত্ত্বাবধায়ক সরকার অনেক ভাল কাজ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, তারা শুধুমাত্র একটি ভুল করেছিল। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চেয়ারম্যান না থাকায় কমিশনের সচিব সম্পদের হিসাব চেয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, এ হিসাব বিবরণী চাওয়ার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, দুর্নীতির দায়ে প্রতি বছর অন্তত একশ অভিযুক্তকে আদালতের মাধ্যমে সাজা নিশ্চিত করা গেলে তবেই দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে সুফল আসবে। এ প্রক্রিয়া অনুসরণ করা গেলে আগামী ৫ বছরে দুর্নীতি পঞ্চাশ শতাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। পুলিশের দুর্নীতি প্রসঙ্গে গোলাম রহমান বলেন, পুলিশ বিভাগে নিয়োগ, বদলি এবং পদোন্নতির ক্ষেত্রে ঘুষের আদান-প্রদান হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় দুর্নীতি দমনের প্রচেষ্টা হবে অরণ্য রোদন মাত্র।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।