আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাচ্চা বাচ্চা শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট না করলেই কী নয়??

সদা নিরুপায় তবুও অকুতোভয়

আশ্বিন মাস কুকুরের প্রজনন মৌসুম। একেকটা মা কুকুর প্রায় ৫-৬টি বাচ্চা জন্ম দেয় একেবারে। বলতে পারেন বাংলালিংক দামে। রাস্তাঘাটে যেদিকেই চোখ মেলে তাকাবেন সেদিকই দেখবেন কুকুরছানা।

কিন্তু মাস দুয়েক পরে জন্ম নেয়া ওই বাচ্চাগুলর তেমন অস্তিত্ত্ব পাওয়া যায় না।

মারা যায় নাকি আত্মহত্যা করে তা জানা নেই আমার। তবে বেঁচে যে থাকে না এটা নিশ্চিত। যদি বেঁচে থাকতো তবে রাস্তায় চলা দায় হতো। মানুষের চেয়ে কুকুরের সংখ্যা বেশি হয়ে যেত।

চলতি বছরের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে আজ।

যাতে দেখা যায় গড় পাসের হার ৮৯.৯৪ শতাংশ !! বিস্ময়বোধক চিহ্ন এই কারণেই ব্যবহার করলাম কারণ খোলা চোখে এটা অসম্ভব।

আমার মতে, পাশ আর কৃতিত্বের বাম্পার ফলন। প্রশ্নপত্র, উত্তরপত্র আর ফলাফল বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায়- পরীক্ষায় পাস মার্ক মনে হয় ৩৩ এর পরিবর্তে ৮০। আর পাসের হার ৯০ না হলে কেমন দেখা যায়! প্রেস্টিজে লাগে!

আমি ব্যক্তিগতভাবে কিছু বিশ্লেষণ করে যা দেখেছি, সবাইকে পাস করাতে হবে সঙ্গে ভাল ফল দিয়ে- এ রকম অঘোষিত একটা নির্দেশণা থাকে উপরমহল থেকে!! ফলাফল তাই বলে!

আজ থেকে ১০ বছর আগে চলে যান। তখন ছিল ডিভিশন আর লেটার মার্ক।

এখন যেটাকে এ প্লাস বলা হয় সেটা তখন লেটার মার্ক ছিল। ২০০১ সালে পুরো বাংলাদেশে ম্যাট্রিকে সব মিলিয়ে এপ্লাস ছিল ১৭৩ ছিল (সংখ্যাটা কচিহুটা হের ফের হতে পারে)!

আর এখন অর্ধালক্ষাধিক। তার মানে কি আগের চেয়ে এখনকার শিক্ষার্থীদের ব্রেন সুপার কম্পিউটার হয়েছে? নাকি পাসের হার আর এপ্লাসের সংখ্যা রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে? প্রশ্ন রাখলাম।

বাচ্চাকাচ্চাগুলোকে জোর করিয়ে পাস করিয়ে দেয়া, জোর করে ভাল রেজাল্ট বানিয়ে দেয়াকে (বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই) ভাল মনে করেন ? আপনি হয়তো আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারেন কিন্তু আমি শঙ্কিত। বাচ্চাকাচ্চাগুলো তেমন মেধা না খাটিয়েই, পরিশ্রম না করেই ভাল রেজাল্ট করছে এতে তো ওর ভবিষ্যত উজ্জ্বল হচ্ছে না, ধ্বংস করা হচ্ছে ।



একটা অনির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য জানাই- গত ২০১২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সব মিলিয়ে ৩৯৪৬০ জন ডাবল এ প্লাসধারি পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ভর্তির চান্স নয় শুধুমাত্র পাস করতে পেরেছিলেন কতজন জানেন? মাত্র ৭ হাজার ৩৯০ জন!!

সম্ভাবনা বাচ্চাগুলো লেখার শুরুর কুকুরছানাদের মতো হারিয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে তাদের স্বপ্নট্র্যাক থেকে! রাজনীতিবীদদের কাছে অনুরোধ- প্লিজ এই বাচ্চাগুলোকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না, প্লিজ, প্লিজ। ওরা যতটুকু পারে যতটুকু ওদের প্রাপ্য ওদের ঠিক তুতটুকুই নাম্বার দিন, ওদের জীবনটা ধ্বংশ করবেন না! প্লিজ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.