আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিএনএ কম্পিউটার---- জিনিসটা আসলে কি??

আঁধারে আঁধারময় শর্বরী আমার, স্বপ্নালু চোখে খুজি বার বার, দূরন্ত যৌবনময় অন্ধকার, শুধু হাহাকার।

উপস্নাতক গবেষণার প্রস্তাব জমা দিতে হবে। কি করা যায়। আমি আর আমার সহযোগী বন্ধু গেলাম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাহেদ স্যারের কাছে। প্রথমে ভেবেছিলাম যে একটা সফট অয়ার বানাবো।

কিন্ত কি বানাব?? দরকারী সব সফট অয়ার তো ইতিমধ্যে তৈরী হয়ে গেছে। এমন কিছু বানাতে হবে যা এখন অ কেও বানায় নাই। বহুত কঠিন কাজ। স্যার কে বললাম যে আমরা গবেষণা করতে চাই। স্যারের কাছ থেকে কিছু ধারণা চাইলাম।

স্যার ৪ টা বিষয় দিলেন। ১) ক্লাউড কম্পিউটিং ২) ডিএনএ কম্পিউটিং ৩) বডি সেন্সর নেটওয়ার্ক ৪) বায়োইনফরমেটিক্স স্যার আমাকে বললেন "তুমি তো অটোমাটা খুব ভালো পার, ডিএনএ কম্পিউটিং টা দেখতে পার। " আমি সবগুলো বিষয়ে এক্তু পড়াশুনা করলাম। শেষে ডিএনএ কম্পিউটিং কেই উপস্নাতক গবেষণার বিষয় হিসেবে নির্বাচিত করলাম। আমরা কম্পিউটার বলতেই বুঝি একটা মনিটর বা স্ক্রীন, কি বোর্ড, মাউস ইত্যাদি।

কিন্ত একটা ডিএনএ কম্পিউটারে এগুলো কিছুএ নেই। তাহলে এটা দিয়ে কি করে? কি ভাবে উপাত্ত দেয়?? কিভাবে ফলাফল দেখে??? ডিএনএ কম্পিউটারের ব্যবহার ই বা কোথায়???? ডিএনএ কম্পিউটার একটা টেস্টটিউবে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। যে সমস্যাটাকে সমাধান করতে হবে তা ডিএনএ অণুতে এনকোড করে নিতে হয়। এবার ডিএনএ ডাবল হেলিক্সকে টিউরিং মেশিনের ফিতা হিসেবে ধরে বিভিন্ন ধরনের গননা সম্পাদন করে ফলাফল বের করা যায়। গনণা করার পর টেস্টটিউবের ডিএনএ অণুতে ফলাফল পাওয়া যায়।

কিছু কিছু ধাধা আছে যা আমাদের সুপার কম্পিউটার দিয়ে সমাধান করতে বিলিয়ন বছর লাগবে। যেমন ১০০০০ বাস স্টপেজ আছে, এদের মধ্যে, কিছু কিছু বাস স্টপেজ থকে অন্য বাস স্টপেজে সরা সরি রাস্তা আছে, আর কিছু কিছু বাস স্টপেজে অন্য এক বা একাধিক বাস স্টপেজে ভায়া হয়ে যেতে হয়। দুটো বাস স্টপেজের মাঝে এমন কি কোন পথ আছে যে অবশিষ্ট বাস স্টপেজে গুলোর মধ্য দিয়ে সর্বোচ্চ একবার করে যাওয়া যায়????? এটি হ্যামিল্টনিয়ান পাথ প্রব্লেম এর এক্তু মডিফিকেশন। আমাদের সিলিকন-নির্ভর কম্পিউটারের এই পথ বের করতে হাজার বছর লেগে যাবে, কিন্ত ডিএনএ কম্পিউটারের এটা কয়েক সপ্তাহ লাগবে। ডিএনএ কম্পিউটিং এর মুল ব্যবহার হল কেমিক্যাল আর ড্রাগ ডিজাইনে।

এখন আমরা ডিএনএ কম্পিউটার নিয়ে গবেষণা করছি, বছর দশেক পর হয়তো কেউ বায়োচিপ ব্যবহার করে দুনিয়া কাপিয়ে ফেলবে। সম্ভবত এটাই আমার পড়াশুনার শেষ ধাপ, তাই গবেষণাটা ভাল করে করতে চাই।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.