আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রানজিট স্থায়ী হতে পারে



ভারতকে দেয়া এককালীন ট্রানজিট স্থায়ী রূপ নিতে পারে। আশুগঞ্জ নদীবন্দরের অবকাঠামো উন্নয়ন, আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত সড়ক বা রেলের পরিবহন ক্ষমতা বাড়ানো এবং আখাউড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত নতুন রেললাইন স্থাপন--- এত সব বিনিয়োগ এককালীন ট্রানজিটকে স্থায়ীতে রূপান্তরের পরিবেশ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এ অনুকূল পরিবেশেই ভারত তাদের মূল ভূখণ্ড থেকে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সংক্ষিপ্ত পথে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যাওয়ার বহুল কাঙ্ক্ষিত ট্রানজিট বা করিডোর সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশকে ঋণের জালে জড়িয়ে। উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ট্রানজিট সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা নিয়ে কোনো মন্ত্রণালয়ের প্রশ্ন তোলার অবকাশ রাখা হয়নি। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতকে এ বারণে উপেক্ষা করা হয়েছে।

আর দু'দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সিদ্ধান্তগুলোর সাথে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পপদ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয় সংযুক্ত। ২০০৭ সালেই সরকার ভারতকে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে কনটেইনার পরিবহনের অনুমোদন দেয়। এ জন্য পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের উন্নয়ন কাজ শুরু হয়, যা চলতি ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। পানগাঁও টার্মিনাল চালু হলে রেলওয়ের পাশাপাশি নদীপথেও ভারত থেকে কনটেইনারে পণ্য আসবে। ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনে নদীবন্দর, সড়ক বা রেলপথের উন্নয়ন বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে করা উচিত ছিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কারণ এটার ওপর ভারতের দাবি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলে এটার ভিত্তিতেই ভবিষ্যতে দেশটি স্থায়ীভাবে বাংলাদেশের কাছ থেকে পরিবহন সুবিধা চাইতে পারে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দিলিতে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে ভারত নিজ উদ্যোগেই আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। এ রেললিংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ভারত তার দীর্ঘদিনের চাহিদা অনুযায়ী রেল ট্রানজিট সুবিধা পেতে পারে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এখন তিনটি রেললিংক চালু রয়েছে। এগুলো হলো গেদে-দর্শনা, সিংহাবাদ-রোহানপুর এবং পেট্রাপোল-বেনাপোল।

এর সব ক'টি সংযোগই ব্রডগেজ রেললাইনের মাধ্যমে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রেললাইনগুলোও ক্রমান্বয়ে ব্রডগেজে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে মৈত্রী ট্রেন চালানোর জন্য ইতোমধ্যে রেললাইনকে ক্ষেত্রবিশেষে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হয়েছে। আর বেনিয়া বিশ্বব্যাংক মালবাহী ট্রেন চালানোর জন্য বাংলাদেশকে পৃথক যমুনা সেতুর জন্য অর্থায়নের প্রস্তাব আগে থেকেই দিয়ে রেখেছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.