আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উইকিলিকসের আরো দুই নথিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ



বিভিন্ন ইসলামী দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ইস্যুতে সৌদি সরকার বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে কি না, যুক্তরাষ্ট্র সরকার তা জানতে চেয়েছিল। মার্কিন বিশেষ দূত রিচার্ড হলব্রুক জানান, সৌদি আরব সফরকালে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আল-হুমায়দানের সঙ্গে বৈঠককালে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ তুলে এ দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সময় গত রোববার রাতে ইন্টারনেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম উইকিলিকসের ফাঁস করা ২০০৯ সালের রিয়াদের মার্কিন দূতাবাসের এক নথিতে এ কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া ফাঁস হওয়া অন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক নথিতে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে দাতব্য সংস্থাগুলো যাতে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন করতে না পারে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ২০০৯ সালের ২৯ মে রিয়াদের মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো 'সৌদি ইন্টেরিয়র মিনিস্ট্রি ব্রিফস স্পেশাল অ্যাডভাইজার' শীর্ষক নথির ৭-এর 'সি' অংশে বলা হয়েছে, 'হলব্রুক বলেছেন, ইসলামী দাতব্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের ক্ষেত্রেও পাকিস্তান কেন্দ্রস্থল হিসেবে আছে।

হলব্রুক জানতে চান, সৌদি আরবে অবস্থানরত বিশাল পাকিস্তানি সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর সৌদি সরকার নজর রাখছেন কি না। এ ছাড়া দাতব্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে সৌদি সরকার আলোচনা করছে কি না তাও তিনি জানতে চান। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ দমনবিষয়ক উপদেষ্টা আল-হুমায়দান জানিয়েছেন, সৌদি আরব উপরোলি্লখিত দেশগুলো থেকে আসা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ব্যক্তিকে আটক করেছে এবং তাদের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সহযোগিতা চেয়েছে। হলব্রুক আরো বলেছেন, 'পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি এবং ভালো সাড়া পেয়েছি। কিন্তু আইএসআইয়ের বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে উপদেশ দেওয়া হয়েছে।

তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগের আগে আমাদের দশ বার ভাবতে হচ্ছে। ' এ ছাড়া ২০০৯ সালের ৩০ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো আরেক নথিতে সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন ইস্যুতে দাতব্য সংস্থা রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনায় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ এসেছে। এতে বলা হয়েছে, রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করেছে। এ ব্যাপারে কেবল মার্কিন সরকারই উদ্বিগ্ন নয়, আরো ছয়টি দেশ (আলবেনিয়া, আজারবাইজান, বাংলাদেশ, বসনিয়া-হার্সেগোভিনা, কম্বোডিয়া ও রাশিয়া) তাদের দেশে রিভাইভাল অব ইসলামিক হেরিটেজের শাখা অফিসগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। নথিতে সন্ত্রাসবাদের পেছনে দাতব্য সংস্থাগুলোর অর্থায়ন ঠেকাতে কুয়েত সরকারের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.