আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে কি বসুন্ধরা এর কোন সমস্যা চলছে???????????



নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে ভর্তিবাণিজ্য! দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ভর্তিতে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিটি সেমিস্টারে এক-তৃতীয়াংশ ছাত্রছাত্রীই লাখ লাখ টাকার লেনদেনে ভর্তি হচ্ছেন। এ কারণে দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মেধাবীরা। তবে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এ ভর্তিবাণিজ্যে কোনো রাখঢাক নেই। এনএসইউ পরিচালনা পরিষদ নিজেদের প্রার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির সিদ্ধান্ত বোর্ডসভায় অনুমোদন করিয়ে নেয়।

তবে এর বাইরে চেয়ারম্যান, ভিসি ও ভিসির অনুপস্থিতির সুযোগে তার কার্যালয়ের কর্মচারী এবং গজিয়ে ওঠা দালালচক্র নানাভাবে ভর্তিবাণিজ্য করে যাচ্ছে। বোর্ডের কিছু সদস্য অবশ্য ভর্তিবাণিজ্য ও কেনাকাটায় সংশ্লিষ্টতাকে পেশা হিসেবেই নিয়েছেন। তবে অনেক বোর্ড সদস্যই ভর্তিবাণিজ্যে জড়িত নন। ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) হাফিজ জিএ সিদ্দিকী অকৃতকার্যদের ভর্তির বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি বলে বোর্ডের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী তিনি ভর্তি করতে বাধ্য। গতকাল বিকালে তিনি টেলিফোনে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এটা বন্ধের জন্য আমি চিঠি দিয়েছি।

এতে অবৈধ ভর্তি বন্ধ হয়েছে কি না জানতে চাইলে ভিসি বলেন, কখনো কমেছে, আবার বেড়েছে। তবে বোর্ডের ওপর দায় চাপালেও ভিসি নিজেও অকৃতকার্যদের ভর্তি করেন বলে অভিযোগ আছে। আর অনিয়মের সহযোগী হওয়ায় আগাম অবসর নেওয়ার পরেও তাকে দিয়ে প্রায় এক বছর দায়িত্ব পালন করানো হয় বলে জোর আলোচনা রয়েছে এ ইউনিভার্সিটিতে। পছন্দের প্রার্থী অনুমোদন না পাওয়ায় অসুস্থ, অনুপস্থিত হাফিজ জিএ সিদ্দিকীকে ১ জানুয়ারি থেকে পুনরায় চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে রয়েছে। সার্বক্ষণিক গাড়ি, দুটি ফোন, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, বোনাস, বিমা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা ছাড়াও মাসে পাঁচ লাখ ৬৪ হাজার ৭৫০ টাকা বেতন দেওয়া হবে।

যেভাবে দুর্নীতি-অনিয়ম চলছে তাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন কেউ কেউ। ১৯ আগস্ট ভিসির কাছে এনএসইউ পরিচালনা পরিষদ সদস্যদের পাঠানো তালিকা অনুযায়ী এদের শরৎ সেমিস্টারে ভর্তির নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান আজিমউদ্দিন। এতে মো. শাহজাহানের পাঁচ, মিসেস রেহানা রহমানের চার, রাগীব আলীর পাঁচ, এম এইচ খানের পাঁচ, মিসেস ইয়াসমিন কামালের পাঁচ, ইউসুফ এ হারুনের তিন, বেনজীর আহমেদের পাঁচ এবং এম এ কাশেমের পাঁচজনের নাম রয়েছে। চেয়ারম্যান আজিমউদ্দিন ৩০ আগস্ট ৩৩ জনের আরেকটি তালিকা শরৎ সেমিস্টারে ভর্তির জন্য পাঠান। এ তালিকাটি বোর্ড সদস্যদের দেওয়া বলা হলেও নাম দেওয়া হয়নি।

৩১ আগস্ট আরেকটি তালিকা পাঠিয়ে তিনি বলেছেন, এটি বোর্ড সদস্য, মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পাঠানো। এখানে ৯২টি নাম পাওয়া গেছে। ৬ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান বিশেষ বিবেচনায় দুজনকে ভর্তির নির্দেশ দেন। একই দিন আরও ১২ জনকে এবং ভিসি একজনকে ভর্তির নির্দেশ দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ভিসি বিশেষ বিবেচনায় তিনজনকে ভর্তি ও একজনের বিষয় পরিবর্তনের নির্দেশ দেন।

২১ সেপ্টেম্বর তিনি বিশেষ বিবেচনায় আরও চারজনকে ভর্তির নির্দেশ দেন। ১৩ সেপ্টেম্বর ছয়জন ও ১৫ সেপ্টেম্বর দুজনকে বিশেষ বিবেচনায় ভর্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এর বাইরে শরৎ সেমিস্টারে বোর্ড সদস্য এম এ হাশেমের পাঁচ ও বেনজীর আহমদের দুজন ছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং মহাজোটের শরিক কয়েকটি দলের প্রভাবশালী কয়েকজন সংসদ সদস্যের তদবিরেও কয়েকজন অকৃতকার্যকে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৮৬তম বোর্ডসভার সিদ্ধান্তের উল্লেখ করে চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল ভিসির কাছে সামার ২০০৯ সেমিস্টারে ইশিতা জাহান মীমকে ভর্তির জন্য পাঠান। ওই সেমিস্টারে এম এ আউয়াল দুই, ইফতেখারুল আলম দুই, এস এম কামালউদ্দিন এক, ইয়াসমিন কামাল দুই, রাগীব আলী তিন, রেহানা রহমান দুই, বেনজীর আহমেদ তিন, আবুল কাশেম এক, এম এ হাশেম দুই, মো. আবুল কালাম দুই, মো. শাহজাহান দুই, এম এ কাশেম এক, আজিমউদ্দিন আহমদ দুই ও ইউসুফ এ হারুন দুজন অকৃতকার্য ছাত্রছাত্রীকে ভর্তি করিয়েছেন।

এনএসইউ চেয়ারম্যান গত বছরের ২৫ মে ভিসিকে এক স্মারকে জানান, ২১৭তম বোর্ডসভায় বোর্ড সদস্য, এমপি ও গণমান্য ব্যক্তিদের সুপারিশকৃত কতিপয় বিশেষ কেস অনুমোদন করা হয়েছে। তালিকা সংযুক্ত করা হলেও সংখ্যা বলা হয়নি। ভিসি রেজিস্ট্রারকে ভর্তি করার নির্দেশ দেন। এ তালিকায় ৪৫ জনের নাম ছিল। ভিসির অফিসের ক্লার্ক মোশাররফের রেফারেন্সেও তাফসিন আহমদ নামে একজনকে ভর্তি করা হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সম্প্রতি জুনিয়র অফিসার হিসেবে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোশাররফসহ তার কয়েকজন স্টাফই অনুপস্থিত ভিসির কাজকর্ম চালান। সূত্রগুলো জানায়, ভিসি এ কে এম হক নামে এক ছাত্রকে তার প্রার্থী হিসেবে ২০০৯ সালের ৩ মে, ২৭ মে তাফসিন আহমদকে এবং ৩১ মে নূরজাহান তুলি নামে আরেক ছাত্রীকে নিজের প্রার্থী বলে ভর্তির নির্দেশ দেন। Click This Link এটা আমার লেখা না কপি পেস্ট করেছি মাত্র লিঙ্ক টা হল আসল সোর্স ৫-১২-২০১০ এ বসুন্ধরা এর মালিকানাধীন একটি পত্রিকায় এই খবরটি ছাপানো হয়...... আগে ও এই রকম কিছু খবর দেয়া হয়েছিল................. একেবারে প্রথম পাতায় স্টুডেন্ট স্টাফ এর নাম সহ এই ধরনের খবর একটা বিশ্ববিদ্যালয় এর নামে ছাপিয়ে দেয়া কেমন যেন রহস্যজনক......। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে কি বসুন্ধরা এর কোন সমস্যা চলছে???????????

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.