আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ট্রানজিট : আর্থিক বেনিফিটের গ্যারান্টি নেই-২



ভারতের অন্যান্য প্রদেশ থেকে সেভেন সিস্টার্সে বর্তমানে বছরে এক কোটি ৭ হাজার টন পণ্য পৌঁছে। অন্যদিকে বছরে ২৩ লাখ টন পণ্য ভারতের অন্যান্য প্রদেশে যায় 'প্রান্তিকের প্রান্তিক' নামে পরিচিত সেভেন সিস্টার্সে। আবার গত ৫০ বছর ধরে এখানে নানা কায়দায় বিদ্রোহ লেগেই আছে। সোজা কথায়, বাংলাদেশের সহায়তা ছাড়া সেভেন সিস্টার্সের উন্নয়ন ও বিদ্রোহ দমন মোটেও সম্ভব নয়। কিন্তু বাংলাদেশের গদিপ্রেমী 'খাই খাই' মার্কা রাজনীতিবিদরে কারণে ভারত ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে চিরস্থায়ী বেনিয়াবৃত্তিতে নামতে চাইছে।

এ কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের সামরিক যুদ্ধে বাংলাদেশ কেন বিনিয়োগ করতে যাবে? অর্থাৎ এ চুক্তি বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার যেভাবে উঠেপড়ে লেগেছে, তা স্বাভাবিক দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই। ভারতকে যে কোনো মূল্যে করিডর দিয়ে 'ক্ষমতা' নিশ্চিত করতে চাইছে বর্তমান সরকার। এই দেউলিয়া মানসিকতা হচ্ছে পতনের পলা সবক। আমাদের এটা ভুললে চলবে না যে, এলডিসি কান্ট্রি (লিস্ট ডেভলাপড কান্ট্রি) হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ১২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভারতের কাছে শুল্কমুক্ত পণ্য রফতানির দাবি করতেই পারে এবং দীর্ঘদিন ধরে তা করছে। কিন্তু ভারত তাতে মোটেও সায় দিচ্ছে না।

সব সময় মুলো ঝুলিয়ে রাখছে। ট্রানজিটের বিষয়টি সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কার করা না হলে বাংলাদেশী জনগণের মাঝে একটা সন্দেহ থেকে যেতেই পারে। এ কারণে ট্রানটজট না দিয়ে ভারতের সঙ্গে বুঝে-শুনে স্রেফ ট্রানশিপমেন্ট চুক্তি করতে পারে। নানা পন্থায় বাংলাদেশী জনগণের কাছ থেকে সারচার্জ আদায় করে রেল ও সড়ক পথের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। ট্রানজিট হলে ভারতীয় যানবাহন বাংলাদেশের সড়ক, রেল ও জলপথ ব্যবহার করবে।

কিন্তু ট্রানশিপমেন্ট চুক্তি হলে ভারতীয় যানবাহন সেই সুযোগ পাবে না। কথাটা এ কারণেই বলা হচ্ছে, ট্রানজিট চুক্তি এক দিনেই বাস্তবায়ন করা যাবে না। সবার আগে নিশ্চিত হতে হবে, এদেশের জনগণ তা চাইছে কিনা। চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্ত নিয়ে পরে ঝামেলার চেয়ে আগেই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা ভালো। মিডিয়া মারফত যা জানা গেছে, তার সারমর্ম হচ্ছে, যে সব সড়কে এবং যে সময়গুলোতে ভারতীয় ওভার ডাইমেনশনাল কার্গো (ওজন ২৯০ টন)চলাচল করবে, সেই সব সড়ক ও সময়গুলোতে ওই সব সড়কে বাংলাদেশী কোনো যান চলতে পারবে না।

এটা হলো অনুমান। কারণ সরকার যদি করিডর চুক্তি করে থাকে, তাহলে এসব সড়কে মোটেও বাংলাদেশী যান চলতে পারবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.