আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হ্যাকাররা সাবধান, তোমাদের যম এসে গেছে।

হ্যাকাররা সাবধান, তোমাদের যম এসে গেছে।
হ্যাকিং ভাল না খারাপ সেই বিতর্কে আমি ঢুকবো না। হ্যাকারদের আমি খুবই ভয় পাই। তারপর টেকটিউনে হ্যাকিং নিয়ে বিভিন্ন লেখা পড়ে আমার ভয় আরও বেড়ে গেছে। এইতো সেদিন এক জন টিউনার শেখালেন কিভাবে অন্য লোকের ইমেইল পাসওয়ার্ড হ্যাকিং করে জেনে নেওয়া যায়।

পড়ে তো আমার রাতের ঘুম চলে গেছে। না দুশ্চিন্তায় নয়। আমি ভাবছি কিভাবে এর মোকাবিলা করা যায়। না না... আমি হ্যাকারদের সঙ্গে মারামারি করতে যাব না। ভাবছি এর পাল্টা যদি কোন প্রোগ্রাম বানানো যেত যে হ্যাকার যখন আমার ইমেইল পাসওয়ার্ড হ্যাক করবে তখন হ্যাকারের কম্পিউটারটা বন্ধ হয়ে যাবে আর আমার কাছে একটা এলার্ট এসে যাবে পাসওয়ার্ড বদল করার জন্য।


যেদিন এই প্রোগ্রামটা বানাতে পারব সেদিন আপনাদের টিউন করে জানাব। আর যদি আপনারা আমার আগে বানাতে পারেন তবে আপনারাও টিউন করে জানিয়ে দেবেন, আমার উপর ভরসা করে বসে থাকবেন না। না, আমার ভাবনার মতই যে আপনাদের প্রোগ্রামটা হতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপনারা অন্য রকম কায়দায়ও এটা বানাতে পারেন।
আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তুমি হাকিং করতে চাও কিনা তবে আমি বলব, না আমি চাই না।

এরপর যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করে তোমার কাজের জিনিষ কাউকে হ্যাকিং করতে দিতে চাও কিনা তবে আমার উত্তরটা একই হবে, না আমি চাই না।
আমার টিউনের ভিজিটরদের কাছে আমি এই একই প্রস্ন আমি ছুড়ে দিলাম, আমাকে কমেন্টস করে জানান আপনারা কি চান? যদি আমার সঙ্গে একমত না হন তাহলে আমাকে যুক্তি দিয়ে বোঝাবেন হ্যাকিং এর উপকারিতা কি।
আমাকে যদি কেউ জিজ্ঞাসা করে তোমার জীবনে যদি বড় হ্যাকার হওয়ার সুযোগ আসে তবে তুমি কি করবে? আমি বলব আমি সেই সুযোগ হাতছাড়া করবো। কারণ আমি বড় হ্যাকার হতে চাই না, আমি বড় অ্যান্টি হ্যাকার হতে চাই, অনেকটা অ্যান্টি ভাইরাসের মত। কারণ আমি হ্যাকার হয়ে লোকের অভিশাপ নিয়ে বাচতে চাই না কারণ হ্যাকারের পাল্লায় পরে অনেকে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেন আর এতে আমার লেখা পড়ার ভিজিটরের সংখ্যা কমে যাবে।

আমি তো জেনে বুঝে আমার ক্ষতি করতে পারি না।
গৃহস্ত যদি দরজা খুলে রাখবে তবে চোর তো ঢুকবেই তাতে চোরের কি দোষ, যত দোষ তো গৃহস্তেরই। কেন যে লোকে শুধু শুধু চোরকে দোষ দেয় কে জানে। আরে এটাও তো এক ধরনের শিল্প। এটা শুনে এক গৃহস্ত বলল, আপনি এটাকে শিল্প বলছেন? কেন বলব না, আপনার তো মনে করুন কাজে অকাজে অনেক জায়গায় যেতে হয় সেখানে অনেক ঘরের দরজাই আপনি খোলা দেখেন কিন্তু আপনি চুরি করেন কি? করেন না, কারণ এই শিল্পটা আপনার শেখা নেই।

গৃহস্ত বলল, আমার শেখার কোন ইচ্ছাই নেই। ঠিক বলেছেন আমিও সেটাই আপনাকে বলছি যে সবার দাড়া সব কাজ হয় না।
একজন ইন্টারনেট প্রেমীকে কথাগুলোকে বলতে সে বলল আজকাল সি সি টিভি ক্যামেরার দৌলতে শুনছি অনেক চোর ধরা পড়ছে কিন্তু এই হ্যাকারদের নিরস্ত করবেন কিভাবে? না সত্যি বোধহয় সেটা সম্ভব নয়।
না, এটা শুনে হ্যাকাররা অত আনন্দে নেচে বেড়াবেন না। আমি বলি, হ্যাকাররা সাবধান তোমাদের যম এসে গেছে।

আর সেই যমের নাম ‘প্লেইসরেইডার’ (PlaiceRaider)।
চোরের উপর বাটপাড়ি তো আপনারা শুনেছেন, আর এটা বানানো হয়েছে সাইবার অপরাধীদের(হ্যাকারদের)  উপর বাটপাড়ি করার জন্য। আর এটা আবিস্কার করেছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা। আর এটা একটা অ্যাপ্লিকেশন, যেটা যেকোনো ভাবে কোন ব্যক্তির স্মার্ট ফোনের ভিতর ভরে দিলেই হয়ে যায় কেল্লা ফতে। শান্তশিষ্ট দেখতে গোবেচারা ফোনটা হয়ে উঠবে এক শক্তিশালী গুপ্তচর।

কিন্তু কিভাবে হয় সেটা? আসলে অ্যাপ্লিকেশনটা ফোনে ভরতেই ফোনের ক্যামেরা অপশানটা চালু হয়ে যায়। আর তার থেকে হ্যাকারদের একান্ত ব্যক্তিগত ও গোপনীয় তথ্য চলে যাবে তাদের হাতে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন আবিস্কারের মত এটারও তো আগে পরীক্ষা নিরীক্ষা দরকার, তাই তো কিছুদিন আগে মার্কিন নৌ সেনার একটি বিশেষজ্ঞ দল ইন্ডিয়ানার কুড়ি জন ব্যক্তির স্মার্ট ফোনের উপর পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন তবে তাদের না জানিয়ে। এবং তাতে খুব ভাল ফলও পাওয়া গেছে হাতেনাতে। সেইসব ব্যক্তিদের চেকের নম্বর থেকে  শুরু করে বাড়ির প্রতিটি কোনের ছবি, সবই যেন হাতের নাগালের মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞরা এই কাজের মূল উদ্দেশ্য যে ভাবে বিশ্লেষণ করেছেন তাহল হ্যাকারদের দমন করাই এর মূল উদ্দেশ্য। কোন খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে এটা তৈরি হয় নি। হ্যাকারদের ভবিষ্যৎ কর্মকাণ্ডের ভাবনা চিন্তা সম্পকে আগে থেকে জেনে নিয়ে সতর্ক থাকা। গোটা বাড়িটির ভিতরের নিখুদ ছবি তুলে রাখা থ্রিডিতে। হ্যাকারদের ঘরের প্রতিটি খুঁটিনাটি, চেক বইএর নম্বর, ক্রেডিট কার্ডের নম্বর, এমনকি অফিস ও বাড়িতে ব্যবহার করা কম্পিউটারের পাসওয়ার্ডও অতি সহজে জেনে ফেলা যায়।

ফলে তারা যেখানেই থাকুক বাড়িতে কিংবা অফিসে। যেখানেই যান ব্যাঙ্ক কিংবা শপিং মলে, সব গতিবিধি তখন নজরবন্দি। অর্থাৎ প্রতিটি নিখুদ ছবি তাদের কাছে চলে যাবে, আর এইসব থ্রিডি ছবিতে যদি কোন খুদ থাকে তাকে ডেভেলপ করে নেওয়া যাবে অতি সহজেই। কিন্তু ত্রিমাত্রিক বা থ্রিডি ছবি কেন? রবার্ট টেম্পলম্যান নামে এক গবেষক জানালেন, কারণ থ্রিডি ছবিতে প্রতিটি জিনিষের খুঁটিনাটি ছবি পাওয়া যায় অতি সহজেই এবং সুবিধাজনকভাবে। এছাড়া তিনি আরও জানিয়েছেন আপাতত অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ অপারেটিং সিস্টেম থাকা যে কোন স্মার্ট ফোনে এই ‘প্লেইসরেইডার’ অ্যাপ্লিকেশনটি ভরে দেওয়া সম্ভব।

তিনি আরও জানিয়েছেন যে ভবিষ্যতে আইওএস বা উইন্ডোজ ফোনেও এটি ব্যবহার করা যাবে।
অনেকেই বলতে পারেন এটা দিয়ে এখনই সমস্ত হ্যাকারের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। যেকোনো লক্ষে পৌঁছানোর জন্য শুরুটা খুবই জরুরী। যদি শুরুই না হয় তবে লক্ষ্যে কোন দিনই পৌঁছান যাবে না।
যেমন ধরুন PHP প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের কথা।

প্রথমে এটি তৈরি করা হয়েছিলো শুধুমাত্র পার্সোনাল হোমপেজ তৈরি করার জন্য আর এখন এটি একটি পুরোপুরি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যার মাধ্যমে শক্তিশালী ডাটাবেজ ভিত্তিক ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সহজেই তৈরি করা যায়। এরকম অনেক উদাহরণই আপনারা দিতে পারবেন। তাই হ্যাকারদের নিশ্চিন্ত হওয়ার কোন কারণ নেই।
তবে হ্যাকিং কে ভাল কাজেও লাগান যেতে পারে। যেমন ধরুন বাগ ফাইন্ড করার জন্য অর্থাৎ প্রোগ্রামিংএর ভুল বার করার জন্য যাতে ভালভাবে প্রটেক্টেড ভাবে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়।

কারণ কোন চোর আর্থিক লেনদেনের কোন সাইটের কোন ক্ষতি করতে না পারে, কিংবা ধরুন শত্রু দেশের কেউ যাতে কোন গোপন নথি পাচার করতে না পারে। এই রকমই আরও অনেক কিছু।
সব শেষে টেকটিউনের এক টিউনার যাকে আপনারা প্রায় সবাই চেনেন তার প্রোফাইলের একটা কথা দিয়ে শেষ করব তাহল, কারোর কোন উপকার করতে না পারি যেন অপকার  না করি। হ্যাকাররা এই কথাটা একবার  ভেবে হ্যাকিং করুন।
 


সোর্স: http://www.techtunes.com.bd/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.