ব্লগীয় যুদ্ধকে ভালোবাসি। ব্লকিও যুদ্ধকে ঘৃণা করি।
মীর শওকত। যার উত্থান জিয়াউর রাহমানের আমলে। জিয়াউর রহমানের ছায়া সঙ্গি।
কর্নের তাহের ঠাকুরের হত্যার পরিকল্পনাকারী ও তাকে বলা হয়। জিয়াউর রহমানও মীর শওকতকে বঞ্চিত করেননি। প্রেসিডেন্ট পত্নি বেগম খালেদা জিয়া তাকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। মন্ত্রী হয়েই মীর শওকত চেয়েছেন আরো অধিক রাজনীতিক হতে। আরো বড়ো নেতা হতে।
তাই লালবাগ এলাকায় তৈরি করেছেন তার কিছু ক্যাডার বাহীনী। কিন্তু ১৯৯৬ এর নির্বাচনে তারই ছায়া সঙ্গি লালবাগের শীর্ষ ক্যাডার কমিশনার হাজী সেলিম তার সাথে প্রতারণা করে বসে। হাজী সেলিম নিজেই মনোনয়ন দাবী করেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া আস্তা রেখেছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একান্ত বিসস্ত সঙ্গি মীর শওকতের উপর। হাজী সেলিম ও থেমে থাকেন নি।
দল পাল্টিয়ে হয়ে গেলেন আওয়ামীলীগার। পেয়ে গেলেন মনোনয়ন ও। শুরু হলো গুরু শিষ্য যুদ্ধ। যুদ্ধে হেরে গেলেন মীর শওকত। লালবাগবাসী একজন শিক্ষিত জেনারেলের চেয়ে অশিক্ষিত সন্ত্রসী হাজী সেলিমকেই অধিক যোগ্য মনে করেছে।
হতাশ হলেন মীর শওকত।
হাজী সেলিমের কাছে হারায় দলে তার কদর কমতে থাকল। আর এরই মধ্যে উত্থান ঘটল ছাত্রদল সভাপতি নাসিরউদ্দিন আহমেদ পিন্টুর। ২০০১ এর নির্বাচনে মীর শওকত এর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন এই পিন্টু। চরম ক্ষোভ আর অপমানে মীর শওকত রাজনীতি থেকে দূরে হাটতে থাকেন।
সখ্য গড়ে তোলেন পুরানো বন্ধু বি. চৌধুরির সাথে। কিন্তু তার দলে যোগ দেননি। কর্নেল অলি, ব্যারিস্টার রাজ্জাক আলী গং দের সাথে ছিল নিয়মিত যোগাযোগ। বিএনপির পুরো ৫ বছর ছিলেন অনেকটা নিরব। মাঝে মাঝে টিভিতে দেখা যেত।
তাতে সরকার বিরোধী সমালোচনা করতেই বেশী আনন্দ পেতেন তিনি।
অবশেষে এলো মইন - ফকির সরকার। আর উত্থান হলো এই জেনারেলের ও। এমন কোন দিন ছিলনা যেদিন মীর শওকতকে টিভিতে দেখা যেতনা। বিভিন্ন বিশ্লেষনধর্মী কথা বলতেন।
নিজের অভিজ্ঞতা বলতেন। কিছুদিন বিএনপির অফিসেও গিয়েছেন। কিন্তু মেজর আক্তারুজ্জামানের মতো তিনিও সুবিধা করতে পারেননি।
এবার তিনি গেলেন ভিন্ন পথে। ভিন্নভাবে নেতা হওয়ার খায়েশ পেয়ে বশে তাকে।
এবার টার্গেট ইন্ডিয়ান রুপিতে পরিচালিত সেক্টর কমান্ডার ফোরাম। এই ফোরামের প্রতিটি অনুষ্ঠানে তিনি গরম গরম বক্তৃতা রেখে মাঠ গরম রাখতেন। বড় শখ ছিল বড় নেতা হওয়ার। কিন্তু এবার হতাশ। এখানেও কোন পদ পেলেন না।
ইতোমধ্যে ব্যার্থ হয় মইন ফকির সরকার। ব্যার্থ হয় মীর শওকতের মিশনও। আবারো চুপশে গেলেন তিনি। মইন - ফকির সরকার পরিবর্তনের পরে তিনি আবার উদাও হলেন টিভি চ্যানেল থেকে। উদাও হলেন সেক্টরস্ কমান্ডার ফোরম থেকে।
ঘৃনিত হলেন দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে। নিন্দিত হলে তার দল বিএন পির কাছে।
তবুও প্রার্থনা আল্লাহ যেন তার সমস্থ অপরাধসমুহ ক্ষমা করে দেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।