পাকিস্তান বধের যে টার্গেট নিয়ে গেছেন তা পূরণ করতে পারলেন না সাকিবরা। ১৭২ রান তাড়া করে ১৫১ রান তোলার কৃতিত্বের জন্য বাহবা দিতেই হবে সাকিবদের। বিশ্বকাপে যাবার আগে মনে হচ্ছিলো এবার ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিং ভালো হবে। কাল দেখলাম ব্যাটিংটাই বরং বোলিংয়ের চেয়ে ভালো হয়েছে। বহুদিন পর সাকিব ব্যাট বল দু'জায়গায় ভালো করলেন।
আফ্রিদীর টসে জিতে ব্যাটিং নেয়াকে সার্থক করেছেন তার দুই ওপেনার। আশরাফুল ক্যাচটা না ফেললে রানের পাহাড়টা আরেকটু ছোট হতেও পারতো। তবু রানটা যে দুশ' পার হয়নি সেটাই স্বস্তিকর। শুরুতে তেমনই মনে হচ্ছিলো।
ইমরুল কায়েস এনসিএল আর প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো করলেও আসল কাজে ডাব্বা মারলেন।
তামিমকে পুরো ছন্দে পাওয়া যায়নি। হাতের ব্যথার প্রভাবটা এড়াতে পারলেন না তিনি। সাকিবকে শুরুতে খুব এলোমেলো লাগছিলো। বলের লাইন, ফ্লাইট কিছুই যেন পড়তে পারছিলেন না। যা হোক শেষ পর্যন্ত ৪৭ রানের একটা জেনুইন টি-টুয়েন্টি ইনিংসই খেললেন তিনি।
তাকে কাল ব্যাটিংয়ের সময় ক্লান্ত লাগছিলো। ঠিকমতো দৌড়াতে পারছিলেন না। আউট হবার আগে একবারতো মাঠে বসেছিলেন বেশ কিছুক্ষণ।
অনেকদিন পর আশরাফুলকে চেনাছন্দে পাওয়া গেলো। খুব ভালো একটা ইনিংস খেলেছেন তিনি।
কিন্তু উইকেট বিলানোর বদঅভ্যাসটা রয়েই গেছে। গেম প্ল্যানে একটা গলদ দেখলাম। সাকিবের আউটের পর মাশরাফিকে নামালে ভালো হতো। এমন অবস্থায় ম্যাশই সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারতেন। ওকে যখন নামানো হয়েছে তখন ওর হাতে সময় ছিলো না।
মাশরাফি অনেক আগে থেকে রেডি হয়েছিলেন। কিন্তু দেরী করে নামানোর ফলে সেই সার্ভিসটা দিতে পারলেন না। রিয়াদ বা মুশফিক কাল ছন্দে ছিলেন না।
এরপরও বাংলাদেশ কাল অনেক ভালো খেলেছে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সময় পাকিস্তানী কোচ ওয়াকারের কপালের ভাঁজ আর চার ছক্কার সময় অন্য কর্মকর্তাদের মুখ ঢেকে হতাশা প্রকাশ করতে দেখে ভালোই লেগেছে।
ওয়েল ডান বয়েজ !
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।