আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলা সাহিত্যের কিছু আলোচিত উদ্ধৃতি ও রচয়িতা

শহীদের খুন লেগে, কিশোর তোমার দুই হাতে দুই, সূর্য উঠেছে জেগে। -------হাসান হাফিজ

বাংলা সাহিত্যের কিছু আলোচিত উদ্ধৃতি ও রচয়িতা--- ১। "প্রণমিয়া পাটুনী কহিল জোর হাতে আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে" ----- অন্নদামঙ্গল কাব্য(ভারতচন্দ্র রায়গুনাকর) ২. "মানুষ মরে গেলে পচে যায় ,বেঁচে থাকলে বদলায়..." --------রক্তাক্ত প্রান্তর,মুনির চৌধুরী ৩. ‘অভাগা যদ্যপি চায় সাগর শুকায়ে যায়’---------- মুকুন্দরাম। ৪. সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন/হউক দূর অকল্যাণ সফল অশোভন। ' ----------------শেখ ফজলল করিম।

৫. "আমারে নিবা মাঝি লগে???..." পদ্মা নদীর মাঝি" -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় ৬. ‘যে জন দিবসে মনের হরষে জালায় মোমের বাতি’ ------(সদ্ভাব শতক)- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার ৭. ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল। ”- মদনমোহন তর্কালঙ্কার ৮. ‘সাত কোটি সন্তানের হে মুগ্ধ জননী, রেখেছ বাঙালী করে মানুষ করনি। ’-------- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯. ‘স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে’--- রঙ্গলাল মুখপাধ্যায়। ১০. মেয়ের সম্মান মেয়েদের কাছেই সব চেয়ে কম। তারা জানেও না যে, এইজন্যে মেয়েদের ভাগ্যে ঘরে ঘরে অপমানিত হওয়া এত সহজ।

তারা আপনার আলো আপনি নিবিয়ে বসে আছে। তারপরে কেবলই মরছে ভয়ে,...ভাবনায়,...অযোগ্য লোকের হাতে...খাচ্ছে মার, আর মনে করছে সেইটে নীরবে সহ্য করাতেই স্ত্রীজন্মের সর্বোচ্চ চরিতার্থ। ........যোগাযোগ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১১. ‘চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে?” -- কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার। ১১. ‘তোমাদের পানে চাহিয়া বন্ধু আর আমি জাগিব না কোলাহল করি সারা দিনমান কারো ধ্যান ভাঙিব না।

’--- কাজী নজরুলর ইসলাম ১২.‘কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক, কে বলে তা বহুদূর; মানুষের মাঝে স্বর্গ-নরক, মানুষেতে সুরাসুর। ----- শেখ ফজলল করিম ১৩. ‘যুদ্ধ মানে শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা’---- নির্মলেন্দু গুন। ১৪. ‘আমার দেশের পথের ধুলা খাটি সোনার চাইতে খাঁটি’ ----- সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত। ১৫. ‘আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা। ’---- শামসুর রাহমান।

১৬. ‘বিপদে মোরে রক্ষা কর এ নহে মোর প্রার্থনা বিপদে আমি না যেন করি ভয়’---- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৭. ‘রক্ত ঝরাতে পারি না তো একা, তাই লিখে যাই এ রক্ত লেখা’---- কাজী নজরুলর ইসলাম ১৮. ‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ দেখিতে চাই না আর’------ জীবনানন্দ দাশ ১৯. ‘বাঁশ বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ঐ’ ------ যতীন্দ্রমোহন বাগচী ২০. ‘ক্ষুধার রাজ্য পৃথিবী গদ্যময় পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি’ ---- সুকান্ত ভট্টাচার্য। ২১. ‘মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন’----- ভারতচন্দ্র ২২. ‘‘প্রীতি ও প্রেমের পূন্য বাধনে যবে মিলি পরস্পরে, স্বর্গে আসিয়া দাঁড়ায় তখন আমাদেরি কুঁড়ে ঘরে। ”------শেখ ফজলল করিম ২৩. ‘‘জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরি যেন এই দেশে। ” --- সুফিয়া কামাল ২৪. “রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘন্টা রাজছে রাতে রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে”- সুকান্ত ভট্টাচার্য। ”------- সুকান্ত ভট্টাচার্য।

২৫. ‘‘আমি থাকি মহাসুখে অট্টালিকা ‘পরে তুমি কত কষ্ট পাও রোদ, বৃষ্টি, ঝড়ে। ” ------ রজনীকান্ত সেন ২৬. ‘‘সংসারেতে ঘটিলে ক্ষতি লভিলে শুধু বঞ্চনা নিজের মনে না যেন মানি ক্ষয়”- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ২৭. ‘‘মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে ক’রে গমন হয়েছেন প্রাতঃস্মরনীয়। ”------হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ২৮. ‘‘সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে মোরা পরের তরে। ”------কামিনী রায়।

২৯. “মুক্ত করো ভয়/ আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়। / সংকোচের বিহ্বলতা নিজের অপমান/সংকোচের কল্পনাতে হয়ো না ম্রিয়মাণ/দুর্বলেরে রক্ষা করো দুর্জনেরে হানো/নিজেরে দীন নিঃসহায় যেন কভু না জানো। ”-------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৩০. ‘‘আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় হয়তো বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে। ”----- জীবনানন্দ দাশ। ৩১. ‘‘হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছে পৃথিবীর পথে সিংহল সমুদ্র থেকে নিশীদের অন্ধকারে মালয় সাগরে”----- জীবনানন্দ দাশ।

৩২. ‘‘সব পাখি ঘরে আসে সব নদী ফুরায় এ জীবনের সব লেন দেন; থাকে শুধু অন্ধকার”---- জীবনানন্দ দাশ। ৩৩. ‘‘আমি যদি হতাম বনহংস বনহংসী হতে যদি তুমি”------ জীবনানন্দ দাশ। ৩৪.‘শোনা গেল লাশ কাটা ঘরে নিয়ে গেছে তারে; কাল রাতে ফাণ্ডুন রাতের চাঁদ মরিবার হলো তার সাধ”----- জীবনানন্দ দাশ। ৩৫. ‘‘সুরঞ্জনা, ঐখানে যেয়ো না তুমি বোলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে,”----- জীবনানন্দ দাশ। ৩৬. ‘‘হে সূর্য! শীতের সূর্য! হিমশীতল সুদীর্ঘ রাত তোমার প্রতীক্ষায় আমরা থাকি,”----- সুকান্ত ভট্টাচার্য।

৩৭. ‘অবাক পৃথিবী অবাক করলে তুমি, জন্মেই দেখি ক্ষুদ্ধ স্বদেশ ভূমি। ’ ------সুকান্ত ভট্টাচার্য। ৩৮. ‘হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছাসে,”--- - সুকান্ত ভট্টাচার্য। ৩৯. ‘হে মহা জীবন, আর এ কাব্য নয়, এবার কঠিন, কঠোর গদ্য আনো’ -----সুকান্ত ভট্টাচার্য। ৪০. ‘‘কেউ কথা রাখেনি, তেত্রিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখে নি” -------সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ৪১. ‘‘আজি হতে শত বর্ষে পরে কে তুমি পড়িছ, বসি আমার কবিতাটিখানি কৌতূহল ভরে,”------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

৪২. ‘‘আজি হ’তে শত বর্ষে আগে, কে কবি, স্মরণ তুমি করেছিলে আমাদের শত অনুরাগে’ – ----কাজী নজরুল ইসলাম ৪৩. ‘মহা নগরীতে এল বিবর্ন দিন, তারপর আলকাতরার মত রাত্রী’----- সমর সেন। ৪৪. ‘‘আমি কিংবদন্তীর কথা বলছি, আমি আমার পূর্ব পুরুষের কথা বলছি” ----আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ। ৪৫. ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই, ছোটো এ তরী, আমারি সোনার ধানে গিয়েছে ভরি। ’------ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ৪৬.‘‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার সময় তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়।

”----- হেলাল হাফিজ। ৪৭. ‘জন্মেই কুঁকড়ে গেছি মাতৃজরায়ন থেকে নেমে, সোনালী পিচ্ছিল পেট আমাকে উগড়ে দিলো যেন’------ শহীদ কাদরী। ৪৮. ‘‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ, মাতৃজরায়ু থেকে নেমেই জেনেছি আমি”------- দাউদ হায়দার। ৪৯.‘মোদের গরব মোদের আশা, আ মরি বাংলা ভাষা। ’ ------অতুল প্রসাদ সেন।

৫০.‘স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয়কি কি বন্ধু, আমরা এখনো’ -----আলাউদ্দিন আল আজাদ। ৫১.‘‘আজো আমি বাতাসে লাশের গন্ধ পাই, আজো আমি মাটিতে মৃত্যুর নগ্ননৃত্য দেখি,”------- রুদ্র মোঃ শহীদুল্লাহ। ৫২.‘‘বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-নলে কিন্তু এ স্নেহের তৃঞ্চা মিটে কার জলে?”------ মধুসূদন দত্ত। ৫৩. ‘‘আমার এ ঘর ভাঙিয়াছে যেবা, আমি বাঁধি তার ঘর, আপন করিতে কাঁদিয়া বেড়াই যে মোরে করেছে পর। ”------ জসীম উদ্দিন।

৫৪.‘‘যে শিশু ভুমিষ্ঠ হল আজ রাত্রে তার মুখে খবর পেলুমঃ সে পেয়েছে ছাড়পত্র এক,”------- সুকান্ত ভট্টাচার্য। ৫৫.‘‘আপনাদের সবার জন্য এই উদার আমন্ত্রন ছবির মতো এই দেশে একবার বেড়িয়ে যান। ”------ আবু হেনা মোস্তাফা কামাল। ৫৬. ‘তুমি আসবে বলে হে স্বাধীনতা সকিনা বিবির কপালে ভাঙলো, সিথির সিদুঁর মুছে গেল হরিদাসীর”------- শামসুর রাহমান। ৫৭.‘‘জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমাদের সংগ্রাম চলবেই।

” হতমানে অপমানে নয়, সুখ সম্মানে। ---------সিকান্দার আবু জাফর। ৫৮. ‘ওই দূর বনে সন্ধ্যা নামিছে ঘন আবীরের রাগে অমনি করিয়া লুটায়ে পড়িতে বড় সাধ আজ জাগে। ”-------- জসীম উদ্দিন। ৫৯. ‘তাল সোনাপুরের তালেব মাস্টার আমি, আজ থেকে আরম্ভ করে চল্লিশ বছর দিবসযামী’ -------আশরাফ ছিদ্দিকী।

৬০. ‘সই, কেমনে ধরিব হিয়া আমার বধুয়া আন বাড়ি যায় আমার আঙিনা দিয়া। ’----- চন্ডিদাস। ৬১. ‘রূপলাগি অখিঁ ঝুরে মন ভোর প্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর। ’ --------চন্ডিদাস। ৬২. ‘‘কুহেলী ভেদিয়া জড়তা টুটিয়া এসেছে বসন্তরাজ” ----- সৈয়দ এমদাদ আলী।

৬৩. ‘‘হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি, পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন” মধুসূদন দত্ত। ৬৪.“মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ’ – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৬৫.“এতই যদি দ্বিধা তবে জন্মেছিলে কেন?”– নির্মলেন্দু গুণ ৬৬. হাজার বছর ধরে আমি পথ হাঁটিতেছি পৃথিবীর পথে, – জীবনান্দ দাশ ৬৭. “বাতাসে লাশের গন্ধ ভাসে” – রুদ্র মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ্ ৬৮. "ঝিনুক নীরবে সহো,/ঝিনুক নীরবে সহো,/ঝিনুক নীরবে সহে যাও, ভিতরে বিষের থলি/ মুখ বুঝে মুক্তা ফলাও। " ---- আবুল হাসান ৬৯."এইখানে সরোজিনী শুয়ে আছে, জানিনা সে এইখানে শুয়ে আছে কিনা"- জীবনানন্দ দাস ৭০. "পৃথিবীর সবকটা সাদা কবুতর/ ইহুদী মেয়েরা রেঁধে পাঠিয়েছে/ মার্কিন জাহাজে"---- আল মাহমুদ ৭১."তুমি যাবে ভাই? যাবে মোর সাথে,/ আমাদের ছোট গাঁয় ? গাছের ছায়ায় লতায় পাতায়/ উদাসী বনের বায় ?" ---- জসীমউদ্‌দীন ৭২. অপদার্থ মানুষকে অনুকরণ করে নিজের মনুষ্যত্বকে হীন কর না, শুধু অর্থ ও সম্পদের সামনে তোমার মাথা যেন নত না হয়। ---মোহাম্মদ লুতফর রহমান ৭৩. সাহিত্য জাতির দর্পন স্বরূপ------প্রমথ চৌধুরী ৭৪.সুশিক্ষিত লোক মাত্রই স্বশিক্ষিত------প্রমথ চৌধুরী ৭৫. শিক্ষার 'স্ট্যান্ডার্ড' মানে জ্ঞানের 'স্ট্যান্ডার্ড', মিডিয়ামের 'স্ট্যান্ডার্ড' নয়। ------আবুল মনসুর আহমদ ৭৬.বিদেশি ভাষা শিখিব মাতৃভাষায় শিক্ষিত হইবার পর, আগে নয়।

------আবুল মনসুর আহমদ ৭৮. ‘‘এ দুর্ভাগা দেশ হতে হে মঙ্গলময় /দূর করে দাও তুমি সর্ব তুচ্ছ ভয়-/ লোক ভয়, রাজভয়, মৃত্যু ভয় আর/দীনপ্রাণ দুর্বলের এ পাষাণভার। ”-------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৭৯. রাজনীতিবিদদের কামড়াকামড়ির দায় রাজনীতির নয়,বরং বুর্জোয়া কাঠামোর নড়বড়ে গঠনই রাষ্ট্রের বারোটা বাজিয়ে দেয় । (সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু)---আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ৮০. “বিপ্লব, অবিশ্যি, শান্ত ভাবেও হতে পারে- অনেকখানি সময় লাগিয়ে ছোট-মাঝারি কিস্তিতে; বহু শত বৎসর পরে যোগফলে মহাবিপ্লবের চেহারাটা অনুমান করা যাবে। বড় বিপ্লব দিয়েই শুরু হতে পারে- ততটা শান্ত ভাবে নয়- বেশি মানবীয় শক্তি খরচ করে নয়। যে সভ্যতা দর্শনের আঁধার-খননে আবছা হয়ে ছিল এতকাল, তাকে যুক্তির পথে চালিয়ে নিয়ে ক্রমেই আলোকিত করে তুলবার জন্যে- পৃথিবীর সকলেরই নিঃশ্রেয়সের জন্যে এই বিপ্লব।

অনেকেই এই রকম কথা বলছে। কিন্তু বিপ্লব আসেনি এখনও। ----- জীবনানন্দ দাশ। ৮১. "বিপ্লব স্পন্দিত বুকে, মনে হয় আমিই লেনিন"- সুকান্ত ভট্টাচার্য ৮২.সত্যি যেদিন পাখিকে খাঁচা থেকে ছেড়ে দিতে পারি/সেদিন বুঝতে পারি পাখিই আমাকে ছেড়ে দিলে। /যাকে আমি খাঁচায় বাঁধি সে আমাকে আমার ইচ্ছেতে বাঁধে, সেই ইচ্ছের বাঁধন যে শিকলের বাঁধনের চেয়েও শক্ত।

......ঘরে বাইরে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৮৩. "মাধবী হঠাৎ কোথা হতে এল ফাগুন দিনের স্রোতে, এসে হেসেই বলে যাই যাই যাই। -----মাধবী ফুল গাছ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৮৪."তরবারি গ্রহণ করতে হয় উচ্চশিরে উদ্ধত হস্ত তুলে, মালা গ্রহণ করতে হয় উচ্চশির অবনমিত করে, উদ্ধত হস্ত যুক্ত করে ললাট ঠেকিয়ে। " ------কাজী নজরুল ইসলাম ৮৫.'বামন চিনি পৈতা প্রমাণ বামনী চিনি কিসে রে। ' ---লালন ৮৬.যে খ্যাতির সম্বল অল্প তার সমারোহ যতই বেশি হয়, ততই তার দেউলে হওয়া দ্রুত ঘটে। ---------------------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৮৭.বাহিরের স্বাধীনতা গিয়াছে বলিয়া অন্তরের স্বাধীনতাকেও আমরা যেন বিসর্জন না দিই।

-------------------কাজী নজরুল ইসলাম ৮৮. ......যেন হাঁক দিয়ে আসে অপূর্ণের সংকীর্ণ খাদে পূর্ণ স্রোতের ডাকাতি...... অঙ্গে অঙ্গে পাক দিয়ে ওঠে কালবৈশাখীর-ঘূর্ণি-মার-খাওয়া অরণ্যের বকুনি। -------------------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৮৯। "এই অসুন্দরের শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রাদ্ধ দিনে বন্ধু, তুমি যেন যেওনা" ...............কাজী নজরুল ইসলাম ৯০। 'কী পাইনি তারই হিসাব মেলাতে মন মোর নহে রাজি' -------------------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯১। "প্রহরশেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ।

" -------------------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯২। 'কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি’ ---মাহবুব উল আলম চৌধুরী ৯৩। এক সে পদ্ম তার চৌষট্টি পাখনা,------------চর্যাপদ ৯৪। বিশ্বপিতা স্ত্রী ও পুরুষের কেবল আকারগত কিঞ্চিত ভেদ সংস্থাপন করিয়াছেন মাত্র। মানসিক শক্তি বিষয়ে ন্যূনাধিক্য স্থাপন করেন নাই।

অতএব বালকেরা যেরূপ শিখিতে পারে বালিকারা সেরূপ কেন না পারিবেক। ----------------------মদনমোহন তর্কালঙ্কার ৯৫। যে মরিতে জানে সুখের অধিকার তাহারই। যে জয় করে ভোগ করা তাহাকেই সাজে। -------------------রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯৬।

যে লোক পরের দুঃখকে কিছুই মনে করে না তাহার সুখের জন্য ভগবান ঘরের মধ্যে এত স্নেহের আয়োজন কেন রাখিবেন। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (দুর্বুদ্ধি)। ৯৭। সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রভেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (সমস্যাপূরণ)।

৯৮। হঠাৎ একদিন পূর্নিমার রাত্রে জীবনে যখন জোয়ার আসে, তখন যে একটা বৃহৎ প্রতিজ্ঞা করিয়া বসে জীবনের সুদীর্ঘ ভাটার সময় সে প্রতিজ্ঞা রক্ষা করিতে তাহার সমস্ত প্রাণে টান পড়ে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মধ্যবর্তিনী)। ৯৯। নারী দাসী বটে, কিন্তু সেই সঙ্গে নারী রানীও বটে।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মধ্যবর্তিনী)। ১০০। মনে যখন একটা প্রবল আনন্দ একটা বৃহৎ প্রেমের সঞ্চার হয় তখন মানুষ মনে করে, ‘আমি সব পারি’। তখন হঠাৎ আত্নবিসর্জনের ইচ্ছা বলবতী হইয়া ওঠে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মধ্যবর্তিনী)।

১০১। সংসারের কোন কাজেই যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভাল বই লিখিবে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(সম্পাদক)। ১০২। যে ছেলে চাবামাত্রই পায়, চাবার পুর্বেই যার অভাব মোচন হতে থাকে; সে নিতান্ত দুর্ভাগা।

ইচ্ছা দমন করতে না শিখে কেউ কোনকালে সুখী হতে পারেনা। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)। ১০৩। সামনে একটা পাথর পড়লে যে লোক ঘুরে না গিয়ে সেটা ডিঙ্গিয়ে পথ সংক্ষেপ করতে চায়-বিলম্ব তারই অদৃষ্টে আছে। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)।

১০৪। বিধাতা আমাদের বুদ্ধি দেননি কিন্তু স্ত্রী দিয়েছেন, আর তোমাদের বুদ্ধি দিয়েছেন; তেমনি সঙ্গে সঙ্গে নির্বোধ স্বামীগুলোকেও তোমাদের হাতে সমর্পন করেছেন। - আমাদেরই জিত। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (কর্মফল)। ১০৫।

বিয়ে করলে মানুষকে মেনে নিতে হয়, তখন আর গড়ে নেবার ফাঁক পাওয়া যায় না। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(শেষের কবিতা)। ১০৬। লোকে ভুলে যায় দাম্পত্যটা একটা আর্ট, প্রতিদিন ওকে নতুন করে সৃষ্টি করা চাই। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর(শেষের কবিতা)।

১০৭। পূর্ন প্রাণে যাবার যাহা রিক্ত হাতে চাসনে তারে, সিক্ত চোখে যাসনে দ্বারে। - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (শেষের কবিতা)। ১০৮। সোহাগের সঙ্গে রাগ না মিশিলে ভালবাসার স্বাদ থাকেনা- তরকারীতে লঙ্কামরিচের মত।

-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (চোখের বালি)। ১০৯। সাধারনত স্ত্রীজাতি কাঁচা আম, ঝাল লন্কা এবং কড়া স্বামীই ভালোবাসে। যে দুর্ভাগ্য পুরুষ নিজের স্ত্রীর ভালোবাসা হইতে বঞ্চিত সে-যে কুশ্রী অথবা নির্ধন তাহা নহে; সে নিতান্ত নিরীহ। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (মনিহারা)।

১১০। যারে তুমি নিচে ফেল সে তোমাকে বাঁধিবে যে নিচে। পশ্চাতে রেখেছ যারে সে তোমারে পশ্চাতে টানিছে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১১১।

মনেরে আজ কহযে, ভালমন্দ যাহাই আসুক, সত্যেরে লও সহজে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (বোঝাপড়া-কবিতা)। ১১২। আশাকে ত্যাগ করলেও সে প্রগলভতা নারীর মত বারবার ফিরে আসে। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

১১৩। দুঃখের বরষায় চক্ষের জল যেই নামল বক্ষের দরজায় বন্ধুর রথ সেই থামল। -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১১৪। "কত বড়ো আমি' কহে নকল হীরাটি।

তাই তো সন্দেহ করি নহ ঠিক খাঁটি॥ " - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১১৫। যাকে বিয়ে করেছি সে কলস প্রতিদিনের তৃষ্না মিটাই কিন্তু এতে স্নান করা যায় না আর যাকে ভালোবাসতাম সে কলস তাতে স্নান করা যায় কিন্তু বাড়ি আনা যায় না---রবীন্দ্রনাথ(শেষের কবিতা)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।