আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্র চাই না!!!

বাংলাদেশ

আব্রাহাম লিংকনের গণতন্ত্রের সংজ্ঞাটি সবাই কমবেশি জানি, তা হচ্ছে- Democracy by the people, for the people, of the people. যার অর্থ গণতন্ত্র জনগনের জন্য জনগনের দ্বারা জনগণেরই এক সরকার ব্যবস্থা। কিন্তু বর্তমানে এটি পরিবর্তিত হয়ে গেছে। বর্তমানে এটি হয়েছে Democracy buy the people, far the people, off the people. অর্থ্যাৎ গণতন্ত্রে জনগণকে কেনে, জনগণের থেকে দূরে থাকে, এবং জনগণকে দমিয়ে রাখে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এটি সঠিক না বেঠিক আপনারাই চিন্তা করুন। অনেক সমাজ ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানীর মতে গণতন্ত্রে সবচেয়ে বাজে রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি মূর্খ লোকদের সমাজে।

আমাদের দেশের কতজন মূর্খ কতজন শিক্ষিত (প্রকৃতপক্ষে) ভেবে দেখুন। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন আরো বলেন, "No man has a right to govern without other man's consent" অর্থ্যাৎ জনসাধারনের সম্মতি ছাড়া তাদেরকে শাসন করবার অধিকার কারো নেই। চিন্তা করে দেখুন এতটুকু ইঁদুরও মানুষের কাছে বশ্যতা স্বীকার করে নেয়নি কিন্তু এতবড় হাতি সে ঠিকই বশ্যতা স্বীকার করে ঘাড়ে করে পুচকে মানুষকে বয়ে বেড়ায়, তার নির্দেশ মান্য করে, ঘাড়ের উপর ডান্ডার বাড়ি সহ্য করে। কিন্তু এই হাতিই যদি অমান্য করে নিতো এই মানুষের বশ্যতা, ঘাড় থেকে এক আছাড়ে মাটিতে ফেলতে তার কতক্ষণ লাগত? আমরা বাংলাদেশের মানুষরা ঘাড়ে করে বইছি কাদের? দিনরাত্রি কাদের ডান্ডার বাড়ি সহ্য করছি?? কাদের বশ্যতা নিজের মেনে নিয়েছি??? আমাদের সহ্য শক্তির বাঁধ কবে ভাঙবে???? কবে ঘাড়ের উপর থেকে আছাড় মারবো ওই পুঁচকে বদমাইশদের????? এদেশের জনগণকে বোকা বানিয়ে কথায় কথায় জনগণ জনগণ বুলি আউড়িয়ে এদেশের জনগণের মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে আর কতকাল ওরা খাবে? এ গণতন্ত্র এদেশের জনগণ চাইতে পারে, অন্ততঃ আমি চাই না। চাই না।

না। এদেশের জনগণ ঠিকমতো খেতে পায় না, পরতে পায় না, শিক্ষা পায়না, চিকিৎসা পায়না। কোনো মৌলিক চাহিদাই এদেশের মানুষের পূর্ণ হয় না। তবুও নেতাদের সন্তানেরা থাকে দুধে ভাতে, পরে বিদেশী পোষাক, বিদেশের উন্নত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্বিঘ্নে পড়াশুনা করে, চিকিৎসার দরকার হলে বিদেশ যায় এমনকি ছেলে-সন্তান বা ভাই ভাতিজিকেও বিদেশী ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ভিন্নমতাদর্শের লোকদের সাথে বিবাহ দেয়। এত বিদেশপ্রীতি যাদের অন্তরে, দেশ তাদের অন্তরে থাকার জায়গা পায় কোথায়? তাদের অন্তর তো দেশপ্রীতিতে পূর্ণ।

চ্যালেঞ্জ করছি নেতাদের, দেশকে ভালবাসেন প্রমান করতে শুধু দুটি কাজ করেন দেখি পারেন কিনা- (১) নিজের সন্তানদের দেশে রেখে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ান (সাথে সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি ও সেশন জট বর্তমানের মতোই রাখেন), (২) নিজের বা পরিবারের কারো চিকিৎসাসেবা নিতে হলে এদেশের হাসপাতালেই যান বিদেশ না যেয়ে (যদিও এদেশের এ্যাপোলো, স্কয়ার হাসপাতালের মতো আর্ন্তজাতিক মানের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান আছে এবং দেশের ৯০ ভাগ মানুষই সেখানে স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেনা, আপনি যান তবু বিদেশ যেয়েন না)। দেশের নেতৃবৃন্দই যদি অসুস্থ হয়ে বিদেশ পাড়ি দেয় চিকিৎসা নিতে এবং মরে লাশ হয়ে দেশে ফেরে (এদের ফেরার দরকার কি?) তবে সাধারন মানুষ, জনগণ যাদের কথা আপনাদের ঠো্ঁটের আগায় থাকে তাদের জন্য কি ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন এ চোরের দেশে। আর লিখবো না, এদেশে তো উচিত কথার ভাত নাই।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.