আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গণতন্ত্র মানে যদি বর্তমান বাংলাদেশ হয় তবে আমি এই গণতন্ত্র চাইনা।

Still Alive - অহনো বাঁইচ্চা আচি!

আচ্ছা, এই নির্বাচনে যারা ভোট দিয়েছে সবাই কি হিন্দু? হিন্দুদের বেশিরভাগ আওয়ামীলীগকে সমর্থন করলেও আওয়ামীলীগের কর্মী-সমর্থকেরা তো বেশিরভাগ মুসলমান। তাহলে বেছে বেছে হিন্দুদের উপর হামলা কেন?

আজকে যদি বিএনপি-জামায়াত এই একতরফা নির্বাচন করতো তাহলে তাদের কর্মীরাও তো ভোট দিতে যেতো! দল যাই করুক কিছু কিছু সমর্থক শূধু মার্কাটাই দেখে, মার্কাটাকে ভালোবাসে। তো তাদের উপর হামলা করে কি লাভ? তাদের কেউ কি কোনোদিন আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে বিএনপি-জামাতকে ভোট দিবে? জোর করে ভালোবাসা হয়না।

দলকানা মূর্খগুলা যতদিন না শিক্ষিত হবে, ততদিন এ ধরণের হামলা হতেই থাকবে। যে কোনো ধরণের সন্ত্রাস কোনো দলের পক্ষ থেকেই কাম্য নয়।

শুনেছি নোয়াখালী, লক্ষিপুরে বিএনপির একচ্ছত্র আধিপত্য। সেখানে নাকি বিএনপির নেতারা প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়ায়! কিছুদিন আগে যুদ্ধাপরাধের রায় হওয়ার পরেও সেখানে হিন্দুদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিলো। সেই হিন্দুগুলো কিন্তু সাঈদী-কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে স্বাক্ষীও দিতে যায়নি, তাদের রায়ে উল্লাসও প্রকাশ করেনি। তাহলে তাদের অপরাধ কি? তারা হিন্দু!
এই খবরগুলা কি বিএনপির উপর মহলের নেতারা পায়না? আওয়ামীলীগের ছাত্রলীগ-যুবলীগের কথা তো নতুন করে বলার কিছু নেই।

দলগুলো সম্পর্কে যতো খারাপ কথাই শুনিনা কেনো আমি বিশ্বাস করি দলের প্রধানরা কখনো দুর্নীতি-সন্ত্রাস করেনা।

যা করে দলের অন্যান্য প্রভাবশালী নেতারা, চ্যালা-প্যালারা। কিন্তু দলের প্রধানদের অপরাধ হলো তারা এসব জানার পরেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়না। প্রশ্রয় দেয়, সুযোগ বুঝে কাজে লাগায়।

আসলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর গোড়াটা সুবিধাভোগীরা দুর্নীতি সন্ত্রাস করে খেয়ে ফেলেছে। দলীয় প্রধানরা তাদের উপর নির্ভরশীল।

তাই তাদের অপরাধগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করে। এই দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ভবিষ্যতে শোধরাবে সেই আশাও আর করার সাহস পাইনা।

এই দেশে আরেকটা যুদ্ধ দরকার। এই রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। যাদের কাছে দেশটা নয়, ক্ষমতাই বড় - তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।

নিজের বাড়িগাড়ি, ব্যাঙ্ক-ব্যালান্স করতে যারা জনগণের মুখের খাবার কেড়ে নেয় তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। নিজের দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলী দিয়ে যারা বিদেশীদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। মানুষকে যারা মানুষ হিসেবে নয়, তার ধর্ম দিয়ে বিচার করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। সংবিধান রক্ষার নামে আর গণতন্ত্র রক্ষার নামে যারা সহিংসতা করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ!

এদেশে আওয়ামীলীগ স্বৈরশাসন করে গণতন্ত্র শেখায়, নির্বিচারে পুলিশ দিয়ে মানুষ হত্যা করে গণতন্ত্র শেখায়! আর বিএনপি-জামাত বোমা ফাটিয়ে, স্কুলে আগুন দিয়ে, বই পুড়িয়ে, মানুষ হত্যা করে গণতন্ত্র শেখায়! এদেশে কমিউনিস্টরা, মার্ক্সবাদীরা গণতন্ত্রের আচলের নিচে ঢুকে গণতান্ত্রিক কমিউনিজম শেখায়! এদেশে ইসলামপন্থীরা হিন্দুদের ঘর জালিয়ে ইসলাম শেখায়! আর আমাদের বাচ্চাদের আমরা শেখাই "তাহার মাঝে আছে যে এক সকল দেশের সেরা, স্বপ্ন দিয়ে তৈরী সে দেশ স্মৃতি দিয়ে ঘেরা!" বাচ্চাদের সাথে মস্করা-প্রতারণা ছাড়া আর কিছুনা!

এ দেশে যদি এমন একটা বিপ্লব ঘটতো, যে বিপ্লবে বর্তমান সব রাজনৈতিক দল ও তাদের নেতারা সাফ হয়ে যেতো! কিছু শিক্ষিত (মানসিকভাবে শিক্ষিত) ও দেশপ্রেমিক বিপ্লবী এদেশটার হাল ধরতো!আগামী ১০০ বছরেও কি সে সম্ভাবনা আছে? নেই। কারণ এখন জন্মই নেই আমরা বিএনপি-আওয়ামীলীগ কর্মী হিসেবে!

(জাসদ-কমিউনিস্টরা মাফ করবেন, আপনাদের বিপ্লব লাগবেনা।

আপনাদের নীতি শুধু দলীয় গঠণতন্ত্রেই দেখা যায়!)

গণতন্ত্র মানে যদি বর্তমান বাংলাদেশ হয় তবে আমি এই গণতন্ত্র চাইনা। এক-এগারোর স্বৈরতন্ত্রই ভালো।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.