আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যাদের সন্তান বিদেশে থাকে এই পোস্ট তাদের জন্য

যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে.

সন্তান পরিবার এসব নিয়ে আরো কিছু পোস্ট দিয়েছিলাম। এবার বলবো যাদের সন্তান বিদেশে থাকে তাদের কে নিয়ে। সবাইকে এই পোস্ট এ আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যাতে জীবনে কখন কোন সময় ভুল সিধান্ত না নিয়ে নেন আপনারা। যাতে সারাজীবন কষ্ট পেতে না হয় সে জন্যই। আসুন তাহলে জেনে নেই সে সব বিষয় গুলো - এটা খুব কমন একটা ব্যাপার যে সন্তান যখন পাশে থাকে তখন সে তেমন একটা অনুভব করতে পারে না দূরে থাকার ব্যাপারটা।

এ ব্যাপারে আমার সাথে আপনারা একমত ও হতে পারেন আবার নাও পারেন। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। আর এটাই যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। সন্তান দূরে চলে গেলে যেমন বাবা আর মায়ের কষ্ট হয় তেমনি সন্তানের ও কষ্ট হয়। সন্তান দেশে থাকা অবস্থায় যদি বাবা আর মায়ের সাথে ঠিক মত কথা বলা বা পছন্দ না করে তার মানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক ভাল নাও থাকে তারপরও সন্তান দেশ থেকে চলে গেলে যে পরিমাণ মন থেকে অনুভব করে তার মা আর বাবা কে তা সত্ত্যি অন্য রকম এক ব্যাপার হয় তখন।

তাই বাবা আর মা দের বলছি যদি সন্তানের উপর কোন রাগ অভিমান থেকে থাকে তাহলে সেগুলো ভুলে যান। নিজের সন্তান কে আপন করে ভাবতে থাকুন। মনে রাখবেন আপনাদের দোয়া, দূরে থেকেও পাশে থাকা আর উৎসাহই পারে সেই সন্তানকে অনেক দূর নিয়ে যেতে। যা যা করবেন - •নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। •অন্তত ৬ মাস পর পর বিদেশ এ সন্তান এর কাছে যান আর যারা যেতে পারেন না ৬ মাস পর পর তারা চেষ্টা করুন ১ বছর বা দেড় বছর পর পর যেতে।

•সন্তান যদি বিবাহিত হয় তাহলে যে ভাবেই হোক বাবা আর মা উভয়ের উচিত ফোন করে কথা বলা নিয়মিত। •পারিবারিক বন্ধনকে মজবুত করার চেষ্টা করুন । মনে রাখবেন এটা অনেক জরুরি একটা বিষয়। •বছর এর ২ ঈদ অথবা পূজা ইত্যাদিতে চেষ্টা করুন কাপড় / খাবার পাঠাতে। যদি ২ বার পাঠাতে না পারেন তাহলে ১ বার পাঠান।

•আপনার মেয়ে তার স্বামী সহ বিদেশ থাকলে চেষ্টা করুন জামাই এর সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে। •একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার মেয়ে ওখানে নিজেকে একা মনে না করে। স্বামী যাতে মনে করে মেয়ে অসহায় নয়। •নাতি নাতনীর সাথে সময় পেলেই কথা বলবেন। •যে কোন রকম সমস্যায় পড়লে যাতে আপনারা আপনার সন্তান এর পাশে থাকতে পারেন সেটাই চাইবেন।

হোক সেটা ফোনে; কিন্তু তারপর ও । •সন্তান যদি চায় যে তার মা আর বাবা আসুক বিদেশ এ তাহলে চেষ্টা করুন যেতে। কারণ এতে আপনাদের পারিবারিক বন্ধন আরো দৃঢ় হবে। আর এতে জামাই এর কাছে আপনার আর আপনার মেয়ের কদর বাড়বে বই কমবে না। •এমন মধুর এক সম্পর্ক তাদের সাথে তৈরি করুন যাতে তারা তাদের মনের কথা সব আপনাদের খুলে বলতে পারে ।

বিশেষ করে বিদেশে গেলে বাবা আর মা কে তার খবর কিছুই জানাতে চায় না সন্তান। তাই এটা জরুরি আপনাদের জন্য। হাসি আর আনন্দে কাটুক সবার জীবন । বিদায় ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.