আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইদানীং......

চুপ!
ইদানীং ভাবনাগুলো বড় বেশী আঙ্গুলের ডগায় চলে এসেছে। প্রায়ই দেখি একটা মুন্ডুহীন মানুষ কোলের উপর লেপ্টে থাকা যন্ত্রটার একাংশে সমানে আঙ্গুল চালিয়ে যাচ্ছে, হাবিজাবি সব লেখা উঠছে তার অন্য পাশে। ধড়ফড় করে জেগে উঠে ধড়ের উপর হাত চালিয়ে দেখি মাথাটা ঠিক জায়গায় আছে কি না, আস্বস্ত হয়ে আবার ঘুমুতে গিয়ে দেখি 'কী যেন নেই!' এমন একটা অনুভূতি দলা পাকিয়ে পেট থেকে গলায় উঠে আসছে।সেই সময়েই উঠে খুঁজতে থাকি যেন আমার হারিয়ে যাওয়া মস্তিষ্কটাকে, আঁতিপাঁতি করে খুঁজি; কিন্তু পাই না, ক্লান্ত হয়ে শরীর থেকে ঘাম ঝরতে থাকে, নোনা স্বাদে ভরে যায় মুখ! যেদিনই ভেবেছি মনের দেরাজ থেকে বের করে ওগুলোকে বন্দী করব ওই চ্যাপ্টা যন্ত্রটার মগজে, বাবার চিঠিগুলো যেন কী এক অব্যক্ত অভিমানে লুকিয়ে রইল, আমি ওদের নাগাল পাচ্ছি না। অজানা এক আশঙ্কায় তারা যেন সিঁটিয়ে আছে, আমি ওদের আশ্বস্ত করতে পারছি না। পাগলের মতো আমি নিতে চাচ্ছি বাবার গায়ের ঘ্রাণ, যার উৎসধরে হয় তো ওই চিঠির বাক্সটার সন্ধান মিলবে; কিন্তু মনে হলো সেই ঘ্রাণটাই যেনো আমি ভুলে বসে আছি, যার সন্ধানে আছি তাই যে জানি না, পাব কীভাবে তাকে! সাদা-কালো চলচ্চিত্রের মতো একটা দৃশ্য ভেসে আসে- টেবিলে একটা লেখার খাতা, দোয়াত আর একটা কলম; আমি ওই কলমটা ধরতে ছুটে যাই কিন্তু কী যেন একটা পেছন থেকে আমার হাত আষ্ট্রেপৃষ্টে বেঁধে রাখে, দোয়াতটা উপুড় হয়ে সমস্ত কালি পড়ে যায়, তার একটু তুলে আমি কাগজে লিখতে যাই কিন্তু আঙ্গুলগুলো যেন গিঁট পাকিয়ে যায় একটা আরেকটার সাথে। আমি প্রাণপনে তাদেরকে ছাড়িয়ে আবার লিখতে চাই- অনেকদিনের অনভ্যাসে তারা লিখতে ভুলে গেছে, আমার আর চিঠি লেখা হয় না! ক্লান্ত-বিদ্ধস্ত আমার আঙ্গুলগুলো হঠাৎ অক্টোপাসের শূড়ের মতো সচল হয়ে উঠে কালোমতো একটা বিচ্ছিরি শামুকের মধ্যে কিন্তু ধড়ের উপর মাথাটাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না! বীভৎস আতঙ্কে আমার কেটে যায় সময়গুলো! (ছবিটা ১৪ অক্টোবর ২০১০ তারিখে ছবির হাট থেকে তোলা)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।