আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিএসএফের হাতে ফেলানীর ঝুলন্ত লাশ,বাঙ্গালীর সিজনাল দেশপ্রেম ও বিবেক বন্ধক রাখা আম পাবলিক

এডিটেড

শুরু হচ্ছে ফেলানীহত্যার বিচার। যেহেতু ভারতের আদালতে বিচার হবে তাই তারা কি বিচার করে সেটা দেখার বিষয়। পনেরো বছরের মেয়ে ফেলানী,কাটাতারের বেড়ায় আটকে গিয়ে বিএসএফের হাতে লাশ হয়ে ঝুলে থাকে,ধুলায় লুটায় বাংলাদেশের সম্মান,লজ্জা আর ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে বাংলাদেশ,কিন্তু লজ্জা হয়না ক্ষমতায় যারা আসে এবং যায়। আবার শুরু হবে আহ,উহ এবং প্রতিবাদ সমাবেশ,ফেসবুক বাণীসমগ্র। গত চারদলীয় জোটের শাসনামলে ও বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে এত সংখ্যক বাংলাদেশী সীমান্তে নিহত হল অথচ দুদল আছে দুদলের বিরুদ্ধে সীমান্তহত্যা ইস্যু ব্যবহার করে কিভাবে দেশের ভেতরে নিজেদের ফায়দা লোটা যায় সেকাজে ব্যস্ত হয়ে।

পরিসংখ্যনের বিচারে এটা সত্য ২০০১-২০০৬ সালে সীমান্তে নিহত হওয়া বাংলাদেশীর সংখ্যা বেশী। বর্তমান আওয়ামীলীগ আমলে যেসংখ্যক মানুষ সীমান্তে নিহত হয়েছে তারচেয়েও বেশী নিহত হয়েছে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের ২০০১-২০০৬ সালের আমলে। কিন্তু সীমান্তহত্যা একটা জাতীয় ইস্যু আর এসব কমবেশী নিহত হওয়ার সংখ্যা কিছুতেই রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে বিবেচ্য হতে পারেনা। নিজেদের ভেতর রাজনৈতিক কাদাছোড়াছুড়ি বাদ দিয়ে আর ভারত সরকার সীমান্তহত্যা বন্ধে কি আশ্বাস দিল সেদিকে কর্নপাত না করে নিজেদের সামরিক শক্তি ও রণকৌশল আরও আক্রমণাত্মক ও ভীতিজাগানিয়া হিসেবে সাজানোটায় এখন জরুরী বেশী। আমপাবলিকের যে বিষয়টাতে লক্ষ্য রাখা জরূরী তা হল সীমান্তহত্যার প্রতিবাদ সমাবেশ করতে গিয়ে তারা যেন জামাত-শিবির,আলবদর,আল-শামসপন্হীদের ফাঁদে পা না দেয় কেননা এটা বারবার লক্ষ্য করা গিয়েছে।

জামাত-শিবিরের ভারতবিদ্বেষ পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদের সাথে সম্পর্কিত। এ পাকিস্তানী জাতীয়তাবাদকে তারা বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে মিলিয়ে দিতে চাইছে বর্তমানে যা কোনভাবেই মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বিশ্বাসী কারও পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। যারা বাংলাদেশের জন্মই চায়নি তারা বাংলাদেশের জন্য আগ বাড়িয়ে সীমান্তহত্যার প্রতিবাদ করবে আর আমপাব্লিককে ইমোশনাল ব্ল্যাকমেল করে দল ভারী করতে চাইবে তা কি মেনে নেওয়া সম্ভব?এটা করলে তো আমরা খাল কেটে কুমিরই নিয়ে আসলাম। এব্যাপারেও সচেতন হওয়া জরূরী।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.