আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

তারেক রহমান বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীঃআকাশ থেকে পাওয়া এক তালিকা

যুদ্ধে আছি!!

আজকে ফেসবুকে বসেই দেখলাম এক টা ব্লগ পোষ্ট দিয়ে আমার হোম পেজ ভর্তি হয়ে গেছে । ব্লগ টি লিখেছেন "সবার কথা" নামের এক ব্লগার । ব্লগটা লেখা হয়েছে জুম বাংলা নামের একটা সাইটের ব্লগ সেকশনে । ব্লগের শিরোণামঃবাংলাদেশের শীর্ষ ধনীর তালিকা ব্লগ পোষ্টে যা ছিলোঃ বাংলাদেশের শীর্ষ ধনীর তালিকা নিচে দেয়া হলো… ১ম – আবুল কাশেম -টাকার পরিমান ১.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। ২য় – মুসা বিন শামসের – টাকার পরিমান ১.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার।

৩য় – শামসুদ্দিন খান – টাকার পরিমান ১ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। ৪র্থ – তারেক রহমান – টাকার পরিমান১ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। ৫ম – সাইদ ইসকান্দার – টাকার পরিমান ১ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। ৬ ষ্ঠ – আহমেদ আকবর সোবহান – টাকার পরিমান ৫০০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। ৭ম – গিয়াসুদ্দীন আল মামুন- টাকার পরিমান ৪০০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার।

৮ম – শাহরীন ইসলাম তুহিন – টাকার পরিমান ৩০০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। ৯ম – রাগিব আলী – টাকার পরিমান ২৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। ১০ম – ইকবাল আহমেদ – টাকার পরিমান ২৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। ১১তম – নাজমূল হুদা – টাকার পরিমান২৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার। (দা ইকোনোমিষ্ট ও ফোর্বস এর প্রতিবেদনে তালিকার নাম ও টাকার পরিমানে সামান্য এদিক-সেদিক আছে) যে কারণে ব্লগ পোষ্টটা নজর কাড়লো তাহলো তালিকায় থাকা ৪র্থ , ৫ম এবং ১১ তম বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী দলের রাজনিতীর সাথে জড়িত ।

অথচ আলোচিত - সমলোচিত দরবেশ বাবা ওরফে সালমান এফ রহমানের নাম এই তালিকায় নেই!!! ফলে বাধ্য হয়েই তথ্য এর উৎসের জন্য একটু ঘাটাঘাটি করতে হলো । প্রথমে চলুন দেখে আসি ফোর্বসের ওয়েব সাইটে এই বিষয়ে কোন তালিকা আছে কি না? ফোর্বসের ওয়েব সাইটে গিয়ে "Bangladesh" শব্দ টি দিয়ে সার্চ দিয়ে এ ধরণের কোন তালিকা খুজে পাওয়া যায়নি!!সার্চ রেজাল্ট অর্থাৎ লেখকের উল্লেখ করা দুইটি সোর্সের একটি ভুয়া প্রমাণিত হলো । আবার আসি ইকোনোমিষ্টের ব্যাপারে । তাদের ওয়েব সাইটেও এ ব্যাপারে কোন তথ্য উপাত্ত খুজে পাওয়া যায় নি! তাহলে এই তালিকাটা আসলো কোথা থেকে? এই জন্য চলুন এবার গুগলের সাহায্য নেই গুগলের সাহায্য নিতে গিয়ে চ ম কে উঠতে হয় । কারণ এই একই পোষ্ট বিভিন্ন ব্লগ সাইটে বিভিন্ন ইউজার নেম দিয়ে গত দুই মাসের মাঝে একাধিক বার পোষ্ট করা হয়েছে!!!এই মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন ফেসবুক ফ্যান পেজ , গ্রুপ এবং ফেক আইডি সার্চ রেজাল্টের লিঙ্ক অর্থাৎ পরিকল্পিত ভাবে তারেক রহমানের নামে অপপ্রচার চালানোর জন্য এই মিথ্যা , ভিত্তিহীন তথ্যগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে! কারা করছে সে বিষয়ে বলার প্রয়োজন বোধ করছিনা ।

ব্যাক ট্রেসিং করে যতো দূর পর্যন্ত যাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে যে এই তথ্য প্রথম ব্যাপক আকারে ফেসবুকে ছড়ায় ২০১২ সালের ডিসেম্বরে । সেই সময় ১৮ দলীয় ঐক্যজোট কেয়ার টেকার সরকারের দাবিতে হঠাত করেই আন্দোলনে সক্রিয় হয়ে উঠে । এই তথ্যকে বৈধতা দেবার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন বাংলা এবং ইংরেজি ব্লগ সাইট , জনপ্রিয় প্রশ্ন উত্তর ভিত্তিক কিছু ওয়েব সাইট এবং কিছু ফেসবুক প্রফাইল । জিনিস গুলো কে পাশাপাশি সাজালে যতো দুর বুঝা যায় তাহলো যখনই , সরকারের ভাবমুর্তি কোন কারণে হুমকির সম্মুখীন হয়েছে তখনই এই মিথ্যা , বিভ্রান্তিকর তথ্য ব্যবহার করে জনগণ কে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে! লেখকের ফেসবুক আইডি

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৩ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.