একদিন তোমাকে দেখার জন্য
চার হাত পায়ে হাঁটা শুরু করেছিলাম
পশ্চিমের পর পশ্চিমে আকাশের আস্তিন নেমে এসেছে যেখানে
চার ফেরেশতার সিনার উপর ভর করে পৃথিবী
তারপর ফেরেশতা, আরো ফেরেশতা, দেবদূত
আরো স্বর্গবেশ্যারা যারা যারা ছিল সেদিন
মালাকুল মউত এবং তার হাবিয়া দোযখের
এন্ট্রি ও এক্সিট তোরণের আশপাশে
আমি তাদের সবাইকে চিনে রেখেছি_
যারা আমার শরীরে চুমু দিয়েছিলো
শরীর বলতে আমার উদোম পিঠে
আমার ঘাড়ে, পায়ের পাতায়
উরু ও তার পার্শ্ববর্তী কিছু করতোয়া নদীর মত
জন্মাবধি অপাপাচারিত স্থানে_
আমি তাদের প্রত্যেকটি উন্মীলন উষ্মাভরা চোখ ও
চোখের নিচের প্রতিটি লোমকূপ চিনে রেখেছি
আর তাদের বুকপকেটের নেমপ্লেট দেখে
জেনে এসেছি তাদের নাম ও
কার কোন স্বর্গে ডিউটি_
সুতরাং ফের যদি কখনো যাই সেখানে
তোমার জন্য তাদের রেফারেন্স বেশ কাজে দেবে
অবশ্য আমাকে সেখানে যেতেই হবে একবার
(জায়গাটা একচুয়্যালি খারাপ না)
এতোকিছুর পরও তুমি বিশ্বাস করো
আমি তাদেরকে আমার শরীরের সম্মুখভাগ
মানে চোখ ও ঠোঁট, নাক ও গাল, গলা ও দাঁত
গজিয়ে উঠা কয়েকদিনের দাড়ি এবং চুল তাদের ছুঁতে দিইনি
কারণ এসবই ...
এসবই তো তোমার সম্পত্তি, তোমার নামে রাজউক থেকে
সাব-কবলা করা, একমাত্র ভোগ-দখল করা কেবল
তোমারই সাজে, তোমার পেষনেই তাদের যথেচ্ছ অগ্রাধিকার
কেননা
কেননা একদিন এই মুখটাতে, ফেরেশতাছোঁয়া
পেলব মুখটাতে তুমিই কষে থাপ্পড় মেরেছিলে_
সবশেষ হলেও তুমি জানতে চাইবে (...)
তবে বলি _
আমি তোমার নতুন নাম্বারটা
স্বর্গবেশ্যাদের একজনের ঠোঁটের ভাজ থেকেই
কামড়ে এনেছিলাম_
তুমি কি আমাকে মিথ্যেবাদী ভাবছো?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।