আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নাস্তিক ও ইসলাম বিরোধীরা যা করে (কি উদ্দেশ্যে এবং কেন করে)।

আমার ব্লগে তোমাদেরকে স্বাগতম!!! ব্লগ পড়া নিষেধ....

যাদের লক্ষ্য থাকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে কুৎসা রটানো এবং অন্যান্যদেরকে মুসলিমদের সম্পর্কে এবং তাদের ইসলাম সম্পর্কে মিথ্যা ধারণা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টির প্ররোচণা দেয়া, তারা পরকাল তথা মৃত্যুর পরের জীবনকে বিশ্বাস করে না। সেটা সম্পর্কে তাদের কোনরূপ ধারণাই নেই এবং কোন ধারণার প্রয়োজনও নেই তাদের। কারণ তারা বিধর্মীই হউক আর নাস্তিকই হউক তারা কখনো আল্লাহর তাওহীদের উপর ঈমান আনেনি। আর ঈমান আনেনি রাসুলুলকারীম (সাঃ) এর উপর। তারা কুর'আন এর নির্দেশকে অমান্য করবেই।

আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে মিথ্যা বলবেই। কারণ তারা অমুসলিম, কারণ তাদের নেই কোন আযাবের ভয়, নেই কোন শাস্তির ভয়, নেই মৃত্যুর কিংবা শেষ বিচারের ভয়। কারণ তারাতো ঈমান আনেনি পরকালের উপর। তাদের কিতাবের উপর কোন বিশ্বাসই নেই কেনইবা তারা কোর'আন পড়বে, কেনইবা হাদিস। তারা কেন বৃথা সময় নস্ট করবে যেখানে তাদের কোন চিন্তাই নেই সেই সব বিষয় নিয়ে।

তাদের মাঝে অনেকেই আছেন যারা কিতাব খুলে কিছু জিনিস খোজার চেষ্টা করে থাকেন যেন অন্যকে বিভ্রান্ত করা যায়, এমন বিষয় তালাশ করেন যেটা বিতর্ক সৃষ্টির জন্য উপযুক্ত বলে তাদের মনে হয়। যেটার উপর পুজি করে তারা তাদের বিভ্রান্তি সৃষ্টির ব্যবসাটাকে রমরমা করে তুলতে পারবেন। ইসলামকে নিয়ে তুষামোদ? এতে দুখ্য প্রকাশ ব্যতীত আর কিছুই বলার নেই। এর পরিণতি আমরা কেউই জানি না জানবোও না, তা কেবলমাত্র পরম স্রষ্টা আল্লাহ তা'আলাই ভাল জানেন। আল্লাহ ছাড়া এই সব বিপদ্গ্রস্থ বিপথগামী লোকদের আর কেউ ফেরাতে পারবে না।

কেননা সেই সাধ্য কারও নেই। এমনকি নবী (সাঃ) এর যুগেও তাঁকে নিয়ে কুৎসা রটানোর জন্য অনেক কাফির মুশরিকই তাদের মূল্যবান সময়ের অপচয় কম করেনি। কিন্তু ইসলামের প্রচার ও প্রসার আজ অবধি চলছে ব্যপক হারে। কিন্তু এভাবে যদি ইসলামের প্রচারের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেতে থাকে তাহলে কিভাবে হবে? নাস্তিকদের দল হালকা হয়ে যাবে না? অমুসলিমদের সংখ্যা কিভাবে কমতে দেয়া যায়? এই প্রশ্নগুলো নাস্তিক ও মুনাফিকদের মনে সারাক্ষণই বাজে বাঁশির আওয়াজের থেকেও বেশি মধুর সুরে। কে বাজায় এই সুর? শয়তান! শয়তান বাজায় এই বাঁশি।

কেন বাজায়? বাজায় এই কারণে যে, মিঃ ইবলিশই হলো ইসলামের সবচেয়ে বড় শত্রু। সেই ইবলিশই সকল অভিশাপ ও সকল পাপাচারের জন্মদাতা শয়তানের প্রভু। ইবলিশ সম্পর্কে বলতে গেলে অনেক কিছুই বলতে হয়। তাই ইবলিশের বিস্তারিত পরিচয় অন্যদিন তুলে ধরবো। এখন শুধুমাত্র এইটুকুই বলবো যে সেই শয়তান ইবলিশ তার কর্মফলের দরুন আল্লাহ'র অভিশাপ অর্জন করেছে।

আল্লাহ'র অভিশাপ, সবচেয়ে বড় অভিশাপ। আল্লাহ'র সাথে ইবলিশের বেয়াদবির ফলেই সেই অভিশাপ সে লাভ করেছে। এর এই অভিশাপের সাথে আল্লাহ তা'আলা সেই ইবলিশকে বেহেস্ত বা স্বর্গ থেকেও বিতারিত করেছে। শয়তান প্রতিশোধ স্বরূপ আল্লাহ'র সেই সকল বান্দা যারা আল্লাহ'র হুকুম মানবে, রাসুল (সাঃ) এর যোগ্য অনুসারী হবে, তাদেরকে বিপথগামী করার জন্য, পথভ্রষ্ট করার জন্য কিয়ামত অবধি নিজেকে ব্যস্ত রাখবে। যেমনিভাবে ইবলিশ একজন মুমিন মুসলিমকে সুযোগমত বিপদে ফেলার ধান্দায় থাকে সারাক্ষণ তেমনি ভাবে একজন ইসলাম বিদ্ধেসী ব্যক্তিও সেই একই কাজ করে।

সে মুমিন মুসলিমদের বিভ্রান্ত করার চেস্টা করে, আর অন্যরা যারা অমুসলিম তাদেরকে ইসলামের পথে আসতে বাধা দান করে। আল্লাহ'র রাস্তায় যদি ঐ নাস্তিকেরা আসতে চাইত, কিংবা ঐ সমস্ত ইসলাম বিরোধীরা যদি ইসলামের আওতায় আসতে শুরু করত তাহলে শয়তান তাদেরকে আটকাতে পারতনা। আল্লাহ যাদেরকে হেদায়াত করেন কেবলমাত্র তারাই হেদায়াত লাভ করবে। আল্লাহ তিন ধরনের মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে পথম শ্রেণী, যারা আল্লাহ'র হেদায়াত প্রাপ্ত আল্লাহ'র হেদায়াত লাভ করেছে।

অর্থাৎ, আল্লাহ'র রহমত লাভ করেছে। তার পর দ্বিতীয় শ্রেণী, যাদের থেকে আল্লাহ তা'আলা তাঁর রহমত তুলে নিয়েছেন তাদের কর্মফলের জন্য। তৃতীয় শ্রেণী, যারা আল্লাহ'র অবাধ্য এবং বিপথগামী। তারা কখনোই আল্লাহ'র হেদায়াত কিংবা রহমত লাভ করতে পারবে না। তারা ক্ষতিগ্রস্থ, আল্লাহ'র ভাষায় ক্ষতিগ্রস্থ বলতে বুঝায় জাহন্নামীদের।

আর তাই স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে একথা যে, নাস্তিকেরা কি করছে এবং কেন করছে? যখন কেউ নাস্তিকদেরকে সত্যের পথের সন্ধান দেয় কিংবা সত্যের অনুসরণ করার আহবান জানায়, তখন শয়তান তাদের মস্তিষ্কের অলসতা বাড়িয়ে দেয়, তাদের মনকে প্রভাবিত করে যেন তারা সেই আহবানকে উপেক্ষা করে এবং সেই সাথে তারা আহবানকারীকে তিরস্কার করতে শুরু করে। মনে রাখতে হবে একটি কথা, শয়তান যেকোন মানুষকেই বিপথগামী করতে পারে। শয়তান নিজে কিন্তু অলস না। সে নিজে কিন্তু তার কাজে ঠিকই পরশ্রমী। আর তারতো একটাই কাজ, যেই কাজ সে কিয়ামত পর্যন্ত চালিয়ে যাবে।

আর সে নাস্তিকদেরকে তার দলে ভিড়িয়ে নিয়েছে এবং তাদেরকে বিপথগামী হতে সাহায্য করেছে। আর নাস্তিকরা নিজেরাও বিপথগামী এবং অন্যদের বিপথগামী করাটাও তাদের সব চেয়ে বড় উদ্দেশ্য। আর এই উদ্দেশ্য মূলত শয়তানের। আর যারা ইসলাম প্রচার ও সত্যের অকাট্য যুক্তির আলোচনার মাধ্যমে মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে সত্য ধারণা দিতে সক্ষম হচ্ছে, ইসলামকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করছে তাদেরমত মহান ব্যক্তিদেরকে নিয়েও ঐসব ভন্ড কাফির, মুশরিক ও নাস্তিকেরা কুৎসা রটিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন উপায়ে তাদের মহৎ কাজে বাধাগ্রস্থ করার অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

সারা পৃথিবী জুড়ে আলোচিত ড. জাকির নায়েক এবং আহমেদ দিদাত এর মত ব্যক্তিদের নিয়েও সেই সমস্ত প্ররোচনাকারী, শয়তানের অনুসারী, নাস্তিক-মুনাফিক ও ইসলাম বিরোধী অভিশপ্তের দল বিভিন্ন মিথ্যা কথা বলতে শুরু করেছে। তারা তাদেরকে ঠেকানোর জন্য তাদের ভিসা ক্যান্সেল করে দিচ্ছে। কিন্তু এতে কি লাভ? যুগের পর যুগ এমন আরও অনেক মহান ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটতেই থাকবে। ইসলামের প্রচার ও প্রসারকে তারা থামাতে পারবেই না বরঞ্চ সত্যের ধর্ম, শান্তির ধর্ম হিসেবে ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্ঠিত হতে থাকবে চিরকাল।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.