আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরাই নাকি আবার গণতন্ত্রের বরপুত্র, কন্যা। রাবিশ!



ছোটবেলায় দেখতাম যিনি নির্বাচনে জয়ী হতেন কিংবা কোন দলে যোগদান করতেন অথবা জেলখানা থেকে মুক্তি পেতেন, তাকেই সেই দলের নেতা বা নেত্রী ফুলের তোড়া দিয়ে, ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নিতেন, সন্মানিত করতেন বা উৎসাহিত করতেন। এখন দেখছি উল্টোটা। আপনি দলের জন্য কষ্ট করে জেল খেটে বের হয়েছেন, বের হয়ে নিজের পরিবার বাবা মা বাদ দিয়ে প্রথমেই যাবেন নেতা বা নেত্রীর সাথে দেখা করতে। নেত্রীকেই দিবেন উল্টো ফুলের তোড়া! শত কাঠখড় পুড়িয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হলেন আপনি, গেলেন নেত্রীর সাথে দেখা করতে। নেত্রী আপনাকে ফুলের মালা পরিয়ে গর্বিত করবেন কি, উল্টো আপনিই ফুল কিনে নেত্রীর হাতে তুলে দিলেন।

নুতন দলে যোগ দিলেন, সেই একই ফর্মুলা। ফুলের তোড়া আপনাকে দিয়ে বরণ করে নেয়াতো দুরের কথা, উল্টো আপনি নেত্রীর হাতে ফুলের তোড়া উপহার দিয়ে যোগদান করলেন। এর চেয়ে নিকৃষ্ট চামচামি আর কি হতে পারে! কি জঘন্য সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে! কারন কিন্তু একটাই, প্রমান করা যে আপনি যেই হোন না কেন, যাই করুন না কেন, দলীয় প্রধান, নেতা বা নেত্রীই সব, তিনিই মহান, তিনি অনেক উপরে। আপনি অনেক নীচে। আপনি কিছুই না, বরং ওগুলো করে একটু ধন্য হলেন আপনি।

নেত্রীর বিশালতা প্রমান করা। স্বৈরাচারিতার শুরুটা এখানেই। ভাবলেই গা ঘিনঘিন করে! এরাই নাকি আবার গণতন্ত্রের বরপুত্র, কন্যা। রাবিশ!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.