আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে চলছে নীরব অভিযান



যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারে চলছে নীরব অভিযান নতুনদেশ ডটকম যে মুহূর্তে ইমিগ্রেশন রিফর্ম বিল পাসের ব্যাপারে মরিয়া হয়ে উঠেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ঠিক তখনই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় নিরবে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এর শিকার হচ্ছেন দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী এবং ডিপোর্টেশনের অপেক্ষায় থাকা বহু অভিবাসী। অভিযানের ব্যাপারে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করে চলেছে। গত সপ্তাহে বাসে চড়ে বাংলাদেশী একটি পরিবার নায়াগ্রা ফলস যাবার পথে রচেস্টারে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের তল্লাশীর মুখে পড়ে। ডিপোর্টেশন অর্ডার থাকায় পিতা-পুত্রকে আটক করে ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যায়।

ডিপোর্টেশনের আদেশপ্রাপ্ত এই পরিবারের পিতা ও পুত্র বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। তাদের যেকোন সময় দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে। দীর্ঘদিন থেকে তারা ব্রুকলিনে বসবাস করছেন। পিতা-পুত্রকে মুক্ত করতে আইনী লড়াই চলছে। নায়াগ্রা ফলসে যাবার পথে বিভিন্ন স্টপিজে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণকারীদের পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট সার্বক্ষণিক সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন এটর্নীরা। তারা বলছেন, ভ্রমণকারীরা বৈধ ভিসাসহ পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেখাতে না পারলে আইনি ঝামেলায় পড়তে পারেন। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুধু অবৈধ অভিবাসী নয়, সীমান্ত এলাকাগুলোতে বেড়াতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প সময়ের জন্য আসা ভ্রমণকারীরাও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন। চট্টগ্রাম থেকে বেড়াতে আসা একজন ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, দুই সপ্তাহ জেল খেটে তিনদিন আগে তিনি কারাগার থেকে বের হয়েছেন। তার অপরাধ তিনি পাসপোর্ট সঙ্গে না নিয়ে নিউইয়র্ক থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখতে গিয়েছিলেন।

যাবার পথে রচেস্টারে বাস থামিয়ে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সব যাত্রীর স্ট্যাটাস চেক করে। পাসপোর্ট বা ট্রাভেল ডকুমেন্ট দেখাতে না পারায় তাকে বাস থেকে নামিয়ে গ্রেফতার করা হয়। অথচ তিনি পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সকে দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, যারা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ডিপোর্টেশনের আদেশ পেয়েছেন তাদের যেকোন ঘটনায় যেকোন স্থান থেকেই ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা আটক করতে পারেন। এ ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করে রাখা ভালো।

তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, নায়াগ্রা জলপ্রপাতসহ বিভিন্ন সীমান্ত এবং দূরপাল্লার বাসে বা ট্রেনে ভ্রমণ করা ডিপোর্টেশনের আদেশপ্রাপ্তদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। নিউইয়র্ক সিটিতে কারো ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস জানতে চাওয়া আইনসিদ্ধ নয়। কিন্তু এখানেও নীরবে অবৈধ অভিবাসনবিরোধী অভিযান চলছে। বিশেষ করে নিরাপত্তাজনিত অজুহাত দেখিয়ে বাস ও রেল স্টেশনে হঠাৎ তল্লাশী চালাচ্ছে নিউইয়র্ক পুলিশ।

যারা বৈধ পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হচ্ছেন তাদের জিজ্ঞাসাবাদের নামে আটক করা হচ্ছে। ম্যানহাটনের চায়না টাউনে একটি গিফট শপে কর্মরত সিলেটের শাব্বির আহমদ জানান, দুই সপ্তাহ আগে গ্রান্ড সেন্ট্রাল সাবওয়ে স্টেশনে ঢোকার আগ মুহূর্তে পুলিশ তার ব্যাগ চেক করে। এ সময় পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে শাদা পোশাকের নিরাপত্তা কর্মীরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। পরের দিন এটর্নি নিয়োগ করে আদালত থেকে মুক্ত হন তিনি। অতএব, আনডকুমেন্টেড অভিবাসী এবং ডিপোর্টেডরা চলাচলে সাবধান! Click This Link


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.