আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বর্তমানের বিচার চাই। অতীত পরে

প্রীতিসত্যে অবগাহন করিয়া ফিরিতেছে অন্তর

১৯৭১ সালের যুদ্ধ দেখিনি। বাবা-মায়ের কাছে শুনেছি। তখন আমার ভাই ছিলো নাকি ৯মাসের। আমাদের ঘরের পিছনে বড় গর্ত করে চারপাশে তোষক-লেপ ঘুরিয়ে ২-৩ লেয়ার-এ ঘেরাও করে তার মধ্যে ছিল দুইদিন। যখন আমাদের এলাকায় মিলিটারী আসছিল।

তখন অনেক মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে তারা। নিজেরা হাতিয়ে আবার আমাদের দেশের যারা রাজাকার ছিল তাদের সহযোগীতায়। তাদের অনেক বিচার শেখ মুজিবর রহমান নিজেও কিছু করে গেছেন এবং অনেককে সাধারণ ক্ষমায় ক্ষমা করে গেছেন। আওয়ামীলীগ এর আগেও একবার ক্ষমতায় এসেছিল তখন এত হুরাহুরি শুনিনি পেপারে এত লেখালেখিও হয়নি। যুদ্ধঅপরাধীদের বিচার চাই নিয়ে।

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে তারা "যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চাই " এই টা এখন এত প্রচারিত হচ্ছে যে এটাকে এখন জাতীয় সংগীত বানালে মন্দ হয় না। যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার আমিও চাই কিন্তু সেটা এত ঢাকঢোল পিটিয়ে বিচার করার কি দরকার। বর্তমান সময়ে কিন্তু সন্ত্রাসী, হয়রানী, হত্যা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ কম হচ্ছে না। প্রতিদিন প্রতিটা দৈনিক পত্রিকায় কমের পক্ষে ২টা ঘটনা থাকেই। তাদের বিচার কয়টা হচ্ছে? বর্তমানের বিচারই তারা করতে পারছে না, পিছনের জিনিস সামনে এনে টানাহেচড়া আর চোখের সামনে যা ঘটছে তাকে পিছনে ঠেলে দেয়া এটা কোন রাজনীতি? বিচার কখনও ঢাকঢোল পিটিয়ে হয়না।

বিচার হয় ঠান্ডা মাথায়, আদালতে। এই এক বিচার নিয়ে সারা বাংলা এখন তোলপাড়। অথচ প্রতিনিয়ত কত বড় বড় লোমহর্ষক ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। তার বিচার হচ্ছে না, এমনকি এসব ঘটনা বারবার না ঘটে সেটা বন্ধ করারও কোন কার্য্যকরী কোন এ্যাকশন নেয়া হচ্ছে না। কারণটা কি? অথচ ৩৯ বছর আগের বিচার করার জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে সরকারের।

এটার মানে টা কি? অপরাধ যারা করে তারা যে দলেরই হোক, তারা অপরাধী। তাদের বিচার হওয়া চাই। কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে আওয়ামীলীগের সোনার ছেলেরা এমন কোন অপরাধীমূলক ঘটনা নাই যে তাতে জড়িত নাই। জমি দখল থেকে শুরু করে তরকারীওয়ালার কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া পর্যন্ত। তো তাদের কেন বিচার হচ্ছে না।

এমন কোন বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেখানে হল দখল, মারামারী না হচ্ছে। করছে কারা, সোনার ছেলেরা। এটা তো মিথ্যা নয়। প্রতিদিন খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছে। তাদের কেন বিচার হচ্ছে না।

যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার চাই। অথচ মালিবাগ মগবাজারের সাবেক এমপি হরতালের উপর তার ছোকরাদের দিয়ে গুলি চালিয়ে চার হত্যা মামলা থেকে জামিন পেয়ে যায় কোন আইনের জোরে। আর একটা হত্যা মামলায় কারো ফাঁসিও হয়ে যায়। আর তারা জামিন পর্যন্ত পেয়ে যায়। কিভাবে সম্ভব।

আমার মন্তব্য আগে বর্তমান তারপর ভবিষ্যত, তারপর অতীত। বর্তমানের বিচার আগে হোক। আপনারা কি আমার সাথে এক মত?? সবার মতামত জানতে চাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.