আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারী চাকুরী ও বাংলাদেশের বিচার ব্যাবস্হা .. একই সুত্রে গাথা ..

চোখের আলো যেখানে কালো মনের আলো সেখানে আলোকিত...তাই আলোকিত মানুষ দেখার আশায় এই খানে আগমন....

একটা সময় ছিল সরকারী চাকুরীই ছিল এদেশের মানুষের একমাত্র চাকুরী, তয় হাতে গুনা কয়েকখান প্রইভেট চাকরী ছিল বঠে..বর্তমানে তা আর নেই। এখন প্রইভেট চাকরী করার জন্য অনেকে সরকারী চাকরী ছেড়ে দিচ্ছে.. যেমন আজকে যদি সরকার নির্দেষ দেয় যে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রইভেটে আর ক্লাস নিতে পারবে না...তাহলে সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাল শিক্ষকের সংকট পড়ে যাবে। সেই সরকারী চাকরী পেতে হলে যেটা দরকার ছিল সেটা হল শিক্ষা, ভাল ফলাফল। আর কিছুই না, তবে সেইদিন আর নাই। সেই দিন চলে গেছে অনেককাল আগে, এখন যোগ্যতা বলতে কেবল সরকার দলীয় লেজুড় থাকলে কিংবা মামা-খালা থাকলেই হয়!! সরকারী চাকরী এখন আর সোনার হরিণ না, কেবল মাম/খালু কিংবা সরকার দলীয় আশির্বাদের ব্যাপার।

পড়ালেখা করে এখন আর গাড়ি চড়া যায় না, গাড়ির মালিক হতে হলে দুর্নিতিবাজ কিংবা সরকার দলীয় ক্যাডার হতে হয়। এমন অবস্হায় নিরপেক্ষ লোক খুজে না পেয়ে ১৯৯১ সালে তত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য বিচারকদের দিকে হাত বাড়ায় খোদ দলীয় লোকরাই। তার মানে তখন নিরপেক্ষ বলেতে কেবল বিচারকদেরকেই মেনে নিয়েছে সবাই। এমনিতে আমাদের বিচার ব্যাবস্হার উপর মানুষের অনেক আস্হা আছে। নিম্ণ আদালতে না হোক কিংবা জজকোর্টে নাহোক, হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্টে হলেও মনুষ ন্যায় বিচারের জন্য আস্হা রাখে।

কিন্তু সেই দিন মনে হয় চলে যাচ্ছে! সরকারী চাকরীর মত এইখানেও এখন দলীয় ছাপ লেগে গেছে। সরকারকের খুশি করার জন্য বিচারকরা যেন মরিয়া হয়ে উঠেছে, কে কত বেশী সরকারের তোষামোদী রায় দিয়ে সরকারকে খুশি করতে পারে সেই প্রতিযোগীতায় নেমেছে বিচারকরা। এ নিয়ে কথা বললেও আবার কারাদন্ড দিচ্ছে খুদ সুপ্রিম কোর্ট!! অর্থাৎ মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে, উনারা যা খুশি করে যাবে..উনাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না। সরকারের ঈশারায় উনারা সরকারী দলের লোকের মত রায় দিয়ে যাবেন, আর কেউ এর প্রমান সহ প্রতিবাদ করলে খবর আছে। সম্প্রতি সরকার অনেক কাজ নিজে করতে ভয় পেয়ে কোর্টকে ব্যাবহার করে করে নিয়েছেন এবং নিচ্ছেন।

৫ম সংশোধনী বাতিল করে আল্লাহর উপর আস্হা মুছে দিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষতা বহাল রাখা, বোরকা আইন করা...সবই সরকারের ইচ্ছা, আর সরকার নিজে জনগনের ভয়ে ভয় পেয়ে কোর্টকে ব্যাবহার করেছে আর বিচারক সাহেবগন নিজেদের স্বার্থে সরকারকে খুশি করার জন্যে সরকারের চামচ হিসাবে ব্যবহার হয়েছেন। বিচারকদের বুজা উচিৎ দেশের জনগন বিচার ব্যাবস্হার উপর আস্হা হারাতে বসেছে। আর একবার আস্হা হারালে আবার ফিরে পাওয়া সম্ভব না। তাই বিচরকদের উচিৎ সরকারের তোষামোদ না করে নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করা, আর তা না পারলে পদ ছেড়ে পদত্যাগ করা। অন্যথায় একদিন এদেশের জনগন ঠিকই বিচার করবে, সেইদিন বেশী দূরে নয়।

মেঘদেখে তুই করিসনে ভয় আড়ালে তার সুর্য হাসে!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.