আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বশিক্ষিত ভাস্কর!

বাঙ্গাল মানুষ
এলাকায় ওদের এখন অনেক নামডাক। ওরা ভাস্কর্যশিল্পী! মাটির কারিগর! মাটিই ওদের ধ্যান-জ্ঞান। অভাব দমাতে পারেনি ওদের। জীবন-জগতকে মাটি দিয়ে মূর্ত করে তোলাই ওদের কাজ। মাটির গভীর থেকে সৌন্দর্য তুলেই আনাই নেশা ও পেশায় পরিণত হয়েছে।

ওরা দুইভাই সুষেণ আচার্য ও শ্যামল আচার্য। দুজনের যূথবদ্ধতায় তৈরি হয়েছে নানান ভাস্কর্য। সুষেণের বয়স ১৮ আর শ্যমলের ১৬। সুষেণ এইচএসসিতে পড়ছে। শ্যামল সামনে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।

এই বয়সে কোনো রকম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা প্রশিক্ষণ ছাড়াই ওরা তৈরি করে ফেলেছে অনেকগুলো নজরকাড়া ভাস্কর্য। 'স্বশিক্ষিত' এই দুই শিল্পীর বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দামিহা গ্রামে। বাবা সুশীল আচার্য প্রতিমা তৈরির কাজ করে সংসার চালাতেন। তাঁদের শুরু হয় বাবার হাত ধরেই। বাবার কাজে সহযোগিতা করতে গিয়ে ওদের ভেতরে জ্বলে ওঠে 'ছাইচাপা' প্রতিভা।

তাঁরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বড় ভাস্কর হওয়ার। এরই মধ্যে সেই স্বপ্নের ভুবনে পদচারণা শুরুও হয়েছে। ভাস্কর্যের জন্য শুধু ভূয়সী প্রশংসাই নয়, জুটেছে বেশকিছু পুরস্কার। পড়াশোনার পাশাপাশি ভাস্কর্য তৈরি করে সেসব বিক্রির মাধ্যমে সংসারের হাল ধরেছেন সুষেণ-শ্যামল। সবুজ গাছগাছালিতে ভরা দামিহা গ্রামের একটি ছোট দোচালা ঘরে তাদের বসবাস।

সহায়-সম্পদ বলতে ওই বসতবাড়িই। মা-বাবা আর এক বোনকে নিয়ে সংসার চলে যায় কোনোরকমে। ওরা দুইভাই জানান, আগে মডেল তৈরি করে পরে ওরা মূল কাজে হাত দেন। দিনরাত ভাস্কর্য নিয়েই ওদের যত চিন্তা-ভাবনা। তাদের তৈরি ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাইকেল মধুসুদন দত্ত, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ, জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম, সাত বীরশ্রেষ্ঠ, মাদার তেরেসা, উপমহাদেশ ও পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মনীষীদের প্রতিকৃতি প্রশংসিত হয়েছে ইতোমধ্যে।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।