আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ: শিল্প নয় বিনোদন!



দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ : এই মুভিটাকে বলা হয়ে থাকে অস্কার পাওয়া সবচেয়ে বাজে ছবি। সবচেয়ে বাজে ছবি নিয়ে লেখার কী আছে? বাজে তো বাজেই। আসলে এইটাই আমাকে কৌতুহলী করে তুলেছে। যে কোন দিক দিয়ে প্রথম হওয়ারই একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। আসুন দেখি এই মুভিটা নিয়া কে কী বলেছে: আমেরিকান ফিল্ম ম্যাগাজিন প্রিমিয়ার সেরা দশ খারাপ মুভির তালিকায় রেখেছে এটাকে।

অন্যদিকে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন এমপায়ার রেখেছে সেরা খারাপের তালিকায় তিন নম্বরে। রটন টমাটো লিস্টে এটির অবস্থান সবচেয়ে নিচে। সমালোচক লিওনার্দ ম্যালটিন(উচ্চারণ ভুল হলে ক্ষমা করবেন) এই মুভি নিয়ে বলেছেন; ‘এটা শিল্প না হতে পারে কিন্তু বেশ উপভোগ্য’। শিল্প যদি নাই হয় তাহলে অস্কার পায় কেমনে? অসমর্থিত সুত্রে বলা হয়ে থাকে এর পেছনে আছে রাজনীতি। সিনেটর জোসেফ ম্যাকার্থি এই সময় (১৯৫২) কমিউনিস্ট দমনের কাজে লিপ্ত ছিলেন আর এই ছবির পরিচালক সিসিল বি ডেমিলি ছিলেন তার একজন সমর্থক।

একই বছর নমিনেশন পাওয়া হাই নুন ছবির পরিচালক হলিউড ব্লাক লিস্টে চলে যান। কেন দেখবেন: এত সমালোচনার পরও এই ছবি কেন দেখবেন? দেখবেন কারণ এই ছবির সমালোচকরাই বলছেন শিল্প না হতে পারে কিন্তু এই ছবি ব্যাপক বিনোদন। তো যদি বিনোদন চান এই ছবি দেখতে পারেন। ২য় কারণ হতে পারে এর বিষয়বস্তু। মুভিটা হচ্ছে সার্কাস পার্টি নিয়ে।

এক বিশাল সার্কাস কোম্পানী শহর থেকে শহরে ঘুরে ঘুরে সার্কাস দেখায়। তাদের সাথে থাকে শতাধিক প্রানী। বিশাল লটবহর । অনেক মানুষ। একটি সার্কাস কোম্পানীর প্রস্তুতি, শো এর আগে পরের জীবন , ব্যক্তিগত আবেগ অনুভুতি ইত্যাদির বাস্তবধর্মী চিত্রায়ণ আপনার পছন্দ হবে।

সার্কাস শো এর নানারকম খেলা আপনাকে দেবে সত্যিকার সার্কাস দেখার অনুভুতি। মুভিটার শেষ পর্যায়ে আমরা দেখতে পাই মানবিক আবেদনের জয়গান। ধরা পড়ার নিশ্চিত পরিণতি জেনেও ছদ্মপরিচয়ের আড়াল থেকে বের হয়ে আসে বাটন। বাঁচায় সার্কাস ম্যানেজারের প্রাণ।



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.