আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সায়েন্স ফিকসান (টারমিউটন- দ্যা মোস্ট ডেনজারাস ক্রিয়েসান ইন দ্যা ইউনিভার্স)-পার্ট ১

আসুন অন্যের বিচার করার আগে আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখি। প্রচন্ড একটা ঝাকুনিতে জ্ঞান ফিরে এলো আমার। আমি এখন কোথায় আছি কিছুই মনে করতে পারছিনা। চোখের সামনে যা দেখছি সবই ঝাপসা ঝাপসা। হাত-পা কোনটাই নাড়াতে পারছিনা।

মনে হচ্ছে আমাকে কোন কাঁচের সিলিন্ডারে জমিয়ে রাখা হয়েছে। কেননা আমি নাকে যে কেমিক্যালের গন্ধটা পাচ্ছি আমি হলফ করে বলতে পারি এটা আর-৩৪। আমি এই গন্ধটার সাথে অনেক আগে থেকেই পরিচিত। আর-৩৪ দিয়ে একবার কোন মানুষকে জমিয়ে ফেললে তার পক্ষে পরবর্তী ২ বছর আর নড়াচড়া করা সম্ভব নয়। আমি প্রায় ৪ বছর আর-৩৪ নিয়ে কাজ করেছিলাম এর উপর কার্যকর কোন বিপনীতধর্মী কেমিক্যাল তৈরি করার জন্য।

কিন্তু গবেষনার একেবারে শেষ দিকে যখন কিছু সফলতা পেতে শুরু করেছিলাম তখনই ঘটে গেলে এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। যেটা আমি কোনদিন কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি। দিনে দিনে নিজের অজান্তেই যে আমি এতো বড় বড় শত্রু তৈরি করে ফেলেছি তা ভাবলে আজও গায়ের লোম সব দাড়িয়ে যায়। আমি লক্ষ্য করলাম আমাকে যে সিলিন্ডারে জমিয়ে রাখা হয়েছে সেটাকে ধীরে ধীরে একটি অটোমেটিক মেশিনের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হচ্ছে। আমার ঝাপসা চোখে ধীরে ধীরে সব পরিষ্কার হতে লাগল।

একটি বিরাট কক্ষে শত শত সিলিন্ডার জমা করা হয়েছে ইতিমধ্যে। আমি আঁচ করতে পারলাম আমার মত অনেককেই আর-৩৪ দিয়ে জমিয়ে সিন্ডিডারগুলোতে জমিয়ে রাখা হয়েছে। আর-৩৪ দিয়ে জমিয়ে রাখলে ঘাড়ের নিচের অংশ সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়। কিন্তু মস্তিস্ক, দৃষ্টিশক্তি, শ্রবণশক্তি ইত্যাদি কাজ করে। তাই আমার পক্ষে ঘটনাগুলো অনুধাবন করা সম্ভবপর হচ্ছে।

অন্যান্য সিলিন্ডারের দিকে লক্ষ্য করে দেখলাম আমার মত অনেকেরই জ্ঞান ফিরে এসেছে। কেননা তারা তাদের চোখকে নড়াচড়া করাতে পারছে। কেউ কেউ চোখের অভিব্যাক্তিতে কিছু বোঝাতেও চাচ্ছে। কিন্তু কক্ষের সবাই অসহায়। কেউ কারো জন্য কিছু করতে পারছেনা।

যারা আর-৩৪ এর সাথে আসে পরিচিত নয় তাদের অনেকেই সিলিন্ডারের ভেতরে চিৎকার করছে। তাদের মুখের দিকে তাকালেই তা বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু তারা বুঝতে পারছেনা তাদের চিৎকার সিলিন্ডারের বাইরে আসছেনা। আমি আর-৩৪ সম্পর্কে অবগত বলেই আমার মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া নেই। আমি জানি চিৎকার চেচামেচি করা নিছক বোকামি ছাড়া কিছুই না।

আমি যে সিলিন্ডারে ছিলাম সেটা নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হল। কিছুক্ষনের মধ্যে এমন আরো শত শত সিলিন্ডার আনা হল। কক্ষটি মোটামোটি ভরে গেল। এরপর প্রচন্ড শব্দে কক্ষের দরজাটা বন্ধ করে দেয়া হল। কক্ষটি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে গেল।

আমি পরবর্তী ঘটনাসমূহের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। চলবে...................... ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.