আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশে কয়লা থেকে পরিবেশবান্ধব ও লাভজনকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভাবনা:

বলার মত কিছু থাকতে হবে তো!

বাংলাদেশ বর্তমানে বিদ্যুৎ সমস্যায় বিপর্যস্ত একটি দেশ। বাংলাদেশে বর্তমান বিদ্যুৎ চাহিদা ৫০০০ মেগাওয়াট/আওয়ার, পক্ষান্তরে উৎপাদন মাত্র ৩০০০ মেগাওয়াট/আওয়ার। সে হিসেবে ঘাটতি ২০০০ মেগাওয়াট/আওয়ার। আগামী ২০২০ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ ঘাটতি গিয়ে দাড়াবে ৭০০০ মেগাওয়াটে। বর্তমান সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার হলো বিদ্যুৎ সমস্যার আশু সমাধান।

এ লক্ষ্যে সরকার কি করছে আর কি করতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা না করে এই নিবন্ধে শুধুমাত্র কয়লা থেকে পরিবেশবান্ধব ও লাভজনকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বশেষ প্রযুক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো: আমাদের দেশে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৯০% বিদ্যুৎ প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহার করে উৎপাদন করা হয়। কিন্ত গ্যাসের মজুদ যে অফুরন্ত নয় এ বিষয়ে আমাদের দেশীয় সকল বিশেষজ্ঞগণ একমত হয়েছেন। বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য গ্যাসের সম্ভাব্য বিকল্প জ্বালানী কয়লা ছাড়া অর্থনৈতিকভাবে উপযোগী আর কিছু নেই। কিন্তু কয়লা ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় পরিবেশের যে বিপুল পরিমান ক্ষতি হয় এবং যে পরিমান কৃষি জমি চাষ অনুপযোগী হয়ে দেশের অর্থনীতির সুদুর প্রসারী ক্ষতি করে সে বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের দেশপ্রেমিক জ্বালানী বিশেষজ্ঞবৃন্দ বিজ্ঞজনোচিতভাবে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলন করে তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিরোধিতা করছেন। কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন এর প্রচলিত পদ্ধতি কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলনের পর তা জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে বয়লারে বাষ্প তৈরী করা হয়।

এই বাষ্পীয় টারবাইনের ভিতর দিয়ে চালনা করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়। অর্থাৎ কয়লা উত্তোলন এবং তা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন দুটি পৃথক কর্ম। খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের জন্য খরচ ও পরিবেশের ক্ষতি খনি থেকে কয়লা উত্তোলন একটি জটিল ও ব্যয় সাধ্য ব্যাপার। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০/৪৫০ মিটার এর বেশী নিচে কয়লা পাওয়া গেলে তা উত্তোলন করা লাভজনক হয় না। দূর্ভাগ্য বশতঃ বাংলাদেশের মজুদ কয়লার প্রায় অর্ধেকটাতেই (জামালগঞ্জ কয়লা খনি) কয়লার স্তর ৬০০ মিটারের নিচে।

কয়লা উত্তোলনকালে ও উত্তোলন পরবর্তী সময়ে বিস্তীর্ণ কৃষি জমি দীর্ঘদিন (৫০০ থেকে ১০০০ বছর) এর জন্য ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এছাড়া উত্তোলনের পর কয়লার দহনের ফলে উৎপন্ন এন-অক্সাইড ও এস-অক্সাইড গ্যাস সমূহ এবং ছাই ব্যপকভাবে বায়ু দূষণ করে। ভূমির উপরে কয়লা দহনের ফলে বায়ুমন্ডলের উ‎ষ্ণতাও বৃদ্ধি পায়। যা বর্তমান সময়ে পৃথিবীব্যাপী একটি বড় সমস্যা। (বাংলাদেশের বিভিন্ন কয়লাখনির পরিসংখ্যান পরিশিষ্টে সংযুক্ত করা হয়েছে) কয়লা খনি থেকে না তুলেই খনির অভ্যন্তরে কয়লা দহন করে গ্যাস উৎপাদন কয়লা খনি থেকে না তুলে খনির অভ্যন্তরেই কয়লা গ্যাসি ফায়ারের সাহায্যে দহন করে ঝুহমধং উৎপাদন একটি অত্যাধূনিক প্রযুক্তি যা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এতে পরিবেশ দুষিত হয় না। কয়লার বর্জ্য, ছাই, এন-গ্যাস, এস-গ্যাস সমূহ খনির ভিতরেই রয়ে যায়; ফলে পরিবেশ নিরাপদ থাকে, কৃষি জমির উৎপাদনশীল টপসয়েল অপরিবর্তিত থাকে। মজার ব্যাপার হচ্ছে খনিতে কয়লার স্তর যতো নিচেই থাক না কেন এতে কোল গ্যাস তৈরীতে বাড়তি কোন খরচ হয় না। পূর্বতন পদ্ধতিতে সাধারণত: কোন খনির শতকরা মাত্র ৩০%-৫০% কয়লা উত্তোলন করা সম্ভব; ফলে এই মহামূল্যবান প্রাকৃতিক জ্বালানীর ৫০% থেকে ৭০% পর্যন্ত অব্যবহৃত থেকে যায়। কিন্ত কয়লা খনির অভ্যন্তরে ঝুহমধং তৈরীর এই পদ্ধতিতে খনির কয়লা মজুদের ৯৫% শতাংশ পর্যন্ত সহজেই ঝুহমধং তৈরীতে ব্যবহার করা চলে।

ঝুহমধং এর মাধ্যমে শুধুমাত্র জামালগঞ্জ কয়লা খনি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের হিসাব প্রতি টন কয়লা থেকে এই পদ্ধতিতে ১.৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়। জামালগঞ্জ কয়লা খনিতে ১০৫৩ মিলিয়ন টন কয়লা মজুদ আছে। এর ৯৫% এই পদ্ধতিতে ব্যবহারযোগ্য বিধায় ১৪৬৩.৬৭ মিলিয়ন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব। এই হিসাবে দেশের আগামী ৩৩ বছরের বিদ্যুৎ চাহিদা এক জামালগঞ্জ কয়লা খনি থেকেই মেটানো সম্ভব। উল্লেখ্য যে, এতে সরকারকে রয়্যালটি, ভ্যাট এবং ট্যাক্স প্রদান করে ১৫% হারে ঋণের সুদ হিসাব করে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ পড়বে ৪.০০ টাকা মাত্র।

কয়লা খনির অভ্যন্তরে ঝুহমধং তৈরীর পদ্ধতি মাটির উপরে গ্যাসি ফায়ারে কয়লা পুড়িয়ে যেভাবে কোল গ্যাস তৈরী করা হয়, অনুরূপ পদ্ধতিতে মাটির নিচে খনিতেও কয়লাকে স্বস্থানে রেখে পুড়িয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুরূপ ঝুহমধং তৈরী করা যায়। উক্ত গ্যাস দিয়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের মত বিদ্যুৎ উৎপাদন, সার প্রস্তুত, পেট্রো-কেমিক্যাল দ্রব্যাদি তৈরী করা সম্ভব। এই পদ্ধতিতে কয়লা খনিতে ফৎরষষ করে কয়লার স্তরে বড় একটা গর্ত করতে হয় যার মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে বাতাস, অক্সিজেন, হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ও কার্বন ডাই অক্সাইড বিভিন্ন অনুপাতে মিশিয়ে ঝুহমধং তৈরী করা হয়। এই পদ্ধতিতে কয়লা পোড়ানোর জন্য গ্যাসি ফায়ার তৈরী ও গ্যাসকে দূষণমুক্ত করার জন্য আলাদা কোন বিনিয়োগের প্রয়োজন হয় না। এই পদ্ধতিতে ১০০০ মিটার বা ১ কিলোমিটার গভীর থেকেও কয়লা পোড়ানো সম্ভব।

সার্বিক নিরাপত্তা ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত খনির অভ্যন্তরে দহন করে ঝুহমধং তৈরী করার ব্যাপারে প্রধানত: দু’টি বিষয়ে বিরোধিতাকারীগণ আপত্তি তুলে থাকেন। তাহলো-১. ভূগর্ভস্থ পানি দূষণ এবং ২. মাটির ভৌত কাঠামো বিনষ্ট হওয়া। ১৯৬০ সালে কোল গ্যাসিফিকেশন শুরু হওয়ার পর থেকে প্রয়োজনের তাগিদে প্রযুক্তির এতটাই উন্নয়ন ঘটেছে যে, এই দু’টি বিষয়ে সার্বিক নিরাপত্তা বিধান ও পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ এখন মামুলী বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। কেননা ভূগর্ভে কোল গ্যাসিফিকেশন এর সময় প্রজ্জ্বলন প্রকোষ্ঠটির চারপাশে এমনভাবে সিল করা হয়ে থাকে যে ভূগর্ভস্থ পানি দূষনের কোন আশংকাই নাই। তাছাড়া প্রজ্জ্বলন প্রকোষ্ঠ এমন স্থানে স্থাপন করা হয় যেখানে প্রাকৃতিকভাবেই সিল করা আছে।

উপরন্তু প্রজ্জ্বলন প্রকোষ্ঠে গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে পানি দূষণ না হওয়ার বিষটি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিষয়টি আরও সহজ। কোল গ্যাসিফিকেশনের জন্য বানিজ্যিক উত্তোলনে যাওয়ার পূবেই যে একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করে মাটির সবরকম ভৌত গুনাবলীই পরীক্ষা করার জন্য খনি এলাকার প্রতি ৬০ ফুট অন্তর জিওলজি, জিও-হাইড্রোলজি, জিও ফিজিক্স, কোল কেমিস্ট্রি, কোল সিম পোরোসিটি, ওভার বার্ডেন ক্যারেক্টার, আন্ডার বার্ডেন ক্যারেক্টার, পারিপাশ্বির্ক এ্যাকুয়াফেয়ার ইত্যাদি পরীক্ষা করা হয়। পৃথিবীর কয়েকটি দেশে সফলভাবে এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে কয়লা খনি থেকে ঝুহমধং তৈরী করা হচ্ছে। যেমন: প্রাক্তন সোভিয়েট রাশিয়ার উজবেকিস্তানে গত ৫০ বছর ধরে খনির অভ্যন্তরে কয়লা পুড়িয়ে ঝুহমধং তৈরী করা হচ্ছে।

কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক করার জন্য যে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন দরকার তা করা হয়নি। এর ফলে অন্ততঃ এইটুকু প্রমানিত হয়েছে যে, খনির অভ্যন্তরে কয়লা পোড়ানো খুববেশী ঝুঁকিপূর্ণ নয় এবং সাধারণ প্রযুক্তিতেই ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। বিগত শতাব্দীর শেষ দশকে গ্যাস ও তেল সংকটের কারনে বিকল্প জ্বালানীর সন্ধান করতে গিয়ে সারা পৃথিবীতে এই প্রযুক্তি নিয়ে ব্যপক আগ্রহ সৃষ্টি হয় এবং অনেক প্রায়োগিক গবেষনা করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার দু’টি প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিটিকে বানিজ্যিকভাবে লাভজনক করার ব্যাপারে প্রযুক্তিগত সাফল্য লাভ করে। তবে এই পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা এই যে, প্রতিটি খনির জন্য পৃথকভাবে পাইলট প্রকল্প করার প্রয়োজন হয়, প্রতিটি খনির জন্য পৃথকভাবে প্রকল্প নকশা প্রণয়ন করে বানিজ্যিক উৎপাদনে যেতে হয়।

এই পাইলট প্রকল্প পরিচালনা করে একটি খনির জন্য বানিজ্যিক নকশা প্রণয়নে সময় দরকার হয় প্রায় দুই থেকে আড়াইবছর। যেহেতু প্রতিটি খনির জিওলজি, জিও-হাইড্রোলজি, জিও ফিজিক্স, কোল কেমিস্ট্রি, কোল সিম পোরোসিটি, ওভার বার্ডেন ক্যারেক্টার, আন্ডার বার্ডেন ক্যারেক্টার, পারিপাশ্বির্ক এ্যাকুয়াফেয়ার ইত্যাদি পৃথক সে কারনেই প্রতিটি খনির জন্য উপর্যুক্ত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট খনির জন্য নির্দিষ্ট বানিজ্যিক উৎপাদন পরিকল্পনা করার প্রয়োজন হয়। কয়লা উত্তোলনের যে কোন পদ্ধতিতেই শুধুমাত্র কয়লা উত্তোলনেই দেড় থেকে দু’বছর সময় লেগে যায়। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার দ’ুটি এবং কানাডার একটি খনিতে এই পদ্ধতিতে বানিজ্যিকভাবে কয়লা খনির অভ্যন্তরে কয়লা পুড়িয়ে ঝুহমধং তৈরী হচ্ছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ নানা কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া ভারত, দঃ আফ্রিকায়ও এ বছরের মধ্যেই ১টি করে কয়লা খনি এই পদ্ধতিতে পাইলট প্রজেক্ট শেষ করে বানিজ্যিক উৎপাদনে যাচ্ছে।

এবং কানাডা ও অস্ট্রেলিয়াতে প্রাথমিক সাফল্যের পর একাধিক কয়লা খনিতে এ ধরনের ডিজাইন তৈরীর জন্য পাইলট প্রজেক্ট চলছে, এ বছরে কমপক্ষে আরও দু’টি কয়লা খনি বানিজ্যক উৎপাদনে যাবে । এছাড়া বৃটেনেও ক্লিন কোল কোম্পানী পাইলট প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছে। নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিভিন্ন দেশে এই ধরনের একাধিক পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়েছে। দেশের জ্বালানী সমস্যা সমাধানের জন্য নিজস্ব জ্বালানী উৎস থাকা বাঞ্ছনীয় ভারত পৃথিবীর ৪র্থ কয়লা উৎপাদনকারী ও প্রাকৃতিক জ্বালানী ব্যবহারকারী এবং আণবিক শক্তির দেশ হয়েও কোল গ্যাসিফিকেশনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। কারণ জীবাশ্ম জ্বালানীর জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরতা কোন দিক দিয়েই লাভজনক নয়।

যারা এর বিরোধিতা করেন তারা কাজটি শুরু করার আগেই সিদ্ধান্ত কী করে দেন সেটাই বোধগম্য নয়। পাইলট প্রকল্প চলাকালীন যে কোন সময় পানি দূষন বা মাটির ভৌত কাঠামো নষ্ট হওয়ার তিল মাত্র সম্ভাবনা দেখা দিলেই প্রকল্প বন্ধ করে কোল গ্যাসিফিকেশন থেকে সরে সম্ভব। এ যেন চিলে কান নেওয়ার গল্পের পুনারাবৃত্তি। সরকার এ বিষয়ে দেশের বিভিন্ন প্রায়োগিক ক্ষেত্রের স্বনামধন্য প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে একটি দূষণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা করে দিতে পারেন; যাদের প্রত্যক্ষ তত্ত্ববধানে পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র প্রাপ্তি স্বাপেক্ষে কোল গ্যাসিফিকেশন এর কাজ বানিজ্যিকভাবে শুরু করতে পারেন। বাংলাদেশে বিভিন্ন কয়লা খনির সংক্ষিপ্ত বিবরণ কয়লা খনি-গভীরতা (মিটার)-কয়লার পরিমান (মিলিয়ন টন) খালিশপির ২৫৭-৪৮৩-৫৮৫ বড় পুকুরিয়া ১১৮-৫০৯-৩৮৯ জামালগঞ্জ ৬৪০-১১৫৮-১০৫৩ ফুলবাড়ী জানানাই-জানানাই-৪০০ দিঘীপাড়া ৩২৮-৪০৭-৩০০


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.