আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লেখালেখির ভাবনাগুলো....

বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........

অনেকদিন হয়ে গেল কিছু লিখিনা। না, ব্লগ বা ব্লগারদের প্রতি কোন অভিমান নেই আমার। কাজের ব্যস্ততা আর লোডশেডিং, আপাতত: এই দুটোকেই কারণ হিসেবে মনে করলাম। কিন্তু লেখালেখির আইডিয়াগুলো তো থেমে নেই। একের পর এক আইডিয়া মাথার মধ্যে কিলবিল করছে তো করছেই।

.............তাই ভাবলাম লিখতে যদি না-ই পারি, লেখার ভাবনাগুলো তো শেয়ার করা যায়। পছন্দ হলে অন্য কেউ লিখবে, অন্য কোথাও। ভাবনা ১ ফ্ল্যাট বাড়ি গুলোতে সদর দরজা ছাড়া বের হবার আর কোন পথ নেই। আল্লাহ না করুন যদি আগুন বা ভূমিকম্পের মত কোন দূর্যোগ এসে হানা দেয় তাহলে জীবিত মানুষগুলোকে এইসব বিল্ডিং থেকে বের করা একটা কঠিন কাজ হয়ে যাবে। অথচ সরকার একটা ছোট আইন করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে এই সম্ভাব্য বিপদের হাত থেকে বাঁচাতে পারে।

প্রত্যেক ফ্ল্যাটের যে কোন একটি জায়গায় (ব্যালকনি বা জানালায়) একটা ছোট এস্কেপ রুটের ব্যবস্থা থাকতে হবে। ছিঁচকে চোরদের হাত থেকে বাঁচার জন্য এটা তালা লাগিয়ে রাখা যেতে পারে কিন্তু বিপদের সময় ঘরের মানুষ গুলো বা তাদের উদ্ধারকর্তারা তালা খুলে এটি ব্যবহার করতে পারবেন। ভাবনা ২ ঢাকা শহরের সম্প্রসারণ কেন বন্ধ করা হচ্ছেনা? অথচ চাইলেই বন্ধ করা যায়। খাল বিল দখল করে এই শহর আর কত বড় হবে? সব দায় দায়িত্ব কি শুধুই ভূমিদস্যুদের? ভূমিদস্যুদের তৈরী করা বাড়িঘরে বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির সংযোগ কে দেয় তাহলে? সরকারের ইচ্ছা থাকলে এই শহরের সম্প্রসারণ খুব সহজেই বন্ধ করা যায়। নতুন করে সব ধরণের বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানির সংযোগ দেয়া বন্ধ করে দিলে আর কেউ নতুন বাড়ি ঘর করতে চাইবেনা? আর তৈরী করলেও সেই বাড়িতে কেউ থাকতে চাইবেনা।

ঢাকাকে বাদ দিয়ে অন্য কোন শহরকে সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা নেয়া যেতে পারে। ভাবনা ৩ জিয়াউর রহমান যদি সঠিক পাত্রী নির্বাচন করে বিয়ে করতেন তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস কিছুটা ভিন্ন হতে পারতো। তিনি বিয়ে করেছিলেন কেবলমাত্র কন্যার রূপ দেখে, কিন্তু কন্যার শিক্ষাদীক্ষা বা পরিবার এর অবস্থা- কোন কিছুই তিনি দেখার প্রয়োজন মনে করেননি। কালের বিবর্তনে সেই অর্ধশিক্ষিত কন্যাই বাংলাদেশের প্রধাণমন্ত্রী হয়ে গেলেন। মা এবং তার পরিবারের কুশিক্ষার কারণে জিয়ার দুই পুত্র হলো কুলাঙ্গার এবং একই সাথে দেশের যুবরাজ।

...................মাঝে মাঝে আফসোস হয় জিয়াউর রহমান আরেকটু দেখে শুনে বিয়ে করলে আমরা হয়তো পেতাম সোনিয়া গান্ধীর মত দেশনেত্রী যিনি ক্ষমতার লোভ না করে মনমোহনের মত গুণী লোক দিয়ে দেশ চালাতেন! ভাবনা ৪ দেশের বিচার ব্যবস্থার আমূল সংষ্কার। দেশে আসলে কোন বিচার ব্যবস্থা নেই, যেটা আছে সেটা এক ধরণের প্রহসন। মামলা হয়, আসামী ধরা পড়ে কিন্তু ২/১ মাস পরে জামিনে বেরিয়ে যায়। মামলা চলতে থাকে ১০/২০/৫০/১০০ বছর ধরে। বাদী-বিবাদী উভয়ে একসময় নিঃস্ব হয়ে যায় কিন্তু উকিল মোক্তারদের পকেট ভারী হতে থাকে।

মোটা দাগে এই হলো আমাদের বিচার ব্যবস্থা। ক্রসফায়ারের মত উদ্ভট ব্যবস্থার উদ্ভব শুধুমাত্র এই অকর্মন্য বিচার ব্যবস্থার জন্যই। তাই এর একটা বড় ধরণের সংষ্কার এখন অপরিহার্য্য হয়ে পড়েছে।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.