আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাবিজাবি

যখন একা বসে ভাবি তখন সেই ভাবনাগুলোই গান হয়ে যায়। তারপর গীটারটা হাতে নেই সেই ভাবনাকে সুরের মূর্ছনায় ছড়িয়ে দিতে। এভাবেই চলছে গান, ভাবনা আর বেচে থাকা।

“এই ঘুণে ধরা সমাজের কথা আর বলবেন না, এই সমাজটার দিকে তাকালে চোখে টপটপ করে পানি এসে যায়” ...... এই ডায়লগ আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদেরকে প্রায়ই দিতে দেখা গেছে। তারা এই কমন ডায়লগটি দিতে দিতে নিজেদের দাঁতেও কিঞ্চিত পরিমান ঘুণ ধড়িয়ে ফেলেছেন এবং এই ডায়লগ ননস্টপ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সমাজের ঘুণ নিয়ে যে তারা বেশ চিন্তিত এতে আমার কোনই সন্দেহই নেই,কিন্তু এই ঘুণ কিভাবে দূর করা যায় সে বিষয়ে তাদের আগ্রহ পিঁপড়া পরিমান। আমার যতদূর মনে হয়,উনারা এই ঘুণকে চাষ করে এটাকে কোন একটা লাভবান ব্যবসায় উন্নীত করতে চান এবং ইতোমধ্যে তারা বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে এই কাজে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছেন। উদাহরন হিসেবে বলা যায় অমুক অমুক রাজনীতিবিদের কথা (নাম বলে এই মহান ব্যক্তিদেরকে ছোট করতে চাই না,আমি ক্ষুদ্র মানব আর উনারা দানব)। যাই হোক,এবার আসি রাজনীতির কথায়। বলতে পারবেন রাজনীতির আসল মানে কি? জানি এখন আপনি একটা লম্বা লেকচার দেয়া শুরু করবেন।

আরে থামেন থামেন ভাই, করেন কি ! আমার এত সময় কই আপনার লেকচার শোনার? আমি জানি আপনি কি বলবেন। বলবেন, রাজনীতি হল যেখানে রাজা আর জনগনের সমান অধিকার অমুক তমুক ইত্যাদি ইত্যাদি হানিফ সংকেত............ আপনার সংজ্ঞা ঠিক আছে তবে এটা অফিসিয়াল সংজ্ঞা,আমি এটা জানতে চাইনি। আমার দরকার লোকাল আই মিন প্রাকটিক্যাল সংজ্ঞা। এবার তাহলে শুনুনঃ প্রথমে ব্যাসবাক্য দিয়ে শুরু করি। রাজনীতি = রাজাদের নীতি(জনগনের পেটে লাথি দিয়ে প্রনীত নীতি/ক্রসফায়ার নীতি/বুলেট নীতি) ব্যাসবাক্য থেকে আমরা দেখতে পাই যে,রাজনীতি হচ্ছে এমন এক নীতি যেখানে শুধু রাজারাই থাকবেন এবং তারাই সকল নীতি প্রণয়ন করবেন।

জনগন বলে সেখানে কিছু থাকা হারাম এবং বিরাট অন্যায়ও বটে। জনগন মরল কি বাঁচল সেটা রাজনীতিবিদদের দেখার বিষয় না। জনগন না খেয়ে মরলে সেটা একান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার,এজন্য উনাদের মোটেই দায়ী করা যায় না। কারণ রাজনীতিবিদরা রাজনীতি করেন,জননীতি নয়। এবার বিনোদনমূলক একটি জ্বালাময়ী কবিতাঃ হে রাজনীতি তুমি মোরে করেছ মহান, তাই আমি গেয়ে যাই শুধুই দুর্নীতির গান ।

তোমার ক্রসফায়ারের শব্দ কি মিষ্টি মধু, বুঝতে পারিনা এটা কি লাউ না কদু । হে রাজনীতিবিদ কবে তুমি আসবে কাছে, কবে তুমি আমাদেরকে দড়ি বেধে ঝোলাবে গাছে। এবার একটি ছোট্ট পুটি মাছ সাইজের বিজ্ঞাপন বিরতি নিচ্ছি। ওকে আমরা আবার ফিরে এসেছি। এবার আলোচনায় আসা যাকঃ জনগন মাঝে মাঝে প্রশ্ন তুলে যে, অমুক নেতা রাতারাতি কুড়ে ঘর থেকে রাজপ্রাসাদ কি করে তুলল।

দেখুন, এই ধরনের প্রশ্ন তুলে মহান রাজনীতিবিদদেরকে বিব্রত করার মানে কি? উনি একজন রাজনীতিবিদ তাই উনার সব কাজ রাজকীয়। রাজনীতিবিদ নাম থেকেই বোঝা যায় উনি রাজপ্রাসাদের লোক,হোক না সেটা চুরির টাকা দিয়ে তৈরী রাজপ্রাসাদ। চুরি করাও তো একটা কাজ। আর কোন কাজকেই ছোট করে দেখা উচিত নয়। এবার বলুন তো দেখি বিশ্বের কোন দেশে পিওর রাজনীতি প্রচলিত আছে? এত ভাবার তো কিছু নেই,নিজের দেশের নামটা আশা করি আপনি ভুলে যাননি।

জ্বী,ঠিক ধরেছেন বাংলাদেশই বিশ্বের সবচেয়ে পিওর রাজনীতির দেশ। এখানে রাজনীতিবিদরা জনগনকে অধিকার থেকে ১০০% বঞ্চিত করে বিশ্বের বুকে অমর হয়ে অবশেষে মারা গেছেন (উদাহরন হিসেবে বলা যায়, অমুক অমুক রাজনীতিবিদ)। পরিশেষে বলতে চাই, এই রাজনীতিবিদরাই আমাদের অহংকার। এরা আছে বলেই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে বাংলাদেরশের কথা উঠে আসে। অবশ্য কি বিষয়ে কথা উঠে আসে সেটা শোনার দরকার নেই,উঠে যে আসে সেটাই আসল কথা।

এই রাজনীতিবিদদেরকে একরাশ ডুমুরের ফুলের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করে শেষ করছি আমাদের আজকের অনুষ্ঠান সর্যি মানে আজকের আলোচনা। আবারো দেখা হবে একই সময়ে একই চ্যানেলে, ইয়ে আবারো সর্যিআ মানে একই ব্লগে দেখা হবে আরকি(অবশ্য যদি ক্রসফায়ারে না পড়ি,আর পড়লে তো বোঝেনই ইন্না...............রাজেউন,রাজনীতি জিন্দা-ভাত) ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।