আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সন্ধ্যায় টিএসসি তে

নিপুণ লেখনীর শানিত গর্জন / লিখব আজ নিপুণ কথন চায়ের কাপে ঝর তুলতে তুলতে বন্ধুরা আড্ডা দিচ্ছিলাম টিএসসি তে । হঠাৎ কে যেন পিছ থেকে চার হাত পা দিয়ে আমায় জড়িয়ে ধরল! পিচ্চি হাত দুটি এক হাতে ধরে পিছে তাকাতেই দেখি সারা গায়ে কালি আর উসকো-শুষ্ক চুলের একটি পিচ্চি মেয়ে । চার হাত-পা দিয়ে একেবারে আস্টে-পিষ্টে জড়িয়ে আছে আমায় । মলিন মায়াকরা চেহারা দেখে মায়া হল । ওদিকে আমিতো নড়তে পারছিনা! ছেড়ে দিতে বললেই আমাকে বিস্মিত করে দিয়ে ছেড়ে দিল মেয়েটি ।

তাই বলে আমাদেরকে ছেড়ে গেলো না । এবার জড়িয়ে ধরল বন্ধু তুহিনকে । তুহিন একদম হ্যাংলা-পাতলা গড়নের লম্বা ছেলে, দেখলে মনে হবে শুধু হাড়গুলোই মনে হয় আছে গায়ে! ও তো আরও বেকায়দায় পড়ে গেলো! কিছুতেই ছারছে না মেয়েটা । আমি পকেট থেকে ভাংতি টাকা বের করে মেয়েটাকে দিলাম । কিন্তু তাতে ওর মন ভরল না ।

ওর আরও চাই এবং সেটা তুহিন ও আমার অন্য বন্ধুটার থেকে । কিন্তু ওদের কাছে যে ভাংতি নেই! টানা ১০ মিনিট এভাবেই চলে গেলো । ছাড়াছাড়ি নাই । শেষে কি করা? বাধ্য হয়ে ওকে কোনমতে ছাড়িয়ে ভোঁ দৌড় দিল ও! এদিকে আমরাতো হাসতে হাসতে শেষ । বললাম, "তুহিন, তাইলে এই অবস্থা? মেয়ের খেয়াল রাখোনা?" হ্যাঁ, মজা করলাম একটু ওকে নিয়ে ।

কিন্তু একবার কি ভেবে দেখেছি এসব পথশিশুর কষ্টটা? ভেবেছি এদের জীবন? দুটো টাকার জন্য কত না বাহানা এদের! উপায় তো আর নাই । যেভাবেই হোক পেটে দু'বেলা ভাত তো দিতে হবে । হোক শ্রম দিয়ে, ভিক্ষা করে অথবা এমন বাহানা কিংবা আহ্লাদ দিয়ে! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.