আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিভক্তির বীজ বাড়ছে,,আমরা পুতুল নাচছি--হারামী সাম্রজ্যবাদীদের ইন্ধনে।।

অব্যক্ত বক্তব্যের ধারাবাহিক চলন,,

ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ন দেশ। । যুগে যুগে আমরা যেমন সম্ভাবনাময়,,তেমনি সাহসী। । বৃটিশ যুগে যদি দেখি,, বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে আমরাই বড় বড় আন্দোলন করেছি।

কিন্তু পরিনতিতে বৃটিশদের সঙ্গে আমাদের শত্রুতা,, বঞ্চিত হয়েছি তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রতিষ্ঠান থেকে। । কিন্তু পাশ্ববর্তী দেশগুলো তথা তৎকালীন ভারতবর্ষের অন্যান্য ভুখন্ড তথা জাতিগোষ্ঠি ইংরেজি ভাষা গ্রহন করে দালালি করে নিজেদের সমৃদ্ধশালী করেছে। । বাংলার স্বার্থ পাশ্ববর্তী ভুখন্ডগুলোর কাছে সর্বদাই ভুলন্ঠিত।

। ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে ঢাকাকে রাজধানী করা স্বাধীন একটি দেশ পেলাম,, তখন দেখেছি কুকুরের মত কলকতাকেন্দ্রিক উন্নয়নভোগীরা এর বিরোধীতা করেছে। ফলে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলো আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া আমাদের অর্জন শূণ্য। । ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলো।

। এর আগে লাহোর প্রস্তাবে বাংলাভাষাভাষীদের আলাদা ভুখন্ড হবার কথা ছিল,, তা হলোনা। অবাক লাগে কোথায় পাকিস্তান আর কোথায় বাংলাদেশ। । ধর্মের কারনে এত দুরের দুটো ভুখন্ড এক দেশ হওয়াতো সেই ১৯৪৭ থেকেই অযৌক্তিক।

। ১৯৭১ যে স্বাভাবিক তা ১৯৪৭ সালেই গান্ধীসহ ভারতীয় প্রজ্ঞাবান রাজনীতিবীদরা বুঝতে পেরেছিল। । । বেকুব পাকিস্তানীরা এদেশ আলাদা না করে ভাগ করে নিলো।

। ঐ সময়ে বাংলাভাষাভাষীদের নিয়ে একটা জাতি হলে,, আমাদের অবস্থান বিশ্বভূখন্ডে কতটা মজবুত থাকতো,, ভাবুনতো!! দূর্ভাগা এ বাঙালী জাতি,,যার মাথায় কাঠাল ভেঙে সুবিধা নিয়ে যায় ঐসব সাম্রাজ্যবাদীরা। আজ যদি আমরা একটা প্রক্ষাপট দেখি এই বিভেদ সৃষ্টির প্রক্রিয়া চলছে। । ।

সামান্য এই ব্লগেই আমরা একজন আরেকজনকে কথা দিয়ে ছিড়ে ফেলি। । কিন্তু কেন?? এটাও কি সাম্রাজ্যবাদীদের কৌশল। । ।

। এদেশে যত বিভক্তি তাদের শাসন ও খবরদারি তত মজবুত হবে। । আমরা প্রায় ১০০% বাংলায় কথা বলি, বর্ণগত বৈষম্য নেই,, ধর্মগত ঐক্য মজবুত। ।

এ অবস্থায় আমাদেরকে পৃথক করতে মতাদর্শকে ব্যবহার করা হচ্ছে। । । বিএনপি দুর্নীতিবাজ, জামায়াত রাজাকার, আওয়ামীলীগ বাকশাল, জাতীয় পার্টি স্বৈরাচার--কতো মতোভেদের রাস্তা। ।

কথা হলো সত্যি বলতে প্রতিটি দলের সবাই কি দুর্নীতিবাজ, রাজাকার বা বাকশালী। । এদেশের অবদান বা ভাগ্যোন্নয়নে রাজনৈতিকদলগুলোই ভুমিকা রাখতে পারে। । ।

আজ দেশের যা উন্নয়ন তার প্রতিটি ক্ষেত্রেই আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতের অবদান অনস্বিকার্য। । কিন্তু আজ যেন বিভক্তির বীজ বুনা হচ্ছে। । ।

সরকার বিরোধী মতামতকে এমনভাবে দমন করছে যা ঠিক নয়। । যদি কোনদিন আজকের বিরোধী পার্টিরা ক্ষমতায় এর চেয়ে দ্বিগুন অত্যাচার করবে,,,এটাই আমাদের সংস্কৃতি। । কিন্তু এটাতো কাম্য নয়।

। জামায়াতের কতিপয় শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার নিয়ে বিভিন্ন লেখা হচ্ছে। । কতিপয় জামায়াত নেতা নেতা যদি যুদ্ধাপরাধী হয়ে থাকে,, তার জন্য পুরো জামায়াত-শিবির দায়ী নয়। ।

আজ নিজামী-মুজাহীদ-সাঈদী'র কি যুদ্ধাপরাধীর বিচার হচ্ছে?? পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার জন্য রিমান্ড!! একজন সচেতন ও বিবেকবান হিসেবে সরকারের এ ধরনের হিনমন্যতা কাম্য হতে পারেনা। অনেকে ব্যাপারটা পজেটিভলি দেখতে পারেন,, কেউ নেগেটিভলি দেখবেন,,কিন্তু কেন দেখবেন?? এই জায়গাটায় যে বিভক্তি,, তার সৃষ্টি কে করছে। । যারা যে পক্ষেই হোক না কেন,,, আমরা এক--এ দেশ আমার---তামিম যদি ছয় মারে আমরা আনন্দে যে চিৎকার দেই একসাথে.....দেশের ভালোমন্দ, গণতন্ত্র, সঠিক বিষযে কেন নীতিভ্রষ্ট। ।

অন্ধ আনুগত্য কেন?? আমাদের এই বিভক্তি জাতিকে দূর্বল করছে। । । ফয়দা লুটছে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো,, যেখানে আমরা দ্বীধা বিভক্ত হযে করুনার হাত বাড়াই,, আমরা হয়ে যাই অমুকের দালাল, তমুকের দালাল। ।

। আমাদের বাংলাদেশী সত্তা ,, এই ভুখন্ডের ভালবাসা প্রীতিতে জাগ্রত হওয়া কি খুব কঠিন। । পরমত সহিষ্ঞুতা কি দেখানো যায়না। ।

। যতদিন আমরা এক না হবো বৃহত্তর স্বার্থে,, আমাদের মাথায় কাঠালই ভেঙে খাবে সাম্রাজ্যবাদীরা। । সত্য ও ন্যায়ের পথে,,, বিভক্তি নয় ঐক্য গড়ে। ।

। প্রত্যেক সরকারকে সবাই সাহায্য করি,,, বিরোধী দলের প্রতি সহনশীল থাকুক সরকার। । আমরা জনগনও দ্বিধাবিভক্ত না হয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে এবং দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিতে সরকারকে সাহায্য করি। ।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.