আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাদৃশ্য লক্ষন অনুযায়ি যে চিকিৎসা গ্রহন করা হয় তাহল প্রকৃত হেমিওপ্যাথি।

সাধারণ মানুষ যার জানার কিছু ইচ্ছা আছে।

হোমিওপ্যাথি এক উত্তম চিকিৎসা পদ্ধিতির নাম। যা মানুষের রোগ কে নির্মূল করে। হোমিওপ্যাথির কাজ এত গভির সত্যিই অবাক হবার মত। এমন অনেকেই আছেন যারা এই দাবি করতে পারেন যে,আমি হোমিওপ্যাথি মতে অনেক চিকিৎসা করেছি কিন্তু কোন সুফল পাইনি।

তাদের এই দাবি ফেলে দেবার নয়। বাস্তবিক তারা চিকিৎসা করে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে। এবং বুঝতে পেরেছে যে হোমিওপ্যাথি আসলে একটি ধোকা। এখন প্রশ্ন হল আমি যে বললাম উত্তম চিকিৎসা পদ্ধতি,যা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনকারীদের বিপরিত কথা হল। উত্তর হল দুটি কথাই ঠিক তবে তা দু অবস্থান থেকে।

আমি দির্ঘদিন হোমিওপ্যাথি নিয়ে গবেষনা করেছি এবং যেখানেই চিন্তা ও গবেষনার মাধ্যমে ঔষধ প্রয়োগ করেছি সেখানে ১০ জনের মধ্য আট জনকে সফল ভাবে নিরাময় লাভে সক্ষম হয়েছি। আমি গভির ভাবে লক্ষ করে দেখেছি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা যারা করেন তারা প্রকৃত হোমিওপ্যাথি নিতি কখনোই অনুসরন করেন না। যা এই দেশের প্রকৃত চিকিৎসক গন জানেন। সাদৃশ্য লক্ষন অনুযায়ি যে চিকিৎসা গ্রহন করা হয় তাহল প্রকৃত হেমিওপ্যাথি। লক্ষন সাদৃশ্য ঔষধ নির্বাচন করে ধাতুগত চিকিৎসা করা একটি কঠিন কাজ।

কেননা হোমিওপ্যাথির আয়োতন হল মহা সমুদ্রের মত,যার ভিতর থেকে একটি সূচ খুজে বাহির করা যে রূপ কঠিন ঠিক ততটুকু বা তার চাইতে বেশী কঠিন হল সাদৃশ্য লক্ষন অনুযায়ী ধাতুগত পুরাতন রোগের চিকিৎসা করা। মজার বিষয় হল হোমিওপ্যাথিতে রোগির কি রোগ হয়েছে এর কোন বৈশিষ্ট নাই বরং রোগির মানষিক লক্ষন সহ,তার ইচ্ছা অনিচ্ছা,প্রেম ,ভালবাসার ক্ষেত্র,আবহাওয়া গত ইচ্ছা অনিচ্ছা,এই সব বিশ্লেষন করে সাদৃশ্য বিধান মত ঔষধ নির্বাচন সম্ভব হলে,ঐ ঔষধ এমন গভির ভাবে রুগীর ভিতর কাজ করবে যে,রোগীর ভিতরের সকল প্রকার বিশৃংখলা পরিবর্তন করে শৃংখলা আনায়ন করবে। এই জন্যে একজন প্রকৃত হোমিওপ্যাথি ডাক্তার দিনে কয়েক জন রোগী দেখতে পারেন। ১০টি রোগী যা চিররোগ তা কখনোই অনেক অভিজ্ঞ ডাক্তারের পক্ষেও দেখা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে যারা হোমিও চিকিৎসা করেন তারা বেশির ভাগ মেধাহীন ডাক্তার।

এক জন এম বি বি এস ডাক্তার হতে হলে সেই ছাত্রকে অনেক মেধাবী হতে হয়। কিন্তু এই রকম মেধার যাচায় কিন্তু হোমিওর ক্ষেত্রে নাই বললেই চলে। এত কঠিন চিকিৎসা পদ্ধিতি কিনা সবচাইতে কম মেধাবীদের হাতে,ফলে তারা হোমিওপ্যাথি নামে যে চিকিৎসা তারা করে তা হল হনুপ্যাথি। হাজারো রোগ যদি একজন মানুষের মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবে এই হাজার অসুখের জন্য একটি ঔষধ নির্ধারণ হবে, আর ঐ একটি ঔষধ তাকে আরোগ্য করবে। তবে মাঝে মাঝে অন্য ঔষধের প্রয়োজন হতে পারে কিন্তু তার প্রকৃতি অনুযায়ী একটি মাত্র ঔষধ তাকে আরোগ্য করবে।

আমার এক ভাগীনে ভাল ঘরের ছেলে,নাম জাকির,মাঝে মাঝে মানুসের টাকা ও জিনিস পত্র চুরি করে,এই ছেলের জন্য তার বাবা মার সন্মান নষ্ট হবার যোগার হয়েছে। অনেক তাবিজ ও চিকিৎসা হয়েছে এমন কি আমার বাড়ীতে বেরাতে এসে আলমারি ভেঙ্গে ২৬০০টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। যাই হোক আমি তার মাকে বুঝিয়ে বলি যে,এই ঘটনার কারনে তাকে মার পিট করে সংষোধন করা যাবেনা,এটা একটা মানষিক রোগ যার উপযুক্ত চিকিৎসা আছে এবং এই দোষ সংষোধন করা যবে। আমার এই কথাতে তার চিকিৎসার দায়ীত্ব আমাকে দিলে আমি খুটিয়ে খুটিয়ে ৫টি মানষিক লক্ষন সহ ১০টি লক্ষন সংগ্রহ করি। এবং ৩দিন বিভিন্ন ভাবে বিচার বিশ্লেষন করে আর্স-১এম প্রদান করি।

আজ ৫/৬ বছর চলছে চুরির মত ঘৃনিত কাজ আর তার দ্বারা হয়নি। আর্স এর মত মারাত্তক ঔষধ দেওয়ার জন্য উপযুক্ত মানষিক লক্ষন সংগ্রহ করতে হয়েছিল, যার ফলে শুধু ৫টি ছোট বড়ির একটি মাত্র মাত্রা তার ভিতর এত গভির ভাবে কাজ করে যে,ফলে এক মাসের মধ্যে উক্ত দোষ ছাড়াও তার শারিরিক অনেক বিষয়ের উন্নতি স্পষ্ট বোঝা যায়। আমার আরেক ভাগেনে ভুমিষ্ট হবার পরে তার প্রসাব বন্ধ ছিল তাকে একো ২০০ এক ডোস প্রদান করি এবং দু ঘন্টার ভিতর তার প্রসাব হয়। ............চলবে

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.