আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাদৃশ্য অপরাধের বৈসাদৃশ্য শাস্তি

এই সেই ............. অপরাধঃ তাজরীন গার্মেন্টস এর মালিকের অপরাধ ১১১ জন শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করা। স্মার্ট গার্মেন্টস এর মালিকের অপরাধ ৭ জন শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করা। ফলাফলঃ তাজরীন গার্মেন্টস এর মালিক ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রকাশ্যে। স্মার্ট গার্মেন্টস এর মালিক আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার। নেপথ্যেঃ তাজরীন গার্মেন্টস এর মালিক প্রভাবশালী, উপরমহলের অনেকের সাথে তার নিত্য যোগাযোগ।

স্মার্ট গার্মেন্টস এর মালিক তেমন প্রভাবশালী নয়, কোনভাবে ছোট ছোট কাজ করে উপরে উঠতে চেয়েছিলেন। আমার অভিমতঃ এই দুই গার্মেন্টস এর মালিকের অপরাধ সমান এবং তা হলো মানুষ হত্যা করা। এখন একজনের ক্ষমতা কম থাকায় সে শাস্তি পাবে অন্যজন ক্ষমতাবলে বেঁচে যাবে তা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। আইন হতে হবে সবার জন্যই সমান। এই দুই গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডের পিছনে শুধু মালিক দায়ী নয়, দায়ী তাদের ব্যবস্থাপনা।

তাই এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলের অচিরেই শাস্তির দাবী জানাই। ঢাকা শহরে অনেক গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে যাদের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক, নেই জরুরী নির্গমন পথ। অথচ একটি কারখানা তৈরী করতে হলে এই দুটি শর্তকে প্রথমে প্রাধান্য দিতে হয়। তাই ঐ সব গার্মেন্টস এ যারা ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে কাজ করেন তাদের উচিত সচেতন হওয়া। ব্রেকিং নিউজে আপনার প্রতিষ্ঠানটির নাম দেখতে না চাইলে আজই সতর্ক হোন।

প্রয়োজনে "Safety First" এর শর্তাবলী না মানা পর্যন্ত কর্ম বিরতীতে যাওয়ার ঘোষনা দিন। আপনি বাচতে পারলে তারপরই তো কাজ করতে পারবেন। বেচে থাকার জন্যই কাজ করছেন, মৃত্যু ডেকে আনার জন্য নয়। "কর্মস্থল কারো মৃত্যুস্থল না হোক" এটাই প্রত্যাশা। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.