আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এক্সট্রিম মেটাল পার্ট ১: মাথা যাগো খারাপের পিকে আছে আর যাগো আরো বেশী হ্যাড বেঙ্গিং দরকার তাগো লিগা!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

(মেটাল নিয়া আগের কয়েকটা লেখা যদিও ডাউনলোড লিংক কাজ করে না: ১) ব্যাপক মেটাল ক্লাসিফিকেশন আর তদ অনুযায়ী ডাউনলোড লিংক- রোজার মধ্যে মেটালগানের বস হইয়া যান সবাই-১! ২) ব্যাপক মেটাল ক্লাসিফিকেশন আর তদ অনুযায়ী ডাউনলোড লিংক- রোজার মধ্যে মেটালগানের বস হইয়া যান সবাই-২! ৩) ব্যাপক মেটাল ক্লাসিফিকেশন আর তদ অনুযায়ী ডাউনলোড লিংক- রোজারমধ্যে মেটালগানের বস হইয়া যান সবাই- শেষ পর্ব! তবে এই পর্বের ডাউনলোড লিংক পুরাই জেনুইন, কাম করে এখনো...পাসওয়ার্ড চাইলে http://www.mp3boo.com দিয়া দিবেন! ) : মামা, মেটাল শুইনা তো কুনো দিশা করতে পারতাছি না। কি করি? : কেন, কি করছো, গান গাওয়া ধরছো নাকি? : আর কইয়ো না, খালি গ্রল ক্রিপ দিবার মন চায়। ইদানিং রাস্তায় রিক্সা আলারে গ্রল ক্রিপ দিয়া ডাকলে দেখি দুই একটা দুকানের সাটার পইড়া যায়, আশেপাশের লোকজন সামনে আইসা জিগায় সমস্যা কি! : এই তো, ভাবে সাবে আউগাইছো, কয় দিন পর তো মেটালের আসল শিষ্য না হইলে আমি আমার.......... : আর কইয়ো না, আজকা সকালে একখান আকাম করছি, বাপ অফিসে যাইবো, কি মনে কইরা বাপের সামনে গিয়া ঐ গ্রাল ক্রিপ্টে কইলাম, বাবা, টাকা দাও। দাও যখন কইলাম তখন একটু টানখান বেশী দিছিলাম।

লগে লগে বাপে কি করলো জানো? আম্মার দিকে তাকাইয়া পায়ের জুতাটা আমার মুখের উপর মারলো! তখনই হুশ হইলো আমি আমার কানের এমপি৩ এর হেড ফোন খুলি নাই। : মামা, এই মেটাল কিছু না , আরও মেটাল আছে। এই মেটালরে নিতে হবে সেই মেটালের কাছে! : কতদূর লাগবো সেইডা হইতে? : ঢাকা থিকা পাবনার হেমায়েতপুর যাইতে যতক্ষন লাগে ঠিক ততক্ষন! আজকা এই এক্সট্রিম মেটাল নিয়া বাতচিত করুম। এখন সব সিসি মেটাল শুনতে ভালো লাগে না। একটুসখানি গ্রাইন্ডকোর অথবা মেথকোর না হইলে সাথে রিদমেটিক গ্রল ক্রিপ্টের টান....কিছু জমে না।

তার আগে একটা কমন ইস্যু নিয়ে কথা বলি, রক আর মেটালের মধ্যে স্পেসিফিক পার্থক্য গুলো কি কি? ১) রককে যদি একটা জেনারা ভাবি তাহলে মেটাল হইলো তারই একটা সাবজেনেরা। কারন রকের একস্ট্রিম রূপ হইলো এই মেটাল। মোট কথা রক ব্লুজের প্রভাব মেলা আর মেটালে ব্লুজের হাহাকার! ২) ওভারড্রাইভ বা ফাজ বা ডিসটরশন এফেক্ট মেটালে খুবই বেশী রকের থেকে। আরেকটু ক্লিয়ার করলে রক মিউজিকে ড্রাইভ নবের ব্যাব হারটা হয় এর শীর্ষ ক্ষমতা ব্যাব হার করে যখন ওভারড্রাইভ এফেক্ট টা দেবার সময় হয়। এর ফলে সাউন্ডটা একটু বেশী সময় সাসটেইন করে আর ডিসটরশনটা একটু হালকা হয়।

কিন্তু মেটালে ওভারড্রাইভ এমন ভাবে করা হয় যাতে ডিসটরশনটা আরো বেশী ভারী এবং গভীর হয়! ৩) মেটালের মিউজিক একটু ডীপ এবং ভারী রক অপেক্ষা। মেটালে ডায়াটোনিক আর ক্রোমাটিক এফেক্ট এর উপর বেশী নির্ভর করে অন্যদিকে রক পেন্টাটোনিক স্কেল (ব্লুজ, ব্লুজ রক ইত্যাদি) আর হারমোনি মেলোডি নিয়ে বেশী কাজ করে। ৪) মেটালে অড টাইম সিগন্যাচার মাঝে মাঝে ব্যাব হার করা হয় তবে রকের ঐ মেজার মাইনর স্কেল আর সেই বেসিক ৪/৪ রিদম। রকের টেম্প একটু স্লো হয় আট নম্বর স্কেলে আর মেটালে ১৬ নম্বর নোটে একটু দ্রুত টেম্পোতে বেশী জোর দেয়। গীটারের ক্ষেত্রে রকে দেখা যায় কয়েকটা কর্ড বার বার কয়েকটা রীফের মধ্যেই বাজতে থাকে কিন্তু মেটালে কর্ডের থেকে রীফের কাজ বেশী দেখা যায় আর অনেক ড্রপটিউনিংস থাকে।

ব্লাস্ট বিট হলো আরেকটা ট্রেডমার্ক! ৫) মেটালে ডাবল বেস পেডাল লাগবেই, যেখানে রকে খুব বেশী দেখা যায় না। মেটালের টেম্পো খুবই দ্রূত, গলাটা হবে একটু হার্স, মনে হবে জন্মের সময় ওর মুখে তেতুল দেয়া হইছিলো! এক্সট্রিম মেটাল: এক্সট্রিম মেটাল হলো অনেকটা পোশাকী নাম অথবা ছাতাও ধরা যেতে পারে যেটা হেভীমেটালের মধ্যে বেশ কিছু সাব জেনেরা নিয়ে তৈরী। মেইন স্ট্রিমের মিউজিক থেকে অনেকটা দূরে থাকবার কারনে আসলে নির্দিস্ট করে এর ডেফিনেশন এখনও কেউ দেয় নাই তবে নীচের দিকে এর এক্টা শর্ট বর্ননা দেয়া যেতে পারে। স্ট্রাকচার: প্রথাগত মেলোডির উপস্হিতি নগন্য হলেও কর্ড প্রগ্রেশনে এটার উপস্হিতি এখনো লক্ষ্যনীয়। পপ হুককে ফোকাস করে পুরো একটা গান কখনই চলে না, খুব বেশী হলে সাইড ব্যাকআপ ইনস্ট্রুম্যান্টের ড্রপটিউনিং হতে পারে।

ভোকাল: ইহা খুবই দরকারী একটা জিনিস। ডেথ মেটালের রুক্ষ গাটারাল গ্রল এর সাথে ব্লাক মেটালের হাই পিচ তীক্ষ্ম ক্রন্দন বা চিৎকারের মতো টেকনিক এখানে প্রচন্ডভাবে লক্ষনীয়। তাই দেখা যায় থ্রাশের ভোকালিস্ট দিয়ে কাজ না হলে সাথে আরও একটা ভোকাল লাগায় শুধু রূক্ষ গাটারাল গ্রলের জন্য। টেম্প: একস্ট্রিম মেটালের নির্দিস্ট কোনো টেম্প তে বাজে না দেখা গেলো থ্রাশ ডেথ বা ব্লাক মেটালের মতো ৩০০ বিপিএম থেকে দ্রুত ড্রন বা ফিউনারেল মেটালের মতো স্লো টেম্প তে চলে গেলো। ড্রামারকেও দেখা যায় ডাবল পিচ, ব্লাস্ট বিট এবং ডাবল বেস ব্যাব হার করে জটিলতর মিউজিকের সন্নিবেশ ঘটায়।

গীটার: গীটারের ডিসটরশনটা করা হয় মেইনলি রূক্ষ ভারী্ অথবা এ্যাব্রেসিভ টোনে বাজাবার জন্য। মাঝে মধ্যে ই স্ট্যান্ডার্ডের নীচে টিউন করা হয় : থ্রাশ এবং ব্লাকের গীটারিস্ট গুলান মূলত টিউনের অর্ধেক অথবা পুরা স্টেপডাউন করে বাজায় অন্যদিকে ডুম আর ডেথের গুলান বাজায় আরও নীচে। সেভেন স্ট্রিং সিক্স স্ট্রিং এর গীটারও বেশ দেখা যায় আর সাথে রীফ গীটার সলো তো আছেই। একস্ট্রিম মেটালের প্রাইমারী জেনেরা হলো: ১) ব্লাক ২) থ্রাশ ৩) ডুম ৪) ডেথ এগুলো নিয়ে আগের পার্টগুলোতে আলোচনা হয়ে গেছে। আর এর প্রাথমিক সাব জেনেরা হলো: ১) ব্লাকে সাব জেনেরা: সিম্ফোনিক আর ভাইকিং ব্লাক মেটাল ২) ডেথ মেটাল: মেলোডিক আর টেকনিক্যাল ডেথ মেটাল ৩) ডুম মেটাল: ড্রোন, ফিউনারেল, স্টোনার, এপিক এবং স্লাজ ডেথ মেটাল ফিউশন জেনারা ১) ব্লাক + ডেথ ২) ডেথ + ডুম পান্ক আর হার্ডকোর ফিউশন: ১) ক্রসওভার থ্রাশ ২) ক্রাস্ট পান্ক ৩) গ্রাইন্ডকোর: ক) ডেথ গ্রাইন্ড খ) গোর গ্রাইন্ড ৪) মেটালকোর: ক) ডেথ কোর খ) ম্যাথ কোর ৫) স্লাজ মেটাল এতো এতো জেনারা নিয়ে এক পোস্টে লেখা সম্ভব না।

আপাতত এসময়ের প্রিয় দুটো জেনারা মেটাল কোর আর গ্রাইন্ডকোর নিয়ে লিখবো! মেটাল কোর: হার্ডকোর, হেভী মেটাল এবং পান্ক কোর মেটাল একসাথে করে একটা কিছু এই মেটাল কোর। তাই দেখা যায় মেটাল বোদ্ধারা খিস্তি খেউর করে বসে,"মেটাল কোর আসলেই কোনো হেভী মেটালের মধ্যে পড়ে না!" আমরা খিস্তি খেউর এ যাবো না, খালি একটু দেখি জেনারাটা কেমন: ভোকাল: ৯০ এর দিকের মেটালকোর গুলান বেশীর ভাগই চীৎকার করা ভোকাল ব্যাব হার করতো, কিন্তু এখন পরিস্কার গলার ব্যাব হার দেখা যায় গানের ব্রীজে আর কোরাসে। তবে স্করিমিং ভোকাল ছাড়া ইহা জমে না। তবে ক্লিন ভয়েস ব্যাব হারের কারনে ইহা অনেক মেটাল ভক্তদের রোষানলে। ব্রেকডাউন হলো মেটাল কোরের প্রান।

ব্রেকডাউন হলো হঠাৎ করে একটা গান স্লো কইরা দিয়া গীটারকে রীফের রিদম্যাটিক সাউন্ড করতে দেয়া। এসময় ড্রামার তার ডাবল কীক বেস প্যাডেল দিয়ে রীফের এক্সেন্টে বাজাবে আর ভোকালি্স্ট এখানে একটা সিঙ্গেল থেকে শুরু করে শুধু একটি লাইনই বার বার উচ্চারন করবে। এর গান লেখায় আক্রমনাত্মক লাইন আর মেলোডিক কোরাস রাখার অপশন থাকে। ইদানিংকার অনেক ব্যান্ডই সলো আর টেকনিক্যাল গিটার বাজানোর দিকে মনোযোগ দিয়েছে যেখানে পাম মিউটিং এর ব্যাব হার খুবই বেশী। তবে এই জেনারার ব্যান্ড সদস্যরা কোনো স্ট্যান্ডার্ড টিউন ব্যাব হার করে না তবে যেসব প্রচলিত সেগুলো হলো C G C F A D/ D G C F A D / D A D G B E / B F# B E G# C#।

তবে মেটালকোর মিউজিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন দিক হলো হ্যামার অন, পাম মিউটিং, পুল অফের মতো কিছু টেকনিক। ইন্ট্র রীফ খুব বেশী ইম্পোর্ট্যন্ট! এখন কিছু এলবাম: ১) As I Lay Dying - Frail Words Collapse ২) [http://www.mediafire.com/?nt4ztojowuu |Killswitch Engage - The End Of Heartache ] অথবা মিরর ৩) [http://www.mediafire.com/?t2mz0k40t5o |Bullet For My Valentine - The Poison] ৪) [ http://www.mediafire.com/?mqzyz1jft22 |Trivium - Ascendancy] ৫) [ http://www.mediafire.com/?zz4yn41omyv |within the ruins – creature] ৬) [ http://www.mediafire.com/?mym3ttdomni |multiple personality disorder – episode 1] গ্রাইন্ডকোর: আপনারা যারা মেটাল ভক্ত তারা হয়তো নেপাম ডেথ অনেক আগেই শুনেছেন। গ্রাইন্ডকোর মূলত ডেথ মেটাল, নয়েসকোর, ইন্ডাস্ট্রিয়াল মিউজিকের সাথে হার্ডকোর পান্ক এর সাথে অন্যান্য জেনারার সংমিশ্রন। এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সোজা ভাবে বলতে গেলে হেভী ডিসটরটেড, ডাউন টিউনড গীটার, হাই স্পিড টেম্প, ব্লাস্ট বিট আর সাথে থাকবে ভোকালের উচু পীচের চীৎকার থেকে নীচু পীচের গলা ঝাকানীর গ্রোল আর হাই পিচড চিৎকার। মাঝে মাঝে কোনো লিরিকসই থাকবে না গানে শুধু ভোকালের গ্রোলিং দিয়েই কাজ সারা তবে এটা এখনো এক্সপেরিমেন্টাল ফেজে আছে।

এই জেনারার গান গুলো একটু সাইজে ছোট হয়। মাইক্রো সং এর কথাটা আসলে এখানে বেশ প্রচলন আছে। গীনেস ওয়রা্লড বুকের সবচেয়ে ছোট গানটির দৈর্ঘ্য হলো ১.৩ সেকেন্ডের যার শিরোনাম হলো "You Suffer" (1987) নেপাম ডেথের। আসলে তিনটা ইনস্ট্রুমেন্ট, ড্রামস, ইলেক্ট্রিক গীটার আর বেস এর উপর প্রচন্ডভাবে নির্ভর করে। লিরিকসের কিছু কমন টার্ম হলো এন্টি-রেসিজম, ফেমিনিম, এ্যান্টি মিলিটারিজম এবং এ্যান্টি ক্যাপিটালিজম।

মাঝে মাঝে মানব চরিত্র, পশুদের উপর অত্যাচার এসে পড়ে। তবে এর আরেকটা সাব জেনেরা হলো পর্ন গ্রাইন্ড: শুনেই বেশ বোঝা যাচ্ছে গানে কি থাকতে পারে, তবে এটা এখনো শুনা হয় নাই। ডাউনলোডের জন্য কিছু এলবাম: ১) [ http://www.mediafire.com/?jdqozzztn3m |napalm death – time waits for no slaves] ২) [ http://www.mediafire.com/?2jm3vdynmwh |agoraphobic nosebleed – agorapocalypse] ৩) [ http://www.mediafire.com/?dmkgz15txij |anaalia – mind monstrosity] ৪) [ http://www.mediafire.com/?2jgulojm4r4 |suffocation – blood oath] ৫) [ http://www.mediafire.com/?mzzmzmtnnuy |the irish front – universe] আপাতত এই পর্বে এ কয়টা জেনেরাই থাক, এক্সট্রিম মেটাল এখনও আমার পুরোটা শুনা হয় নাই এবং সবচেয়ে বড় ইচ্ছা হলো এর সব গুলো জেনারার যতগুলো পারা যায় ততগুলো গান শোনা। এগুলোতে এ্যডিকশন হওয়া খুব ভালো ব্যাপার না, কিন্তু কি করুম, মেটাল মনে হয় মাথাটা ঘুন পোকার মতো খেয়ে ফেললো! রেফারেন্স হইলো সব উইকি আর ফটুকগুলান হইলো সব গুগলা মামা!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.