আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পার্বতীপুর



এক আকাশ তারা কে দু চোখ ভরে দেখে নিতে এলাম। এখানে অনেক বাতাস। দিনের বেলায় লু হাওয়া আর রাতে ঠান্ডা বাতাস। আমি সারাদিন-সারা সন্ধ্যা হাটলাম কেবল। তবু যেন চলা ফুরায় না।

আমার ছোটবেলার গন্ধমাখা পারবতীপুর আমাকে কত আদরেই না কাছে টেনে নিল ! আগে যখন ঈদ এ আসতাম, জিন্নাহ মাঠে মেলা বসত, মাটির হাড়ি-পাতিল, বাতাসা, কদমা... কত কিছু পাওয়া যেত। নতুন জুতার ফুল হারিয়ে ফেলেছিলাম বলে কত মার খেয়েছিলাম মা'র হাতে। তখন ঈদ মানেই এত এত মজা। হাড়ি পাতিল হয়ে যেত কয়েক রকমের। নানি দিত, খালামনি দিত, মা দিত।

পাশের বাসায় লিনু নামের আমার একটা বন্ধু ছিল। সেই লিনুর এখন দুইটি বাচ্চা। পাশের সেই বাড়ি ও নেই আর। দেনার দায়ে সেই বাড়ি এখন ডেভেলপার এর মুঠোয়। প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছে, পুকুরের ঘাট নিশ্চিন্ন।

পোড়ো জমির মতন বিশাল ফাকা মাঠ। জোনাকির দয়ায় মাঝে মাঝে আলোর দেখা পায়। আমাদের বাড়িটা অবশ্য আগের মতন ই আছে। সেই পুকুর ঘাট, সেই বারান্দা, সেই চাপকল। কামিনি গাছটা শুধু নেই।

সবচেয়ে ভাল লাগে যখন ইলেকট্রিসিটি থাকে না। এমন ঝুম অন্ধকার যে সমস্ত আকাশ কথা বলে ওঠে। জোনাকিরা ছুয়ে দিয়ে যায়। তখন মনে হয় ফিরে আসি এই খানে... যেখানে একদিন চলে যেতে শুরু করেছিলাম। মাছ ধরার ব্যর্থ চেস্টা করলাম বার কয়েক।

হল না। আগে বরশী ফেল্লেই মাছ আসত। এখন পুকুরের পানি ও কমে গেছে। মাছ ও। তবু শখ! নানি পিঠা বানিয়ে খাওয়ালো নানা রকমের।

আহ! নানিবাড়ির গন্ধই অন্য রকম...নানির আচলে মুখ মোছা - হাত মোছা। নানির বুকের গন্ধ নিয়ে ঘুমানো। ছোটবেলার কত সুখস্মৃতি পলকে মনে পড়ে যায়...যেন আমি বড় হইনি কখনো...কখনও বড় হবোনা... আয় মেঘ, আয় রোদ্দুর, আয় ছায়াপড়া ঝিল...আয় ফিরে আয় সবি...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.