আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমি বেশ্যা ঘৃণা করি না



আমি বেশ্যাদের ঘৃণা করিনা। কি ভাবছেন এর কারন। আমার কারনে ওরা বেশ্যা হয়েছে কিন্বা আমি নিজেও ওই দলের এটা কি ভাবছেন। হতে পারি। কিন্তু আমার ঘৃণা না করার বিষয়টি কিছুটা ভিন্ন।

আশা করি পোষ্টটা পড়ার পর এ ব্যাপারে আপনাদেরও মতামত জানাবেন। হ্যাঁ বন্ধুরা আগেই বলে রাখি আমি বেশ্যাদের ঘৃণা করি না এর অর্থ এই নয় যে- আমি বেশ্যাবীতিও ঘৃণা করি না। ওদের সম্বন্ধে জানতে গিয়ে যা বুঝেছি, তা হলো- বেশ্যা হয়ে ওঠার জন্য ওরা দায়ি না। এর জন্য দায়ি আমাদের “ মুক্ত বাজার অর্থনীতি”। যা কিনা গরীবকে গরিব ও ধনীকে আরো ধনী বানাচ্ছে।

একটা হিসাব পরিস্কার। তা হলো- আমার বন্ধু যখন মোবাইল ব্যাবহার করতে শুরু করলো তখন আমারও মনে একই ইচ্ছা জেকে বসলো। একটা পর্যায়ে এমন হলো মোবাইলটা না হলে বন্ধুদের সাথে যোগাযোগটাই বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। বাধ্য হয়ে তখন ইচ্ছা বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লাগলাম এবং করলাম। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে যখন দেখে তার বান্ধবী সুন্দর জামা পড়ছে, বিকেল হলে ঘুরতে বের হচ্ছে।

তখন তার মনেও ইচ্ছাটা জাগাই স্বাভাবিক। কিন্তু তার বাবার এতো টাকা নেই। বাধ্য হয়ে যখন চাকরী করতে গেলো তখন তাকে বেশ্য হতে হলো। আবার যদিওবা নিরাপদ থাকলো তবে ওই বেতন দিয়েও তার চাহিদা পুরণ হচ্ছে না। তো কি করবে সে।

বাধ্য হয়েই সে এক রাতে দশ হাজার টাকা রোজগারের চিন্তায় মত্ত হয়ে ওঠে। আর আমরা তখনি তাকে বেশ্য বলে ঘৃণা করি। কিন্তু কিসের কারনে তার মনে এই উচ্চাকাক্ষা তৈরি হলো তা কিন্তু একবারের জন্যও ভাবি না আমরা। বিষয়টি ভাবা দরকার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।