আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বেশ্যা নগর : গড়ন ও উচ্ছেদ

বদলে গেছি

বেশ্যা মহল্লাটা যে নগরের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে এটা বুঝতে কানামাছিরও বাকি নেই। সুতরাং নগরকর্তা বেশ্যাপাড়া উচ্ছেদ করল। পতিতারা আবাস গড়ল নগরির বহুদূরে। এক পাহাড়ি এলাকায়। সেখানে শহর থেকে রাতে রাতে ভদ্দরলোকরা আসে।

সকালে চলে যায়। কিছু ব্যবসায়ী মওকা বুঝে সেখানে দোকান দিল। জমে উঠল ব্যবসা। তারা সারারাত দোকান করে সকালে নগরের বাড়িতে ফেরে। এতে অনেক কষ্ট হয়।

তাই তারা ঠিক করল বউ বাচ্চাদের নিয়ে এসে আশে পাশেই বাড়ি করল। কেউ কেউ সেখানে আবাসিক হোটেল করল। কেউ মদের দোকান দিল। এক নাপিত এসে সেলুন করলো । আসা খরিদ্দারদের সুবিধার জন্য সেখানে কেউ গড়ে তুলল খাবার রেস্টুরেন্ট।

এভাবে দলে দলে লোক আসল ভাগ্যের সন্ধানে । গড়ে উঠল বাজার। সেখান থেকে আরেক বিলাসবহুল নগর। এবার নগরে গঠিত হলো মিউনিসিপালিটি। প্রথম বৈঠক : :বেশ্যাপল্লী নগরের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে : এদেরকে অবশ্যই উচ্ছেদ করা উচিৎ : এখানে ভদ্রলোক বসবাস করে : এখানে বেশ্যাদেরকে মেনে নেয়া যায় না।

বি:দ্র: মূল উর্দু গল্প থেকে অনুদিত। ঈশৎ সংক্ষিপ্ত, পরিবর্তিত। মূল লেখক বা গল্পের নাম মনে নাই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।