তোমার শরীরের দিকে চাও, মগ্ন হও একবার তোমার শরীরের পানে, কবিতারা ওখানে বসবাস করে অহোনিশি
এক
এখানে লিখে রেখে যাই সভ্যতার ইতিহাস
প্রাগৈতিহাসিক যুগের বৈরী হাওয়ায় কেমন বইত পাল তোলা নৌকা;
কার ছিল এমন ঋজু হৃদয়, সটান দাঁড়িয়ে থাকে বৈরী পরিস্তিতির মুখোমুখি
আজ কোথায় তোমার অহম, কোথায় মিশে আছো?
সভ্যতার কালচিহ্ন ধুলোয় মিলিয়ে গেল
তুমি আমি আমরা এর উপকরণ মাত্র।
দুই
একদিন সব ছিল বলে তোমার অহম আমার দরজায় কড়া নাড়ত সজোরে।
আজ আমিও পোষণ করি অহংকারী হৃদয়। এক বুক অহম নিয়ে আমার বেঁচে থাকা।
সটান তোমার মুখোমুখি হতে চাই?
তিন
এখানে ধুলোর বিবর্ণ অক্ষরে লিখে গেলাম তোমাদের প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতার সব স্মৃতিচিহ্ণ, অহম আর অমানবিক কীর্তি-কলাপ। কোনদিন যদি মানুষ হতে পারো তবেই পুর্নরোদ্ধার করো এর ইতিহাস, ঐতিহ্য আর ধারণ করো বুকের মধ্যে।
আমরা কেউই তা পারিনা বোধহয়?
চার
আমি আজ ধুলোমাখা মাটির শরীর। আমার প্রজন্মান্তরের কেউ স্মরণ করেনি আমার কীর্তি-মাখা জগৎ।
আমি মিশে যাচ্ছি ধুলোর রাজ্যে....
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।