আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

খলিল ও লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার (খলিল সিরিজ -৭)

কিছু মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখে। কিছু মানুষ স্বপ্নটা সত্যি করার জন্য ঘুম থেকে জেগে উঠে। জীবন আপনার কাছে সেভাবেই ধরা দিবে আপনি যেরকম থাকবেন।

খলিল সিরিজ ফ্যান পেজ। All characters including Khalil appearing in this work are fictitious. Any resemblance to real persons or Khalil, living or dead, is purely coincidental. খলিল একটা ভয়াবহ চান্স পাইয়া গেসে।

খলিল সিরিজ গুলার কোনোটার সুরুতেই খলিলের এত রমরমা অবস্থা থাকেনা। খলিল কে লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরী প্রতিযোগিতার একজন অংশগ্রহনকারিনী এর স্বাক্ষাতকার নিতে পাঠানোর কথা। এত বড় দাও সে কিভাবে মারল কে জানে!! যার স্বাক্ষাতকার নেওয়া হবে সে বড়ই সৌন্দর্য এটা বললে জানি কেমন দেখায়...... মাইয়াটা কঠিইইইইন সেক্সি। আসলে খলিলের এক বড় ভাই এর একটা ম্যাগাজিন আছে আর যে স্বাক্ষাতকার নিবে সে না থাকার কারনে খলিল চান্স পাইয়া গেল। স্বাক্ষাতকারের কাহিনি শোনার পর থেকেই আমরা খলিলের পাশে ঘুরা ফিরা করতেসি।

দোস্ত আমাদেরও নিয়া যা। প্লিজ আমাদেরও নিয়া যা। শুনলাম স্বাক্ষাতকার নেওয়া হবে মৌনিতা খান ইশানা এর। স্বাক্ষাতকার নিতে যখন খলিল যায় তখন ইশানাদের নাচের রিহার্সাল চলতেছিল। নাচের রিহার্সাল খলিল দূর থেকে দেখল দুইজন মেয়ে হাত ধরাধরি করে নাচতেসে।

কিন্তু অবাক করা ব্যাপার। ঐটা নাকি ছেলে ছিল। নাচ শিখতে গেলে অনেক ছেলেই নাকি হিজরা হয়ে যায় এমনটা শোনা যায়। খলিল হা হয়ে সব লাক্স চ্যানেল আই সুন্দরিদের দেখতে লাগল। মাঝখান থেকে একটু পর ইশানা আসল।

খলিল এর উপর ভরসা কম দেখে খলিল কে বলা আসে যা জিজ্ঞেস করতে বলা হবে তা যেন লিখে নিয়ে যায়। খলিল সব লিখে নিয়ে গেল। কিন্তু যারা খলিল সিরিজের খলিলের সাথে পরিচিত তারা সবাই জানেন খলিল তো খলিল ই। সব জায়গায় নিজের বুদ্ধি তার খাটানোই লাগবে। খলিলকে জিজ্ঞেশ করতে বলা হয়ে ছিল ইশানার প্রিয় খাবার কি? তা খলিল মাতব্বর চিন্তা করল একটু স্মার্ট গিরি দেখানো যাক।

সে এটা বললেও হইত যে ইশানা ম্যাডাম আপনার প্রিয় ড্রিঙ্কস কি? কিন্তু তখন ঘটনা ক্রমে ইশানা-দের রুম এর টিভি টা অন ছিল আর সেখানে ভার্জিন কোলা এর বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছিল। খলিল সেটা দেখে বলল , “ম্যাডাম কি ভার্জিন খান?”...... একটা মুভি চলাকালিন সময় পজ দিলে যেই অবস্থা হয়, রুম এর অবস্থা সেইরকম। কারন এই কথা বলার সময় কিভাবে জানি একটা মাইক আবার খলিলের সামনে চলে আসছিল। খলিল অবস্থা কিছুই বুঝল না। সে আরো বলতে লাগল, ম্যাডাম ভার্জিন খুবি মজার।

কালকে আমরা ৪ জন মিলে একটা ভার্জিন খাইলাম। এখন তো আবার একটার সাথে একটা ফ্রি। বন্ধুগন, খলিল যদি ভার্জিন কোলার নাম নিত তাইলেও এই প্রবলেম টা হইত না কিন্তু ইশানা-রা যে আবার অন্য কিছু মনে করসে। ধাপ ধুপ ধুপ ধাপ মাইর একটাও মাটিতে পরেনায়। এমন কি অই হিজরা ড্যান্সার যে ছিল সেও দু’ঘা লাগাইসে।

খলিল হসপিটাল এ দুইদিন ছিল। আমরাও দেখতে গেলাম। অবস্থা খুব বেশি খারাপ অবশ্য না। বরং খলিলে নিজেই তার মাইর খাওয়ার কাহিনি বলতে লাগল। কারন এর মধ্যে একটা মজার ব্যাপার ঘটসে।

ইশানা নাকি হসপিটাল এ খলিল কে দেখতে আসছিল। কিন্তু খলিল গাধা তখন ঘুমায় ছিল। ইশানা নাকি বুঝতে পারসিল ঐটা আসলে ভার্জিন কোলা এর কথা বলতেসে। হসপিটাল এর শেষ যেদিন খলিল ছিল ওইদিন টিভি তে সে চ্যানেল আই তে যখন লাক্স চ্যানেল আই সুপার স্টার দেখতেসিল আর ভার্জিন কোলা খাইতেসিল তখন হটাত প্রগ্রামের মাঝখানে এ্যাড দেখানো শুরু হইল। কি একটা নতুন বডি স্প্রে এর এ্যাড দেখাইল যেটার মডেল রা সবাই লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার-রাই ছিল।

পরের দিন খলিল দোকানে দোকানে ঘুরতে লাগল কিন্তু সেই বডি স্প্রে টা খুইজা পাইতেসিল না। হটাত ঘুরেই সে দেখল তার সামনে সালমান খান দাড়ায় আসে। সালমান খান গায়ে বডি স্প্রে মাখতেসে। খলিল কইল আরে সালমান ভাই আপনে বাংলাদেশ এ কবে আসলেন। সালমান খান তার মুখে হাত দিল।

আরে বলদ চুপ থাক। নতুন এই বডি স্প্রে এর কিছু লিমিটেড ভার্সন আছে। মাখলেই মেয়েরা তোর পিছে দৌড়াবে। ঐজে অইখানে একটা আছে। নিয়া তাড়াতাড়ি যা।

আর শুন, কাউরে বলবিনা আমি বাংলাদেশ এ। শাহরুখ হারামজাদার সাথে এখন আমার সম্পর্ক ভাল না। ও জানি এই স্প্রে না পায় তাই লুকায় লুকায় আসছি। খলিল মহা খুশি হয়ে বাসায় ফিরল। আর চিন্তা কি।

সালমান খানের বডি স্প্রে এখন তার হাতে। খলিল বেশি করে মাখল। বগল, পিঠ, পেট এ তো দিলই পায়েও দিল। এমন কি মাথাতেও জেল না দিয়ে বডি স্প্রে দিল। এখন তো ইশানা এর ঐখানে গেলেই হইল।

খলিল ইশানা এর ঐখানে গেল। বেশ কনফিডেন্টলি ইশানাকে হাই দিল ইশানাও সামনে এসে কথা বলল। অহ খলিল ভাই আই এম সো সরি......... । খলিল বেশ কৌশলে চেস্টা করল ইশানাকে বডি স্প্রে শুকাইতে। ইশানা অবাক এবং বিরক্ত হতে থাকল।

খলিল বের হয়ে দেখে পেলে এর মত কালো গায়ের রঙ এর একজন লোক দৌড়াইতেসে এবং তার পিছনে সব মেয়েরা দৌড়াইতেসে। খলিল কে পিছন থেকে কে জানি ঘাড়ে হাত দিল। খলিল ঘুরতেই সেই সিকিউরিটি গার্ড এর ছেলেটা খলিল কে জড়ায় ধরল। আহ খলিল আহ খলিল আহা খলিল। খলিল চিল্লাচিল্লি শুরু করল ছাড় আমারে।

ছাড় আমারে। এখনি ছাড়। খলিল দৌড়ায় বাসায় আসল। বাসায় আইসাই সে হাসান ভাইরে ফোন দিল। হাসান ভাই? রাস্তায় ঐটা কি আপনে ছিলেন।

হাসান ভাই তো আরে খলিল বইলা একটা চিতকার দিল। আরে ম্যান সালমান ভাই আমারে কি বডি স্প্রে জানি দিল আহ......আহ ...... অইটা মাখলেই মেয়েরা আমার পিছনে দৌড়ায়। খলিল কিছু বুঝলনা। হাসান ভাইয়ের পিছনে মেয়েরা দৌড়াইতেসে তার পিছনে না কেন!! খলিল বডি স্প্রে টা হাতে নিল। অহ নো অহ নো।

অনলি ফর লেডিস। তার মানে সালমান ভাই ভুলটা দিয়ে ফেলসে। এইটা মাখলে পোলারা জড়ায় ধরবে মেয়েরা না!!! খলিল আবার দৌড়ায় সেই দোকানে গেল। সালমান ভাই তো নাই এখন উপায়। দোকানে এর একটু দূরে কে জানি বলতেসে, ছোটো ছোট দেশে এইরকম বড় বড় বডি স্প্রে পাওয়া যায়।

খলিলের ডায়লগ-তা খুব চেনা চেনা লাগল। বাড়ি বাড়ি দেশ ও মে ছোটি ছোটী বাতে হতি রেহতি হেইন...... শাহরুখ ভাই বইলা চিতকার দিল......... শাহরুখ খলিল কে দেখে ফ্লায়িং কিস দিল......... তারপর নিজের জিহ্বায় কামড় দিইয়া বলল তোরে দেইখা তো ফ্লায়িং কিস আসার কথা না , তুই দূরে দাঁড়ায় থাক। তুই লেডিস দের বডি স্প্রে মাখসিস। এই নে অনলি ফর মেন। যা এটা নিয়ে যা।

আর আমি যে বাংলাদেশ এ এটা কাউকে বলিস না। মে হু ডন। মে হু ডন। ডন শাহরুখ এর থেকে বডি স্প্রে নিইয়ে খলিল চেক করল। হা ঠিক আছে।

এটা অনলি ফর মেন লেখা। খালিল গায়ে মাখল। আর কোনো রিস্ক নেওয়া যায় না। খলিল দোকান থেকে দু হাত প্রসারিত করে বের হইল। তখনি কোথেকে হাসান ভাই আবার দৌড়াইতে দৌড়াতে আসতে থাকল তার পিছনে ১০-১২ টা মেয়ে দৌড়াইতেসে।

খলিল তো খুবি খুশি। সেও দৌড়ানো শুরু করল। খুবি আচানক ব্যাপার। পাড়া মহল্লার নেড়ি কুত্তা গুলা এখন খলিলের পিছনে দৌড়াচ্ছে। হাসান ভাই দৌড়াইতে দৌড়াইতেই বলল আরে গাধা তুই লেডিস আর জেন্টস এরটা একসাথে মাখসিস কেন!! তাড়াতাড়ি অন্য দিকে যা।

কিছু একটা রিএকশন হইসে সব কুত্তা এখন তোর পিছনে। খলিল মাগো বাবাগো বলে অনেক কষ্টে পালাইল। সে কি করবে বুঝতে পারল না। রাস্তায় বের হইলেই কুত্তা গুলা দৌড়ানি দেয়। অইদিকে পিরিতি বাবা (খলিল-৬ এ ছিল) জেল থেকে ছাড়া পাইসে।

পিরিতি বাবা খলিল কে দেখে বলল দুইদিন নাকি গু মেখে থাকতে হবে। কুত্তা থেকে বাচার জন্য এর থেকে ভাল কোনো উপায় নাই। খলিল তাই করল। এরপর সে বাসা থেকে বের হলনা কয়েক দিন। তারপর আস্তে আস্তে বুঝতে পারল এখন ছেলে, মেয়ে, কুত্তা কেউই তার পিছিনে যায় না।

তবে পিরিতি বাবা খলিল কে বলসে ৭ দিন এর আগে জানি বাসা থেকে বের না হয়। খলিল ৬ নম্বর দিন এর দিন বের হল। এটা খলিল অনেক বড় ভুল করল। কারন-টা শেষ দৃশ্যে বুঝাচ্ছি। হাসান ভাই দৌড়াইতেসে তার পিছনে ১০-১২ টা মেয়ে।

ইশানা লেডিস বডি স্প্রে দিসে তার পিছনে ডন শাহরুখ আর ওয়ান্টেড সালমান দৌড়াইতেসে। খলিলের পিছনে সেই হিজরা ড্যান্সার দৌড়াইতেসে। খলিলের বিপদ-টা আর ভাল ভাবে আঁচ করতে পারতেসি। কারন খলিল দৌড়াইতে দৌড়াইতে হিজরা পুনর্বাসন কেন্দ্র এর দিকে যাইতেসে। কি আর কমু।

খলিল তো খলিল ই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.